রাণীশংকৈলে হঠাৎ ইটের দাম বৃদ্ধি; চরম বিপাকে গ্রাহকরা

  • Update Time : ০৯:১৪:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 194

হুমায়ুন কবির, রাণীশংকৈল:

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি অপ্রত্যাশিত মাঘের দু’দিনের মাঝারি বৃষ্টিপাতে উপজেলার ২৮ টি ইটভাটায় অনেক কাঁচা ইট নষ্ট হয়।

এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে ভাটা মালিকেরা দাবি করেন। তিন চারদিন পরে ওই ভাটাগুলোতে আবার পুরোদমে ইট উৎপাদন শুরু হয়।

যেখানে ১০/১২ দিন আগে প্রতি হাজার ইটের দাম ছিলো ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা।

আর এই বৃষ্টির অজুহাতে লোকসান পুষিয়ে নিতে ভাটা মালিকেরা প্রতি হাজার ইট করছেন ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কয়েকটি ভাটায় সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য চিত্র পাওয়া যায়।

এতে চরম বিপাকে পড়ছেন স্থানীয় ঠিকাদার ও সাধারণ গ্রাহকেরা। পৌরশহরের ইট গ্রাহক রব্বানী পারভেজ বলেন, ক’দিন আগেই ২ হাহার ইট কিনেছেন ১৭ হাজার টাকায়। এখন ইট কিনতে গিয়ে দেখি প্রতি হাজার ইট ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এই অতিরিক্ত টাকায় ইট কিনতে হিমহিম খাচ্ছি।

নেকরদ চন্দনচহট এলাকার ইসমাইল হোসেন বলেন, আমার বাড়ির কাজে কয়েকদিন আগ থেকে ইট কেনার কথা ভাবছিলাম গতকাল ২ হাজার ইট ২০ হাজার টাকায় কিনেছি। ইটের মুল্য নিধারণে সরকারি নেই কোন নীতিমালা। ইটভাটা মালিক সমিতিরও নেই কোন পদক্ষেপ বা নির্দিষ্ট মুল্য নিধারণ। তাই সামান্য ইচ্ছেমতো দামে ভাটা মালিকেরা ইট বিক্রি করছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেন।

এম,আর,বি ভাটার ম্যনেজার মঞ্জুর আলম বলেন, এবার বৃষ্টিতে ভাটার ব্যপক ক্ষতি হওয়ায় তা পুশিয়ে নিতে আমরা ইটের দাম বাড়িয়েছি। আরেক ভাটা মালিক রোওশন আলী বলেন বৃষ্টির আগে প্রতিগাড়ি ১৮ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। এখন ২০ হাজার টাকায় বিক্রি দিচ্ছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আহম্মদ হোসেন বিপ্লবের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ইট বিক্রির মূল্য নির্ধারণের ব্যাপারে আমাদের সমিতির কোন নীতিমালা নেই। ভাটা ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার লাভ লোকসান ভেবে যে যার মতো করে দাম নিয়ে ইট বিক্রি করছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুরকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, ইটের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে আমি শুনেছি। এই দাম বৃদ্ধির নিয়ম নীতির সম্পর্কে আমার কিছু জানা নাই।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রাণীশংকৈলে হঠাৎ ইটের দাম বৃদ্ধি; চরম বিপাকে গ্রাহকরা

Update Time : ০৯:১৪:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

হুমায়ুন কবির, রাণীশংকৈল:

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি অপ্রত্যাশিত মাঘের দু’দিনের মাঝারি বৃষ্টিপাতে উপজেলার ২৮ টি ইটভাটায় অনেক কাঁচা ইট নষ্ট হয়।

এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে ভাটা মালিকেরা দাবি করেন। তিন চারদিন পরে ওই ভাটাগুলোতে আবার পুরোদমে ইট উৎপাদন শুরু হয়।

যেখানে ১০/১২ দিন আগে প্রতি হাজার ইটের দাম ছিলো ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা।

আর এই বৃষ্টির অজুহাতে লোকসান পুষিয়ে নিতে ভাটা মালিকেরা প্রতি হাজার ইট করছেন ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কয়েকটি ভাটায় সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য চিত্র পাওয়া যায়।

এতে চরম বিপাকে পড়ছেন স্থানীয় ঠিকাদার ও সাধারণ গ্রাহকেরা। পৌরশহরের ইট গ্রাহক রব্বানী পারভেজ বলেন, ক’দিন আগেই ২ হাহার ইট কিনেছেন ১৭ হাজার টাকায়। এখন ইট কিনতে গিয়ে দেখি প্রতি হাজার ইট ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এই অতিরিক্ত টাকায় ইট কিনতে হিমহিম খাচ্ছি।

নেকরদ চন্দনচহট এলাকার ইসমাইল হোসেন বলেন, আমার বাড়ির কাজে কয়েকদিন আগ থেকে ইট কেনার কথা ভাবছিলাম গতকাল ২ হাজার ইট ২০ হাজার টাকায় কিনেছি। ইটের মুল্য নিধারণে সরকারি নেই কোন নীতিমালা। ইটভাটা মালিক সমিতিরও নেই কোন পদক্ষেপ বা নির্দিষ্ট মুল্য নিধারণ। তাই সামান্য ইচ্ছেমতো দামে ভাটা মালিকেরা ইট বিক্রি করছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেন।

এম,আর,বি ভাটার ম্যনেজার মঞ্জুর আলম বলেন, এবার বৃষ্টিতে ভাটার ব্যপক ক্ষতি হওয়ায় তা পুশিয়ে নিতে আমরা ইটের দাম বাড়িয়েছি। আরেক ভাটা মালিক রোওশন আলী বলেন বৃষ্টির আগে প্রতিগাড়ি ১৮ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। এখন ২০ হাজার টাকায় বিক্রি দিচ্ছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আহম্মদ হোসেন বিপ্লবের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ইট বিক্রির মূল্য নির্ধারণের ব্যাপারে আমাদের সমিতির কোন নীতিমালা নেই। ভাটা ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার লাভ লোকসান ভেবে যে যার মতো করে দাম নিয়ে ইট বিক্রি করছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুরকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, ইটের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে আমি শুনেছি। এই দাম বৃদ্ধির নিয়ম নীতির সম্পর্কে আমার কিছু জানা নাই।