সাপের কামড়ে প্রাণ হারালো গৃহবধূ জেসমিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:৩৭:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৫৮ Time View

হুমায়ুন কবির,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ

খাবার রান্না করার জন্য খড়ি ঘর থেকে রান্নার জ্বালানি ভুট্টার ডাটা আনতে গিয়ে বিষাক্ত সাপের দংশনে প্রাণ হারিয়েছে জেসমিন
আক্তার(২০)নামে এক গৃহবধূ।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় রাউতনগর মধ্যপাড়া গ্রামে এ মর্মান্তিক অকাল মৃত্যুতে শোকের মাতম নেমে আসে ওই গৃহবধূর পরিবারে। পারিবারিক সূত্রমতে, ঘটনার দিন জেসমিন রান্না করার জন্য লাকড়ি ঘর থেকে ভুট্টার ডাটা আনতে গেলে সেখানে তার হাতে সাপে কামড় দেয়। তাৎক্ষণিক তাকে স্থানীয় ওঝার মাধ্যমে ঝাঁড়-ফুক করা হয়। এরপর অবস্থা আরো অবনতি হলে তাকে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। অ্যান্টভিনেম ভ্যাকসিন না থাকায় কর্তব্যরত ডাক্তার জেসমিনকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেকর্ড করেন। দিনাজপুর যাওয়ার পথিমধ্যে গৃহবধূ জেসমিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা.আব্দুস সামাধ চৌধুরী মুঠোফোনে জানান, আমাদের এখানে
অ্যান্টভিনেম ভ্যাকসিন না থাকায় অনেক রোগীকে আমাদের বিভিন্ন জেলা
পর্যায়ের হাসপাতালে রেফার্ড করতে হয়। তবে আমরা অ্যান্টভিনেম ভ্যাকসিন
রাখার বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়েছি। প্রসঙ্গত:ইতোপূর্বে এ
উপজেলায় অ্যান্টভিনেম ভ্যাকসিনের
অভাবে বিষাক্ত সর্পদংশনে অনেক রোগী মারা গেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

সাপের কামড়ে প্রাণ হারালো গৃহবধূ জেসমিন

Update Time : ১২:৩৭:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হুমায়ুন কবির,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ

খাবার রান্না করার জন্য খড়ি ঘর থেকে রান্নার জ্বালানি ভুট্টার ডাটা আনতে গিয়ে বিষাক্ত সাপের দংশনে প্রাণ হারিয়েছে জেসমিন
আক্তার(২০)নামে এক গৃহবধূ।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় রাউতনগর মধ্যপাড়া গ্রামে এ মর্মান্তিক অকাল মৃত্যুতে শোকের মাতম নেমে আসে ওই গৃহবধূর পরিবারে। পারিবারিক সূত্রমতে, ঘটনার দিন জেসমিন রান্না করার জন্য লাকড়ি ঘর থেকে ভুট্টার ডাটা আনতে গেলে সেখানে তার হাতে সাপে কামড় দেয়। তাৎক্ষণিক তাকে স্থানীয় ওঝার মাধ্যমে ঝাঁড়-ফুক করা হয়। এরপর অবস্থা আরো অবনতি হলে তাকে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। অ্যান্টভিনেম ভ্যাকসিন না থাকায় কর্তব্যরত ডাক্তার জেসমিনকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেকর্ড করেন। দিনাজপুর যাওয়ার পথিমধ্যে গৃহবধূ জেসমিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা.আব্দুস সামাধ চৌধুরী মুঠোফোনে জানান, আমাদের এখানে
অ্যান্টভিনেম ভ্যাকসিন না থাকায় অনেক রোগীকে আমাদের বিভিন্ন জেলা
পর্যায়ের হাসপাতালে রেফার্ড করতে হয়। তবে আমরা অ্যান্টভিনেম ভ্যাকসিন
রাখার বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়েছি। প্রসঙ্গত:ইতোপূর্বে এ
উপজেলায় অ্যান্টভিনেম ভ্যাকসিনের
অভাবে বিষাক্ত সর্পদংশনে অনেক রোগী মারা গেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।