ইউক্রেনে পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা একটি সম্ভাব্য ‘যুদ্ধাপরাধ’ : যুক্তরাষ্ট্র

  • Update Time : ১১:১০:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২
  • / 163

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রুশ বাহিনীর হামলাকে যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার একটি সম্ভাব্য ’যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে।

জাপোরিঝিয়ার পারমাণবিক কেন্দ্রে নিশি হামলার পর ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস টুইটার বার্তায় বলেছে, “ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা একটি যুদ্ধাপরাধ। রুশ অভিযানের কারণে কেন্দ্রটিকে রাজধানী কিয়েভ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। খবর এএফপি’র।

জেনেভা কনভেনশনে নিষিদ্ধ যুদ্ধাপরাধ সংগঠনের জন্য ওয়াশিংটন মস্কোকে প্রকাশ্যে অভিযুক্ত করছে কি না এএফপি’র এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর যথেষ্ট সতর্ক ছিল।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বেসামরিক লোক বা বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করা একটি যুদ্ধাপরাধ এবং আমরা এই হামলার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছি।

কর্মকর্তা বলেন, তবে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত দায়িত্বহীন এবং ক্রেমলিনকে অবশ্যই পারমাণবিক অবকাঠামোর চারপাশে কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।”

এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ দাবি করেছেন যে, জাপোরিঝিয়ার হামলাটি বিদেশি ভাড়াটেদের অংশগ্রহণে ইউক্রেনীয় নাশকতাকারী গোষ্ঠী’ দ্বারা সংগঠিত হয়েছে।

ওয়াশিংটন সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রাশিয়াকে ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামোতে আঘাত হানা ও বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করার জন্য অভিযুক্ত করেছে, তবে রুশ সামরিক বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবেও গুলোকে তাদের লক্ষ্যবস্তু করছে কিনা সে ব্যপারে স্পষ্টভাবে কিছু না বলার ব্যাপারে বেশ সতর্ক। তারা খোলাখুলিভাবে যুদ্ধাপরাধ নিয়েও কিছু বলছে না।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘ইউক্রেনের মাটিতে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ভয়ঙ্কর যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহারের প্রমান নথিভুক্ত এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা’ চলছে। তিনি বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা সদ্ধিান্তে আসিনি। এটি একটি আইনী পর্যালোচনা ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া।’

এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী বলেছেন। জনসন বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনামলে নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যে মারনাস্ত্র ব্যবহার করতে দেখেছি, তা আমার দৃষ্টিতে তা ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণভাবে যুদ্ধাপরাধের সামিল।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ইউক্রেনে পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা একটি সম্ভাব্য ‘যুদ্ধাপরাধ’ : যুক্তরাষ্ট্র

Update Time : ১১:১০:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রুশ বাহিনীর হামলাকে যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার একটি সম্ভাব্য ’যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে।

জাপোরিঝিয়ার পারমাণবিক কেন্দ্রে নিশি হামলার পর ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস টুইটার বার্তায় বলেছে, “ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা একটি যুদ্ধাপরাধ। রুশ অভিযানের কারণে কেন্দ্রটিকে রাজধানী কিয়েভ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। খবর এএফপি’র।

জেনেভা কনভেনশনে নিষিদ্ধ যুদ্ধাপরাধ সংগঠনের জন্য ওয়াশিংটন মস্কোকে প্রকাশ্যে অভিযুক্ত করছে কি না এএফপি’র এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর যথেষ্ট সতর্ক ছিল।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বেসামরিক লোক বা বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করা একটি যুদ্ধাপরাধ এবং আমরা এই হামলার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছি।

কর্মকর্তা বলেন, তবে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত দায়িত্বহীন এবং ক্রেমলিনকে অবশ্যই পারমাণবিক অবকাঠামোর চারপাশে কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।”

এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ দাবি করেছেন যে, জাপোরিঝিয়ার হামলাটি বিদেশি ভাড়াটেদের অংশগ্রহণে ইউক্রেনীয় নাশকতাকারী গোষ্ঠী’ দ্বারা সংগঠিত হয়েছে।

ওয়াশিংটন সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রাশিয়াকে ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামোতে আঘাত হানা ও বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করার জন্য অভিযুক্ত করেছে, তবে রুশ সামরিক বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবেও গুলোকে তাদের লক্ষ্যবস্তু করছে কিনা সে ব্যপারে স্পষ্টভাবে কিছু না বলার ব্যাপারে বেশ সতর্ক। তারা খোলাখুলিভাবে যুদ্ধাপরাধ নিয়েও কিছু বলছে না।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘ইউক্রেনের মাটিতে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ভয়ঙ্কর যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহারের প্রমান নথিভুক্ত এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা’ চলছে। তিনি বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা সদ্ধিান্তে আসিনি। এটি একটি আইনী পর্যালোচনা ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া।’

এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী বলেছেন। জনসন বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনামলে নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যে মারনাস্ত্র ব্যবহার করতে দেখেছি, তা আমার দৃষ্টিতে তা ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণভাবে যুদ্ধাপরাধের সামিল।’