৬.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পাপুয়া নিউগিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:১৮:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪
  • / ২৯ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাপুয়া নিউগিনিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। রোববার (২৪ মার্চ) প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটির উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত অংশে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

অবশ্য ভূমিকম্পের জেরে সুনামির কোনও হুমকি সৃষ্টি হয়নি। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

ত্রাণ নিতে এসে লাশ হলো ১৯ অভুক্ত নিরীহ ফিলিস্তিনি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার পাপুয়া নিউ গিনির উত্তরাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) জানিয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ভূপৃষ্ঠের ৬৫ কিলোমিটার (৪০ মাইল) গভীরতায় আঘাত হনে ভূমিকম্পটি। যদিও ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠের ১০ ​​কিলোমিটার গভীরে ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল সংস্থাটি।

অন্যদিকে মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল আম্বুন্টি থেকে ৩২ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তর-পূর্বে।

এদিকে অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, এই ভূমিকম্প থেকে অস্ট্রেলিয়ায় সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই।

উল্লেখ্য, পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিকম্পের ঘটনা বেশ সাধারণ। এই দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত। এছাড়া টেকটোনিক প্লেটের মধ্যে ঘর্ষণের কারণে ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপের জন্য এই অঞ্চলটি একটি হটস্পট।

এর আগে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপে পাপুয়া নিউগিনি। সেসময় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটির কিম্বে শহরের দক্ষিণ-পূর্বে গভীর রাতে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

এছাড়া গত বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি। যদিও ভূমিকম্পের জেরে সেসময় সুনামির কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।

এর আগে গত বছরের এপ্রিলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দেশটির একটি জঙ্গল ঘেরা এলাকায় ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়। আর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে দেশটিতে প্রাণ হারান ১০ জন।

তারও আগে ২০১৮ সালে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে পাপুয়া নিউগিনিতে। সেসময় দেশটিতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায় এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

৬.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পাপুয়া নিউগিনি

Update Time : ০২:১৮:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাপুয়া নিউগিনিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। রোববার (২৪ মার্চ) প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটির উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত অংশে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

অবশ্য ভূমিকম্পের জেরে সুনামির কোনও হুমকি সৃষ্টি হয়নি। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

ত্রাণ নিতে এসে লাশ হলো ১৯ অভুক্ত নিরীহ ফিলিস্তিনি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার পাপুয়া নিউ গিনির উত্তরাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) জানিয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ভূপৃষ্ঠের ৬৫ কিলোমিটার (৪০ মাইল) গভীরতায় আঘাত হনে ভূমিকম্পটি। যদিও ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠের ১০ ​​কিলোমিটার গভীরে ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল সংস্থাটি।

অন্যদিকে মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল আম্বুন্টি থেকে ৩২ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তর-পূর্বে।

এদিকে অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, এই ভূমিকম্প থেকে অস্ট্রেলিয়ায় সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই।

উল্লেখ্য, পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিকম্পের ঘটনা বেশ সাধারণ। এই দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত। এছাড়া টেকটোনিক প্লেটের মধ্যে ঘর্ষণের কারণে ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপের জন্য এই অঞ্চলটি একটি হটস্পট।

এর আগে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপে পাপুয়া নিউগিনি। সেসময় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটির কিম্বে শহরের দক্ষিণ-পূর্বে গভীর রাতে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

এছাড়া গত বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি। যদিও ভূমিকম্পের জেরে সেসময় সুনামির কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।

এর আগে গত বছরের এপ্রিলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দেশটির একটি জঙ্গল ঘেরা এলাকায় ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়। আর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে দেশটিতে প্রাণ হারান ১০ জন।

তারও আগে ২০১৮ সালে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে পাপুয়া নিউগিনিতে। সেসময় দেশটিতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায় এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।