মাঙ্কিপক্সের টিকা সবার দরকার হবে না: ডব্লিউএইচও

  • Update Time : ০১:৩০:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
  • / 196

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ 

কীভাবে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায় মাঙ্কিপক্স?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর বিশেষজ্ঞ ডা. মারিয়া ভ্যান কারখোভ বলেছেন, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের মাধ্যমেই ভাইরাসটি ছড়ায়। তাই এর টিকা সবার জন্য প্রয়োজন হবে না।

সোমবার মাঙ্কিপক্স নিয়ে ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞদের এক প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।

ডা. মারিয়া বলেন, “এটি এমন কিছু নয় যা প্রত্যেকেরই টিকা প্রয়োজন, এটি শুধুমাত্র তাদেরই দরকার হবে যারা ঘনিষ্ঠ পরিচিতিদের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছেন।”

ডব্লিউএইচও-এর আরেক বিশেষজ্ঞ ড. রোজামুন্ড লুইস জানান, স্মলপক্স নির্মূল হয়ে গেলেও এর টিকা মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৫ শতাংশ কার্যকর। এই ভাইরাস দুটি একে অপরের ঘনিষ্ঠ বলেও জানান তিনি।

বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, মাঙ্কিপক্সের টিকা রয়েছে। কিন্তু এগুলো নতুন এবং খুব সহজলভ্য নয়। তবে এর টিকা পাওয়া সহজ করতে ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞগণ কাজ করছেন বলেও জানিয়েছেন।

জানা গেছে, যুক্তরাজ্যে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই সমকামী বা উভকামী পুরুষ। এর ফলে দেশটির স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, এমন যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনও অস্বাভাবিক র‍্যাশ বা ক্ষতের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

এই বিষয়ে ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞ অ্যান্ডি সিয়ালে জানান, এই রোগ যৌনবাহিত নয়। অনেক রোগ আছে যা যৌন সংস্পর্শের মাধ্যমে ছাড়াতে পারে। যেমন, কাশি ও জ্বর। যৌন সম্পর্কের সময় কেউ কাশিতে আক্রান্ত হতে পারেন। এর অর্থ এই নয় যে, এটি যৌনবাহিত রোগ।

তিনি আরও জানান, যৌনবাহিত রোগ হলো যা নির্দিষ্টভাবে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায়। যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হলেও কেউ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হবে না, বরং এর জন্য ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সংস্পর্শই যথেষ্ট।

এদিকে, ভাইরাসটি ইতোমধ্যেই আফ্রিকার বাইরে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই বিষয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, এটা সত্য যে, চলমান প্রাদুর্ভাবের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য যথেষ্ট গবেষণা করা হয়নি। তবে এটা কি কেবল ‘অতিদ্রুত ছড়িয়ে পড়ার মতো ঘটনার’র ফলাফল?

তাদের মতে, এর অর্থ হলো- অনেক লোক একসাথে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে ভাইরাসটি অন্যদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে, যেখানে তারা পরবর্তীতে ভ্রমণ করছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেউই নিশ্চিত নয় যে, এমনটা কোনো বিশেষ ঘটনার কারণ হতে পারে।

তবে গ্রীষ্মের উতসবগুলো আরও বেশি ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন তারা। সূত্র- বিবিসি

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মাঙ্কিপক্সের টিকা সবার দরকার হবে না: ডব্লিউএইচও

Update Time : ০১:৩০:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ 

কীভাবে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায় মাঙ্কিপক্স?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর বিশেষজ্ঞ ডা. মারিয়া ভ্যান কারখোভ বলেছেন, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের মাধ্যমেই ভাইরাসটি ছড়ায়। তাই এর টিকা সবার জন্য প্রয়োজন হবে না।

সোমবার মাঙ্কিপক্স নিয়ে ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞদের এক প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।

ডা. মারিয়া বলেন, “এটি এমন কিছু নয় যা প্রত্যেকেরই টিকা প্রয়োজন, এটি শুধুমাত্র তাদেরই দরকার হবে যারা ঘনিষ্ঠ পরিচিতিদের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছেন।”

ডব্লিউএইচও-এর আরেক বিশেষজ্ঞ ড. রোজামুন্ড লুইস জানান, স্মলপক্স নির্মূল হয়ে গেলেও এর টিকা মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৫ শতাংশ কার্যকর। এই ভাইরাস দুটি একে অপরের ঘনিষ্ঠ বলেও জানান তিনি।

বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, মাঙ্কিপক্সের টিকা রয়েছে। কিন্তু এগুলো নতুন এবং খুব সহজলভ্য নয়। তবে এর টিকা পাওয়া সহজ করতে ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞগণ কাজ করছেন বলেও জানিয়েছেন।

জানা গেছে, যুক্তরাজ্যে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই সমকামী বা উভকামী পুরুষ। এর ফলে দেশটির স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, এমন যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনও অস্বাভাবিক র‍্যাশ বা ক্ষতের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

এই বিষয়ে ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞ অ্যান্ডি সিয়ালে জানান, এই রোগ যৌনবাহিত নয়। অনেক রোগ আছে যা যৌন সংস্পর্শের মাধ্যমে ছাড়াতে পারে। যেমন, কাশি ও জ্বর। যৌন সম্পর্কের সময় কেউ কাশিতে আক্রান্ত হতে পারেন। এর অর্থ এই নয় যে, এটি যৌনবাহিত রোগ।

তিনি আরও জানান, যৌনবাহিত রোগ হলো যা নির্দিষ্টভাবে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায়। যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হলেও কেউ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হবে না, বরং এর জন্য ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সংস্পর্শই যথেষ্ট।

এদিকে, ভাইরাসটি ইতোমধ্যেই আফ্রিকার বাইরে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই বিষয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, এটা সত্য যে, চলমান প্রাদুর্ভাবের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য যথেষ্ট গবেষণা করা হয়নি। তবে এটা কি কেবল ‘অতিদ্রুত ছড়িয়ে পড়ার মতো ঘটনার’র ফলাফল?

তাদের মতে, এর অর্থ হলো- অনেক লোক একসাথে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে ভাইরাসটি অন্যদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে, যেখানে তারা পরবর্তীতে ভ্রমণ করছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেউই নিশ্চিত নয় যে, এমনটা কোনো বিশেষ ঘটনার কারণ হতে পারে।

তবে গ্রীষ্মের উতসবগুলো আরও বেশি ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন তারা। সূত্র- বিবিসি