পরিচালক মহেশ মাঞ্জরেকরের বিরুদ্ধে মামলা

  • Update Time : ০১:২৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 167

বিনোদন ডেস্কঃ

সিনেমায় আপত্তিকর দৃশ্য ব্যবহারের অভিযোগে পরিচালক মহেশ মাঞ্জরেকরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বান্দ্রার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আইপিসি সেকশন ২৯৫, ২৯২, ৩২ এবং আইটি অ্যাক্ট সেকশন ৬৭, ৬৭বি ধারায় মামলাটি করেছে ক্ষত্রিয় মরাঠা সেবা সংস্থা। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর প্রকাশ করেছে।

ভারতীয় সংবাদপত্র ডিএনএইন্ডিয়া ডটকম জানিয়েছে, শুধু মহেশ মাঞ্জরেকর নয়, এ সিনেমার প্রযোজক নরেন্দ্র, শ্রেয়ানস হিরাওয়াট এবং এন এইচ স্টুডিওসের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছে।

মহেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ—মহেশ মাঞ্জরেকর তার পরিচালিত মারাঠি ভাষার ‘নায় ভরন ভাট লোঞ্চা কোন নায় কোঞ্চা’ সিনেমায় ‘অপ্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে যৌনতা’ দেখিয়েছেন; যা সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর। একটি দৃশ্যে দেখানো হয়েছিল কাশ্মীরা তার অনাবৃত বুকে টেনে নিচ্ছেন এক শিশুকে। ক্ষত্রিয় মরাঠা সেবা সংস্থার আইনজীবীর দাবি এই দৃশ্য শিশু ও নারীদের মনে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।

গত ১৪ জনুয়ারি মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমা নিয়ে এর আগে আপত্তি তুলেছিল মহারাষ্ট্রের ভারতীয় স্ত্রী শক্তি সংগঠনের সদস্যরা। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় মহিলা কমিশন সিনেমাটি থেকে একাধিক যৌনদৃশ্য এবং আপত্তিজকর সংলাপ বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তারপর সিনেমাটিকে ‘এ’ সার্টিফিকেট দিয়ে ছাড়পত্র দেয় দ্য সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি)।

যদিও পরিচালক মহেশ মাঞ্জরেকর এ বিষয়ে বলেন—‘এটা একটা অ্যাডাল্ট ফিল্ম, ডার্ক ফিল্ম। আর সেভাবেই এটা দেখতে হবে। আমাদের বোর্ড খুব কড়া। তারা এটাকে ছাড়পত্র দিয়েছে। আমি এ নিয়ে আর কাউকে কোনো জবাব দিতে চাই না।’

সিনেমাটিতে নারীদের নেতিবাচকভাবে দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে পরিচালক বলেন, ‘আমি কেন এটা করব? আমি ২৫টির বেশি সিনেমা তৈরি করেছি। কই কখনো তো এমন করিনি। এই গল্পটা আমার বহু বছর আগে ভালো লেগেছিল। তাই এই গল্প নিয়ে সিনেমা বানানোর সিদ্ধান্ত নিই। এটা এক সাংবাদিকের লেখা গল্প।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


পরিচালক মহেশ মাঞ্জরেকরের বিরুদ্ধে মামলা

Update Time : ০১:২৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিনোদন ডেস্কঃ

সিনেমায় আপত্তিকর দৃশ্য ব্যবহারের অভিযোগে পরিচালক মহেশ মাঞ্জরেকরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বান্দ্রার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আইপিসি সেকশন ২৯৫, ২৯২, ৩২ এবং আইটি অ্যাক্ট সেকশন ৬৭, ৬৭বি ধারায় মামলাটি করেছে ক্ষত্রিয় মরাঠা সেবা সংস্থা। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর প্রকাশ করেছে।

ভারতীয় সংবাদপত্র ডিএনএইন্ডিয়া ডটকম জানিয়েছে, শুধু মহেশ মাঞ্জরেকর নয়, এ সিনেমার প্রযোজক নরেন্দ্র, শ্রেয়ানস হিরাওয়াট এবং এন এইচ স্টুডিওসের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছে।

মহেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ—মহেশ মাঞ্জরেকর তার পরিচালিত মারাঠি ভাষার ‘নায় ভরন ভাট লোঞ্চা কোন নায় কোঞ্চা’ সিনেমায় ‘অপ্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে যৌনতা’ দেখিয়েছেন; যা সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর। একটি দৃশ্যে দেখানো হয়েছিল কাশ্মীরা তার অনাবৃত বুকে টেনে নিচ্ছেন এক শিশুকে। ক্ষত্রিয় মরাঠা সেবা সংস্থার আইনজীবীর দাবি এই দৃশ্য শিশু ও নারীদের মনে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।

গত ১৪ জনুয়ারি মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমা নিয়ে এর আগে আপত্তি তুলেছিল মহারাষ্ট্রের ভারতীয় স্ত্রী শক্তি সংগঠনের সদস্যরা। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় মহিলা কমিশন সিনেমাটি থেকে একাধিক যৌনদৃশ্য এবং আপত্তিজকর সংলাপ বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তারপর সিনেমাটিকে ‘এ’ সার্টিফিকেট দিয়ে ছাড়পত্র দেয় দ্য সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি)।

যদিও পরিচালক মহেশ মাঞ্জরেকর এ বিষয়ে বলেন—‘এটা একটা অ্যাডাল্ট ফিল্ম, ডার্ক ফিল্ম। আর সেভাবেই এটা দেখতে হবে। আমাদের বোর্ড খুব কড়া। তারা এটাকে ছাড়পত্র দিয়েছে। আমি এ নিয়ে আর কাউকে কোনো জবাব দিতে চাই না।’

সিনেমাটিতে নারীদের নেতিবাচকভাবে দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে পরিচালক বলেন, ‘আমি কেন এটা করব? আমি ২৫টির বেশি সিনেমা তৈরি করেছি। কই কখনো তো এমন করিনি। এই গল্পটা আমার বহু বছর আগে ভালো লেগেছিল। তাই এই গল্প নিয়ে সিনেমা বানানোর সিদ্ধান্ত নিই। এটা এক সাংবাদিকের লেখা গল্প।’