সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নেওয়া সংবিধানস্বীকৃত গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি হুমকিস্বরূপ : ডুজা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:১৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
  • / ১৫২ Time View

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) সভাপতি মামুন তুষার ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রুবেল।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ কিংবা পরোয়ানা ছাড়াই সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে তুলে নেওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক। তুলে নেওয়ার পর আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিষয়টি স্বীকার না করার ঘটনা বিপজ্জনক। এ ধরনের ঘটনা দেশের স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং সংবিধানস্বীকৃত গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি একধরনের হুমকি বলে আমরা মনে করি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, যে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়ায় তার প্রতিবিধান সম্ভব। তা না করে ভোরে একজন সাংবাদিককে তাঁর বাসা থেকে তুলে নেওয়ার ঘটনা সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম বিরূপ আচরণ। এই ধরনের আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। সংবিধানস্বীকৃত গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহযোগিতা থাকা উচিত বলে আমরা মনে করি। তাঁকে মুক্তি দিতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তা স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়ায় সুরাহা করা যেতে পারে। একইসঙ্গে আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার সব সাংবাদিকের মুক্তি এবং বিভিন্ন সময়ে দেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার দাবি করছি।

উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী আমবাগান এলাকার বাসা থেকে বুধবার(২৯ মার্চ) ভোরে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে। সিআইডির পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা সাধারণ পোশাকে ছিলেন। তবে স্থানীয় পুলিশ ও সিআইডির ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা এ বিষয়ে কিছু জানেন না।

শামসুজ্জামান শামসকে তুলে নেওয়ার সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন সিআইডির সঙ্গে ছিলেন। সেই কথা তিনি স্বীকারও করেছেন। বাসা থেকে তুলে নেওয়ার সময় শামসুজ্জামান শামস যে বাড়িতে থাকেন, সেই বাড়ির মালিককে ডাকেন সিআইডি পরিচয়ধারী ব্যক্তিরা। বাড়ির মালিককে তাঁরা বলেন, শামসুজ্জামান শামসের করা একটি প্রতিবেদনের বিষয়ে রাষ্ট্রের আপত্তি আছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নেওয়া হচ্ছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নেওয়া সংবিধানস্বীকৃত গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি হুমকিস্বরূপ : ডুজা

Update Time : ০৩:১৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) সভাপতি মামুন তুষার ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রুবেল।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ কিংবা পরোয়ানা ছাড়াই সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে তুলে নেওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক। তুলে নেওয়ার পর আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিষয়টি স্বীকার না করার ঘটনা বিপজ্জনক। এ ধরনের ঘটনা দেশের স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং সংবিধানস্বীকৃত গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি একধরনের হুমকি বলে আমরা মনে করি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, যে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়ায় তার প্রতিবিধান সম্ভব। তা না করে ভোরে একজন সাংবাদিককে তাঁর বাসা থেকে তুলে নেওয়ার ঘটনা সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম বিরূপ আচরণ। এই ধরনের আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। সংবিধানস্বীকৃত গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহযোগিতা থাকা উচিত বলে আমরা মনে করি। তাঁকে মুক্তি দিতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তা স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়ায় সুরাহা করা যেতে পারে। একইসঙ্গে আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার সব সাংবাদিকের মুক্তি এবং বিভিন্ন সময়ে দেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার দাবি করছি।

উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী আমবাগান এলাকার বাসা থেকে বুধবার(২৯ মার্চ) ভোরে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে। সিআইডির পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা সাধারণ পোশাকে ছিলেন। তবে স্থানীয় পুলিশ ও সিআইডির ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা এ বিষয়ে কিছু জানেন না।

শামসুজ্জামান শামসকে তুলে নেওয়ার সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন সিআইডির সঙ্গে ছিলেন। সেই কথা তিনি স্বীকারও করেছেন। বাসা থেকে তুলে নেওয়ার সময় শামসুজ্জামান শামস যে বাড়িতে থাকেন, সেই বাড়ির মালিককে ডাকেন সিআইডি পরিচয়ধারী ব্যক্তিরা। বাড়ির মালিককে তাঁরা বলেন, শামসুজ্জামান শামসের করা একটি প্রতিবেদনের বিষয়ে রাষ্ট্রের আপত্তি আছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নেওয়া হচ্ছে।