কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা মামলার দুই আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

  • Update Time : ১১:৫২:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১
  • / 170

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ:

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. সোহেল হত্যা মামলার দুই আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই দুজন হলেন মো. সাব্বির হোসেন (২৮) ও সাজন (৩২)।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে কুমিল্লার গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ–সংলগ্ন সংরাইশ বালুমহাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

এই দুজন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যা মামলার আসামি। সাব্বির ৩ ও সাজন ৫ নম্বর আসামি। পুলিশ বলছে, সাজন কাউন্সিলর সোহেলের বুকের বাঁ পাশে গুলি করেছিলেন। সাব্বির সোহেলকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করেছিলেন।

সাব্বির হোসেনের বাড়ি কুমিল্লা নগরের সুজানগর পানির ট্যাংক এলাকায়। তিনি ওই এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে। সাজনের বাড়ি নগরের সংরাইশ রহিম ডাক্তারের গলির ভেতরে। তিনি ওই এলাকার কাঁকন মিয়া ওরফে চোরা কাঁকনের ছেলে।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোহান সরকার বলেন, গতকাল রাত সোয়া ১২টার দিকে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কাউন্সিলর হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা কুমিল্লা নগরের সংরাইশ ও নবগ্রাম এলাকায় অবস্থান করছেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশের একাধিক দল গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করে। রাত পৌনে একটার দিকে পুলিশ সদস্যরা গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের কাছে পৌঁছালে আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকেন। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গোলাগুলি বন্ধ হলে ঘটনাস্থলে দুই ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সোয়া একটার দিকে তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাঁদের সাব্বির হোসেন ও সাজন হিসেবে শনাক্ত করা হয়। গোলাগুলির সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। তাঁদের পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি পাইপগান, পিস্তলের অব্যবহৃত গুলি, গুলির খোসা ও কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়।

২২ নভেম্বর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কুমিল্লা নগরের পাথুরিয়াপাড়া থ্রিস্টার এন্টারপ্রাইজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর মো. সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। এই ঘটনায় পরের দিন রাত সোয়া ১২টার দিকে নিহত কাউন্সিলরের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। গতকাল পর্যন্ত পুলিশ এজাহারভুক্ত পাঁচজন ও সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল রাতে বন্দুকযুদ্ধে এজাহারভুক্ত দুই আসামি নিহত হন। বাকি চার আসামি শাহ আলম, সোহেল ওরফে জেল সোহেল, সায়মন ও রনি পলাতক।

Please Share This Post in Your Social Media


কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা মামলার দুই আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

Update Time : ১১:৫২:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ:

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. সোহেল হত্যা মামলার দুই আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই দুজন হলেন মো. সাব্বির হোসেন (২৮) ও সাজন (৩২)।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে কুমিল্লার গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ–সংলগ্ন সংরাইশ বালুমহাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

এই দুজন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যা মামলার আসামি। সাব্বির ৩ ও সাজন ৫ নম্বর আসামি। পুলিশ বলছে, সাজন কাউন্সিলর সোহেলের বুকের বাঁ পাশে গুলি করেছিলেন। সাব্বির সোহেলকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করেছিলেন।

সাব্বির হোসেনের বাড়ি কুমিল্লা নগরের সুজানগর পানির ট্যাংক এলাকায়। তিনি ওই এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে। সাজনের বাড়ি নগরের সংরাইশ রহিম ডাক্তারের গলির ভেতরে। তিনি ওই এলাকার কাঁকন মিয়া ওরফে চোরা কাঁকনের ছেলে।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোহান সরকার বলেন, গতকাল রাত সোয়া ১২টার দিকে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কাউন্সিলর হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা কুমিল্লা নগরের সংরাইশ ও নবগ্রাম এলাকায় অবস্থান করছেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশের একাধিক দল গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করে। রাত পৌনে একটার দিকে পুলিশ সদস্যরা গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের কাছে পৌঁছালে আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকেন। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গোলাগুলি বন্ধ হলে ঘটনাস্থলে দুই ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সোয়া একটার দিকে তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাঁদের সাব্বির হোসেন ও সাজন হিসেবে শনাক্ত করা হয়। গোলাগুলির সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। তাঁদের পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি পাইপগান, পিস্তলের অব্যবহৃত গুলি, গুলির খোসা ও কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়।

২২ নভেম্বর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কুমিল্লা নগরের পাথুরিয়াপাড়া থ্রিস্টার এন্টারপ্রাইজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর মো. সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। এই ঘটনায় পরের দিন রাত সোয়া ১২টার দিকে নিহত কাউন্সিলরের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। গতকাল পর্যন্ত পুলিশ এজাহারভুক্ত পাঁচজন ও সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল রাতে বন্দুকযুদ্ধে এজাহারভুক্ত দুই আসামি নিহত হন। বাকি চার আসামি শাহ আলম, সোহেল ওরফে জেল সোহেল, সায়মন ও রনি পলাতক।