২৫ এজেন্সি আর ২৫০ সাব-এজেন্ট বাংলাদেশি জনবল পাঠাবে মালয়েশিয়ায়
- Update Time : ০৯:৪৭:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২
- / ১৪৭ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলছে বাংলাদেশিদের জন্য। গত ১০ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী সেরি এম সারাভানান বাংলাদেশিদের জন্য তাদের শ্রমবাজার খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়।
এরপর থেকেই বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও তৎপর হয়ে উঠছে মালয়েশিয়ায় জনবল পাঠাতে। তবে যে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকেই কর্মী নেবে না মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশের ২৫টি এজেন্সি ও ২৫০টি সাব-এজেন্টকে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি করার জন্য।
মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘মালয়েশিয়াকিনি’র প্রকাশিত এক সংবাদে জানা যায়, বাংলাদেশের নির্দিষ্ট ২৫ টি রিক্রুটিং এজেন্ট (বিআরএ) ও ২৫০ সাব-এজেন্টের নাম কর্মী নিয়োগের নিবন্ধন তালিকায় যুক্ত। গতমাসে হওয়া দুই দেশের সরকারের মধ্যে সমঝোতা চুক্তির খসড়াতে এমনই তথ্য উল্লেখ আছে।
এর আগে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছিলেন, কোনো ধরণের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নয়, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) অধীনে থাকা ডাটা ব্যাংক মালয়েশিয়ায় জনবল পাঠানো হবে।
গেলো বছর ১৯ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরে নতুন করে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি শুরু করতে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর আগে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর অভিযোগে প্রায় তিন বছর ধরে বন্ধ ছিলো মালয়েশিয়ায় জনবল পাঠানো। নতুন এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়ে আবারও শুরু করার কাজ এগিয়ে নিয়ে আসে দুই দেশই।
মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম জানায়, ২৫ এজেন্সি ও ২৫০ সাব-এজেন্টের নামের তালিকা ও চুক্তির খসড়া তাদের কাছে রয়েছে। ঐ খসড়ায় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে নতুন করে কর্মী নিয়োগ এবং প্রত্যাবাসনের প্রস্তাবিত প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির রূপরেখার ব্যাপারে বিশদ বর্ণনা রয়েছে।
এর আগে মালয়েশিয়ার মন্ত্রী সারাভান জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের পরই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। নির্মাণ, কৃষি, সেবা খাত, গৃহকর্ম, শিল্প উৎপাদন, খনিজ উত্তোলন এবং বৃক্ষরোপণ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া হবে। দেশটির সব খাতেই বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের ব্যাপারে মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদ সম্মত হয়েছে। তবে এবারই প্রথমবারের মতো বৃক্ষরোপণ খাতে বিদেশি শ্রমিক নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।