থার্টিফার্স্ট নাইটের উৎসব খোলা জায়গায় নয়
- Update Time : ০১:৩২:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১
- / 159
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীতে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার পর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না। ফাস্টফুড দোকান খোলা থাকবে রাত ১০টা পর্যন্ত। রাত ৮টার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না।’
ইংরেজি নববর্ষকে স্বাগত জানাতে থার্টিফার্স্ট নাইটের উৎসব খোলা জায়গায় করা যাবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এদিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে আতশবাজি ও পটকা ফোটানোতে। যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে কঠোরভাবে। রাজধানীতে সন্ধ্যা ৬টার পর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না। ফাস্টফুড দোকান খোলা থাকবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে থার্টিফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে ব্রিফিং করেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। দুটি বছর আমাদের খুব খারাপ কেটেছে, সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা নতুন বছরে করোনা থেকে মুক্ত হয়ে যেন আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি।
‘নববর্ষের শুরুতে আমাদের সন্তানরা আতশবাজি পুড়িয়ে ও পটকা ফুটিয়ে আনন্দ করে থাকে। এতে অসুস্থ ও বয়স্করা অস্বস্তিতে পড়েন। এ জন্য এগুলো না করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নববর্ষের অনুষ্ঠান ঘিরে হুমকি নেই। যা নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে তা সতর্কতামূলক।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার পরে বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না জানিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় থাকা শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে শাহবাগ ক্রসিং হয়ে ঢুকতে পারবে।পরিচয় দিয়ে নীলক্ষেত ক্রসিং দিয়েও হেঁটে ঢোকা যাবে।
গুলশান ও বনানী এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা ঢুকতে পারবে না। তবে সে এলাকায় বসবাস করা নাগরিকরা নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় দিয়ে ঢুকতে পারবেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রাত ৮টার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাস করা নাগরিকদের রাত ৮টার মধ্যে নিজ এলাকায় ফিরতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
‘ঢাকা মহানগরীতে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার পর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না। ফাস্টফুড দোকান খোলা থাকবে রাত ১০টা পর্যন্ত।’
এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।
তিনি জানান, নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ব্রিফিংয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত কমিশনার (কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত কশিনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমানসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।