বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার
- Update Time : ০৫:২৩:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুন ২০২২
- / 218
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর হলেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার। আগামী ৪ জুলাই থেকে গভর্নর হিসেবে তার নিয়োগ কার্যকর হবে।
শনিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ এবং অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে আগামী ৪ জুলাই তার যোগদানের তারিখ থেকে চার বছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে নিয়োগ দেওয়া হলো।
এতে আরও বলা হয়, আব্দুর রউফ তালুকদার গভর্নর পদে নিয়োজিত থাকাকালীন সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির শর্ত মোতাবেক বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গ্রহণ করবেন।
নিয়ম অনুয়ায়ী এর আগে সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ এবং অন্য সকল সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সব ধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করবেন রউফ তালুকদার।
আগামী ৩ জুলাই বর্তমান গভর্নর ফজলে কবিরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ২০১৬ সালে চার বছরের জন্য গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক অর্থ সচিব ফজলে কবির। সে হিসেবে তার মেয়াদ ২০২০ সালের ১৯ মার্চ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এর ৩৪ দিন আগে ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি গভর্নর হিসেবে তার মেয়াদ তিন মাস ১৩ দিনের জন্য বাড়িয়ে দেয় সরকার।
আব্দুর রউফ তালুকদার ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই অর্থসচিব হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে ২০১৭ সালের অক্টোবরে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্বে আসেন। তার আগে তিনি এই বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব, উপসচিব ও যুগ্ম সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া অর্থ বিভাগের অধীনে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নেরও দায়িত্ব পালন করেন।
বিসিএস ১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তা রউফ সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন সচিবালয় ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে। দেড় যুগ আগে সচিবালয় ক্যাডার বিলুপ্ত করে তাকে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত করা হয়।
রউফ তালুকদার চাকরি জীবনে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আর্থিক ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারদর্শিতা প্রদর্শন করেন। বিশেষ করে দেশের বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে অর্থনীতির ওপর কর্মশালায় অংশ নিয়ে দক্ষতা অর্জন করেন।
মহামারি করোনা সময় দেশের ক্রান্তিকালে অর্থনীতি চাঙ্গা করার জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়া দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় তার পরামর্শ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বেশ প্রশংসনীয়।