সরিষা ক্ষেত থেকে মধু সংগ্রহ করে লাভবান হচ্ছেন মৌচাষিরা

  • Update Time : ১২:৪৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 193

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সরিষাক্ষেত। হলুদের চাদরে ঢেকে গেছে সবুজ মাঠ। এই সুযোগে মধু চাষিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মধু সংগ্রহে।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার নারায়ণপুর,সাটিয়া, একান্নপুর, জাবরহাট ও খটশিংগাসহ বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

যদিও দুদিন ধরে পৌষের অযাচিত হালকা বৃষ্টি ও বাতাসে বৈরী আবহাওয়ায় কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি করেছে তবুও মধু সংগ্রহের কার্যক্রমেব থেমে নেই মৌচাষিরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সরিষাক্ষেতের পাশে পোষা মৌমাছির শত শত বাক্স নিয়ে হাজির হয়েছেন মৌওয়ালারা। বাক্স থেকে হাজার হাজার মৌমাছি উড়ে গিয়ে মধু সংগ্রহে ঘুরে বেড়াচ্ছে সরিষা ফুলের মাঠে। ফুল থেকে মধু এনে বাক্সের ভেতরের চাকে জমা করে। আর এই চাক থেকেই মধু সংগ্রহ করেন মৌমাছি চাষিরা। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মৌচাষিরা এসব মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করেন। এতে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন তারা।

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা থেকে আসা মৌচাষি এরশাদ আলী জানান, ‘আমরা সরিষাক্ষেত থেকে বছরে চার মাস মধু সংগ্রহ করে থাকি। অন্য আট মাস কৃত্রিম পদ্ধতিতে চিনি খাইয়ে মৌমাছিদের পুষে রাখা হয়। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সরিষা থেকে মধু সংগ্রহের উপযুক্ত সময়।

আরেক মধু চাষি জানান, আকার ভেদে একটি বাক্স থেকে ২০- ৪০ কেজি পর্যন্ত মধু পাওয়া যায়। প্রতিটি মৌবাক্স তৈরিতে খরচ হয় আট থেকে ১০ হাজার টাকা। আর প্রতি কেজি মধু বিক্রি করা হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে। সরিষা ছাড়াও লিচু, মিষ্টি কুমড়া, কালোজিরা থেকেও মধু সংগ্রহ করা যায় বলে জানান তিনি।

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন,এবার উপজেলায় মোট ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনাও রয়েছে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রহমান বলেন,সরিষাক্ষেতের পাশে মৌবাক্স বসালে সরিষার ফলন ১০ ভাগ বেড়ে যায়। এবং এতে করে ফলনও বেশি হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সরিষা ক্ষেত থেকে মধু সংগ্রহ করে লাভবান হচ্ছেন মৌচাষিরা

Update Time : ১২:৪৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সরিষাক্ষেত। হলুদের চাদরে ঢেকে গেছে সবুজ মাঠ। এই সুযোগে মধু চাষিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মধু সংগ্রহে।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার নারায়ণপুর,সাটিয়া, একান্নপুর, জাবরহাট ও খটশিংগাসহ বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

যদিও দুদিন ধরে পৌষের অযাচিত হালকা বৃষ্টি ও বাতাসে বৈরী আবহাওয়ায় কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি করেছে তবুও মধু সংগ্রহের কার্যক্রমেব থেমে নেই মৌচাষিরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সরিষাক্ষেতের পাশে পোষা মৌমাছির শত শত বাক্স নিয়ে হাজির হয়েছেন মৌওয়ালারা। বাক্স থেকে হাজার হাজার মৌমাছি উড়ে গিয়ে মধু সংগ্রহে ঘুরে বেড়াচ্ছে সরিষা ফুলের মাঠে। ফুল থেকে মধু এনে বাক্সের ভেতরের চাকে জমা করে। আর এই চাক থেকেই মধু সংগ্রহ করেন মৌমাছি চাষিরা। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মৌচাষিরা এসব মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করেন। এতে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন তারা।

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা থেকে আসা মৌচাষি এরশাদ আলী জানান, ‘আমরা সরিষাক্ষেত থেকে বছরে চার মাস মধু সংগ্রহ করে থাকি। অন্য আট মাস কৃত্রিম পদ্ধতিতে চিনি খাইয়ে মৌমাছিদের পুষে রাখা হয়। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সরিষা থেকে মধু সংগ্রহের উপযুক্ত সময়।

আরেক মধু চাষি জানান, আকার ভেদে একটি বাক্স থেকে ২০- ৪০ কেজি পর্যন্ত মধু পাওয়া যায়। প্রতিটি মৌবাক্স তৈরিতে খরচ হয় আট থেকে ১০ হাজার টাকা। আর প্রতি কেজি মধু বিক্রি করা হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে। সরিষা ছাড়াও লিচু, মিষ্টি কুমড়া, কালোজিরা থেকেও মধু সংগ্রহ করা যায় বলে জানান তিনি।

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন,এবার উপজেলায় মোট ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনাও রয়েছে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রহমান বলেন,সরিষাক্ষেতের পাশে মৌবাক্স বসালে সরিষার ফলন ১০ ভাগ বেড়ে যায়। এবং এতে করে ফলনও বেশি হয়।