হাইমচরে দৃষ্টিনন্দন বাঙ্গির ফলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:৫৭:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৮৮ Time View
শরীফ মো: মাছুম বিল্লাহ:
হাইমচর উপজেলার উত্তর-পূর্ব চরভাঙ্গা ও চরাঞ্চলে দিগন্ত জোড়া মাঠে এবার বাঙ্গি ফলের দৃষ্টিনন্দন ফলন হয়েছে। সবুজ-হলুদ রঙে সেজেছে বাঙ্গির ক্ষেত। বাহারী এই মৌসুমী ফল বাঙ্গির বাজারে দরও চড়া। ফলন ও বাজার দরে খুশি চাষীরা।
.
৩নং আলগী দক্ষিণ ইউনিয়ন চরভাঙ্গা গ্রামের বাঙ্গি চাষী জাকির শেখ জানান, গত সৃজনে মেঘনায় অনাকাঙ্ক্ষিত জোয়ারে যেমন ক্ষতি সাধন হয়েছে, তেমনি ফসলি জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তাই এবার ব্যাপক বাঙ্গির ফলন হওয়ায় আমাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ঘুরে দাড়িয়েছি। তিনি এ বছর প্রায় দেড় একর জমিতে বাঙ্গি চাষ করেছেন।
.
প্রায় সাড়ে তিন মাস পরিচর্যার পর বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এখন বাঙ্গি পাকতে শুরু করেছে। প্রতিদিন পাকা বাঙ্গি তুলে বাজারে পাঠাচ্ছেন। একই গ্রামের শাহাজান শেখ, ইব্রাহিম শেখ, সৈয়দ আহমদ জমাদারসহ অন্যান্য চাষীরা জানান, বর্তমানে স্থানীয় বাজারে বড় আকারের (প্রায় পাঁচ কেজি) বাঙ্গি প্রতিটি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, মাঝারি আকারের (প্রায় তিন কেজি) প্রতিটি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং ছোট আকারের (প্রায় দেড় কেজি) প্রতিটি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে কেনা-বেচা চলছে।
.
No description available.
.
হাইমচর উপজেলা সদর আলগী বাজারের পাইকারী বাঙ্গি ব্যাবসায়ী মোঃ বেলাল ও জাহাঙ্গীর হোসেন জানান এখন গরমকালে বাঙ্গি ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। হাইমচরে উৎপাদিত বাঙ্গি ফল উপজেলার চাহিদা পূরণ করে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলাশহর ও মহানগরের বাজারেও যাচ্ছে।
.
আরো বেশি জমিতে বাঙ্গি চাষ হলে দাম কিছুটা কমতো। গতকাল ৩১ মার্চ ২০২১ বুধবার হাইমচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, বাঙ্গি ফলে রয়েছে প্রচুর শর্করা, খনিজ, মিনারেল, ভিটামিন-এ এবং সি।
.
এজন্য গরমে বাঙ্গি ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়া বাঙ্গি ফলে সুগার কম থাকায় ডায়বেটিস রোগীদের জন্য এ ফল গুরুত্বপূর্ণ।
.
তিনি আরো জানান, শরীর ঠান্ডা রাখতে তরমুজের পর বাঙ্গি দ্বিতীয় তালিকায় রয়েছে। বাঙ্গি গাছ দেখতে অনেকটা শসা গাছের মতো, লতানো। অনেকে কাঁচা বাঙ্গি সবজি হিসেবে রান্না করে খায়। এ ফল পাকলে হলুদ রঙ ধারণ করে।
.
চলতি বছরে হাইমচর উপজেলায় প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ২৩/২৪ টন বাঙ্গি উৎপাদন হচ্ছে বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার।

Please Share This Post in Your Social Media

হাইমচরে দৃষ্টিনন্দন বাঙ্গির ফলন

Update Time : ১২:৫৭:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১
শরীফ মো: মাছুম বিল্লাহ:
হাইমচর উপজেলার উত্তর-পূর্ব চরভাঙ্গা ও চরাঞ্চলে দিগন্ত জোড়া মাঠে এবার বাঙ্গি ফলের দৃষ্টিনন্দন ফলন হয়েছে। সবুজ-হলুদ রঙে সেজেছে বাঙ্গির ক্ষেত। বাহারী এই মৌসুমী ফল বাঙ্গির বাজারে দরও চড়া। ফলন ও বাজার দরে খুশি চাষীরা।
.
৩নং আলগী দক্ষিণ ইউনিয়ন চরভাঙ্গা গ্রামের বাঙ্গি চাষী জাকির শেখ জানান, গত সৃজনে মেঘনায় অনাকাঙ্ক্ষিত জোয়ারে যেমন ক্ষতি সাধন হয়েছে, তেমনি ফসলি জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তাই এবার ব্যাপক বাঙ্গির ফলন হওয়ায় আমাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ঘুরে দাড়িয়েছি। তিনি এ বছর প্রায় দেড় একর জমিতে বাঙ্গি চাষ করেছেন।
.
প্রায় সাড়ে তিন মাস পরিচর্যার পর বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এখন বাঙ্গি পাকতে শুরু করেছে। প্রতিদিন পাকা বাঙ্গি তুলে বাজারে পাঠাচ্ছেন। একই গ্রামের শাহাজান শেখ, ইব্রাহিম শেখ, সৈয়দ আহমদ জমাদারসহ অন্যান্য চাষীরা জানান, বর্তমানে স্থানীয় বাজারে বড় আকারের (প্রায় পাঁচ কেজি) বাঙ্গি প্রতিটি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, মাঝারি আকারের (প্রায় তিন কেজি) প্রতিটি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং ছোট আকারের (প্রায় দেড় কেজি) প্রতিটি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে কেনা-বেচা চলছে।
.
No description available.
.
হাইমচর উপজেলা সদর আলগী বাজারের পাইকারী বাঙ্গি ব্যাবসায়ী মোঃ বেলাল ও জাহাঙ্গীর হোসেন জানান এখন গরমকালে বাঙ্গি ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। হাইমচরে উৎপাদিত বাঙ্গি ফল উপজেলার চাহিদা পূরণ করে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলাশহর ও মহানগরের বাজারেও যাচ্ছে।
.
আরো বেশি জমিতে বাঙ্গি চাষ হলে দাম কিছুটা কমতো। গতকাল ৩১ মার্চ ২০২১ বুধবার হাইমচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, বাঙ্গি ফলে রয়েছে প্রচুর শর্করা, খনিজ, মিনারেল, ভিটামিন-এ এবং সি।
.
এজন্য গরমে বাঙ্গি ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়া বাঙ্গি ফলে সুগার কম থাকায় ডায়বেটিস রোগীদের জন্য এ ফল গুরুত্বপূর্ণ।
.
তিনি আরো জানান, শরীর ঠান্ডা রাখতে তরমুজের পর বাঙ্গি দ্বিতীয় তালিকায় রয়েছে। বাঙ্গি গাছ দেখতে অনেকটা শসা গাছের মতো, লতানো। অনেকে কাঁচা বাঙ্গি সবজি হিসেবে রান্না করে খায়। এ ফল পাকলে হলুদ রঙ ধারণ করে।
.
চলতি বছরে হাইমচর উপজেলায় প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ২৩/২৪ টন বাঙ্গি উৎপাদন হচ্ছে বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার।