মুস্তফা কামালের চতুর্থ বাজেট

  • Update Time : ১০:০৮:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২
  • / 173

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের চতুর্থ বাজেট এটি। আর অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের চতুর্থ বাজেট এটি। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ৫১তম বাজেট উত্থাপন করতে যাচ্ছেন তিনি।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে প্রথম অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছিলেন। এরপর সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং এম সাইফুর রহমান সর্বোচ্চ ১২বার জাতীয় বাজেট পেশ করেন।

বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথম বাজেট পেশ করেন। এরপর তিনি ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন। আগামী অর্থবছরের বাজেট হবে তার দেয়া চতুর্থ বাজেট।

এবারের বাজেটে সংগত কারণেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি খাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষা খাতসহ বেশ কিছু খাতকে।

বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীকে বারবারই টানাটানি আর সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় সামাল দেওয়ার হিসাব নিকাশ করতে হয়। ইউক্রেইন যুদ্ধের ধাক্কা যেন দেশের অর্থনীতিকে কক্ষ্যচ্যুত করতে না পারে, এবার সে কথাও ভাবতে হচ্ছে আ হ ম মুস্তাফা কামালকে।

পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার সক্ষমতা অর্জনের ছক নতুন করে সাজাতে এবার ভিন্ন কিছু তাকে রাখতে হচ্ছে বাজেট পরিকল্পনায়।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা ও অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বাজেট বক্তৃতায় এ বিষয়টি উঠে আসবে। তাছাড়া করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর বাস্তবায়ন সম্পন্নকরণ, অধিক খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সেচ ও বীজে প্রণোদনা, কৃষি পুনর্বাসন, সারে ভর্তুকি প্রদান অব্যাহত রাখা, ব্যাপক কর্মসৃজন ও পল্লি উন্নয়ন, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ সার্বিক মানবসম্পদ উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসবে।

অর্থমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাজেটকে অধিকতর অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd-এ বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবে এবং দেশ বা বিদেশ থেকে উক্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফিডব্যাক ফরম পূরণ করে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ প্রেরণ করা যাবে। প্রাপ্ত সব মতামত ও সুপারিশ বিবেচনা করা হবে। জাতীয় সংসদ কর্তৃক বাজেট অনুমোদনের সময়ে ও পরে তা কার্যকর করা হবে।

বাজেট উপস্থাপনের পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার বেলা ৩টায়, বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে আসবেন অর্থমন্ত্রী। করোনা পরিস্থিতিতে গত দুই বছর ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও এবার সরাসরি অনুষ্ঠিত হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মুস্তফা কামালের চতুর্থ বাজেট

Update Time : ১০:০৮:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের চতুর্থ বাজেট এটি। আর অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের চতুর্থ বাজেট এটি। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ৫১তম বাজেট উত্থাপন করতে যাচ্ছেন তিনি।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে প্রথম অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছিলেন। এরপর সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং এম সাইফুর রহমান সর্বোচ্চ ১২বার জাতীয় বাজেট পেশ করেন।

বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথম বাজেট পেশ করেন। এরপর তিনি ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন। আগামী অর্থবছরের বাজেট হবে তার দেয়া চতুর্থ বাজেট।

এবারের বাজেটে সংগত কারণেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি খাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষা খাতসহ বেশ কিছু খাতকে।

বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীকে বারবারই টানাটানি আর সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় সামাল দেওয়ার হিসাব নিকাশ করতে হয়। ইউক্রেইন যুদ্ধের ধাক্কা যেন দেশের অর্থনীতিকে কক্ষ্যচ্যুত করতে না পারে, এবার সে কথাও ভাবতে হচ্ছে আ হ ম মুস্তাফা কামালকে।

পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার সক্ষমতা অর্জনের ছক নতুন করে সাজাতে এবার ভিন্ন কিছু তাকে রাখতে হচ্ছে বাজেট পরিকল্পনায়।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা ও অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বাজেট বক্তৃতায় এ বিষয়টি উঠে আসবে। তাছাড়া করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর বাস্তবায়ন সম্পন্নকরণ, অধিক খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সেচ ও বীজে প্রণোদনা, কৃষি পুনর্বাসন, সারে ভর্তুকি প্রদান অব্যাহত রাখা, ব্যাপক কর্মসৃজন ও পল্লি উন্নয়ন, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ সার্বিক মানবসম্পদ উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসবে।

অর্থমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাজেটকে অধিকতর অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd-এ বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবে এবং দেশ বা বিদেশ থেকে উক্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফিডব্যাক ফরম পূরণ করে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ প্রেরণ করা যাবে। প্রাপ্ত সব মতামত ও সুপারিশ বিবেচনা করা হবে। জাতীয় সংসদ কর্তৃক বাজেট অনুমোদনের সময়ে ও পরে তা কার্যকর করা হবে।

বাজেট উপস্থাপনের পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার বেলা ৩টায়, বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে আসবেন অর্থমন্ত্রী। করোনা পরিস্থিতিতে গত দুই বছর ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও এবার সরাসরি অনুষ্ঠিত হবে।