আজ সরস্বতী পূজা
- Update Time : ০১:৪১:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / 255
পাপ্পু কুমার,রাজশাহী:
আজ সরস্বতী পূজা, বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ সহ সকল ধরনের প্রস্তুতি করবে ভক্তরা। অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে কল্যাণময়ী দেবীর চরণে প্রণতি জানাবেন তারা। বাণী অর্চনার আরাধ্য দিন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা ।প্রতিবছর মাঘ মাসের শুল্ক পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে এই পূজা উৎযাপন করা হয়।
আজ শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা ৭ মিনিটে শুরু হয়েছে পঞ্চমী তিথি।
আগামিকাল রোববার সকাল ৭টা ৯ মিনিটে পূজার তিথি সমাপ্ত হবে। মা সরস্বতী জ্ঞানদায়িনী বিদ্যাদেবী সরস্বতী শ্বেত-শুভ্র বসনা। এক হাতে বীণা অন্যহাতে বেদপুস্তক মা সরস্বতীর। আর এ থেকেই বাণী অর্চনার প্রচলন। বিদ্যাদেবীর কৃপালাভের আশায় সারাদেশে আজ সকালে সরস্বতী পূজা উদযাপিত হবে।
ঢাক-ঢোল-কাঁশর আর শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠবে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ। সরস্বতী বিদ্যার ও ললিতকলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী হিসেবে পূজিত হন। ঐশ্বর্যদায়িনী, বুদ্ধিদায়িনী, জ্ঞানদায়িনী, সিদ্ধিদায়িনী, মোক্ষদায়িনী এবং শক্তির আঁধার হিসেবে সরস্বতী দেবীর আরাধনা করা হয়। করোনাকালে এবারের সরস্বতী পূজার আয়োজন হচ্ছে সীমিত পরিসরে ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে। পূজার আনুষ্ঠানিকতার বাইরে অন্য কোন আড়ম্বরতা থাকছে না। জনসমাগম হয় এমন আয়োজন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা হবে। অন্যদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ কারণে এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সরস্বতী পূজার আয়োজন হচ্ছে না। তবে অন্যান্য মন্দির, পূজামন্ডপ কিংবা ভক্তদের ঘরে ঘরে পূজার আয়োজন থাকছে।
সাদা রাজহাঁসে চড়ে বিদ্যা ও জ্ঞানদাত্রী দেবী সরস্বতী পৃথিবীতে আসেন। অফিস-আদালত, পাড়া-মহল্লায় আজ পূজামন্ডপে ভক্তরা মায়ের পদপদ্মে অঞ্জলি দেবেন। দেবীর সামনে ‘হাতেখড়ি’ দিয়ে শিশুদের বিদ্যাচর্চার সূচনা হবে অনেক স্থানে। পূজার অন্যতম উপকরণ- ফলমূল, ফুল, বেলপাতা, খই-মুরকী-বাতাসা-নাড়ু।
পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। হাজার বছর ধরে এ ভূখন্ডে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে একত্রে বসবাস করে আসছেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব ধর্মের উৎসব সকলে মিলে আনন্দ সহকারে উদযাপন করি। কাউকে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে দিবনা। আগামীদিনে সকল ধর্মের পারস্পরিক সম্প্রীতি আরো সুদৃঢ় হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবার প্রতি অনুরোধ, আপনারা করোনাভাইরাসের এ সংকটময় সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পূজা উদযাপন করবেন।’