ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালকের অপসারণ দাবি
- Update Time : ০৯:৪৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
- / 126
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ব্রিগে. জেনারেল ডা. ইফফাত আরা, উপপরিচালক ডা. মাকসুদুল আলম, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. শফিকুল ইসলাম এবং ডা. নাজমুল আরেফিন তানভীরসহ আরও কয়েক জনের সম্পৃক্ততায় এক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে দুর্নীতি। এমন অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসক ও কর্মচারী-কর্মকর্তারা।
রোববার (২৪ মার্চ) সকালে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ ডা. শফিকুর রহমান, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতাল স্বাচিপের সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, স্বাচিপ নেতা ডা. মাসফিক মাহবুব, হাসপাতালটির কর্মচারী ওয়ার্ড বয় বাচ্চু মিয়া, উজ্জ্বল প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, হাসপাতলে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো, আইসিইউ, এইচডিইউ স্থাপন, মেডিকেল যন্ত্রপাতি ক্রয়, ইকো মেশিন, এক্সরে মেশিন ক্রয়, চিকিৎসক, কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ-কোথায় হচ্ছে না দুর্নীতি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কোটি কোটি টাকার সিটি স্ক্যান/এমআরআই মেডিকেল ডায়াগনস্টিক যন্ত্রপাতি নিয়মানুযায়ী জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ব্যতীত বিনা টেন্ডারে ব্যক্তিগত অবৈধ আর্থিক লেনদেন এবং তাদের পছন্দমত কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে কোম্পানিরই প্রোণোদোনায় (ঘুষ) জাপানে প্রমোদ ভ্রমন করেছেন এই চক্রটি। এর মাধ্যমে বাজার মূল্যের চেয়ে সিটি স্ক্যান মেশিন দ্বিগুনেরও বেশি দামে ক্রয় করেছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ইফফাত আরা পরিচালকের সফর সঙ্গী ছিলেন রেডিওলজি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. এনামুল্লাহ যাকে সচল এক্সরে মেশিনকে নষ্ট দেখিয়ে কোটি টাকার ডিজিটাল এক্সরে মেশিন ক্রয়কালীন লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মাসাতের কারণে প্রতিষ্ঠান হতে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন। আরও এক সফর সঙ্গী প্রতিষ্ঠানের মেডিসিন বিভাগের আরপি ডা. মো. মাকসুদুল আলম যিনি সকল রোগের চিকিৎসক, রোগিদের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মিত প্রতারণাকারী, সকল ধরনের কেনা-কাটায় কমিশন বাণিজ্য এবং ওষুধ কোম্পানিসমূহকে জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জনের কারণে সকলের কাছে ঘৃণিত, নিন্দিত। উক্ত আরপির নামে দাখিলকৃত প্রতারণার অভিযোগ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বরং তাকে উপপরিচালকের দায়িত্ব দিয়ে দুই বৎসরের চাকরি বর্ধিত করেছেন। সকল জালিয়াতমূলক কর্মকাণ্ডের কাগজপত্রের মাধ্যমে বৈধতা দানকারী সহকারী পরিচালক শফিক তাদের আরও একজন সফর সঙ্গী। সরকার হতে প্রাপ্ত বিশ থেকে বাইশ কোটি টাকার অনুদান গরিব রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার না করে নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারার মহাউৎসব চলছে।
তারা বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল চিকিৎসক কর্মকর্তা কর্মচারীদের চিকিৎসা সংক্রন্ত সুযোগ সুবিধাসমূহ বন্ধ করে দিয়ে পরিচালক নিজের জন্য এবং আত্মীয় স্বজনদের (চাকরি দেওয়া, হাসপাতালের বিভিন্ন কাজের অবৈধ কন্ট্রাক দেওয়া, পরমর্শ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া) জন্য সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন। এই সমস্ত অনিয়ম এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে চাকরিচ্যুতি এবং হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আমরা এহেন দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা, জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং হাসপাতালের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে অনতিবিলম্বে একটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তথাকথিত ভালো মানুষদের মুখোশ উম্মোচন করে সবার অতিসত্ত্বর অপসারণ চাচ্ছি।