‘সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই অভূতপূর্ব উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৮:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৩ Time View

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়নের পথে। বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা প্রমাণ করেছি রাজনৈতিক সদ্বিচ্ছা এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সীমিত সম্পদ দিয়েও একটি দেশকে এগিয়ে নেয়া যায়।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, শহিদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হতে দেব না। আওয়ামী লীগের কোনো প্রভু নেই, বন্ধু আছে। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরীতা নয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর অস্ত্রের মুখে সামরিক শাসকেরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করে কায়েম করে একনায়কতন্ত্র। স্থবির হয়ে পড়ে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতার নেয়া সকল কার্যক্রম। জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের পরিবর্তে ক্ষমতাসীনরা তাদের নিজেদের ভাগ্য বদলাতে বিভোর হয়ে থাকে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ একুশ বছরের ইতিহাস এদেশের মানুষের নিপীড়ন আর বঞ্চনার ইতিহাস। এ সময় লুটপাট, দুর্নীতি, ইতিহাস বিকৃতি, মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনাকে ধূলিস্যাৎ করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর এবং পশ্চাদপদ দেশের তকমা পরিয়ে দেয়া হয়। নিদারুণ দারিদ্র্য, ক্ষুধা, অকাল মৃত্যু এবং শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসার অভাব ছিল এদেশের মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। সাধারণ মানুষ এসব বঞ্চনাকে ভাগ্যের লিখন হিসেবে মেনে নিতো। তখন মানুষকে বুঝতেই দেয়া হয়নি যে, তাদের প্রতি সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে কিছু আছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

‘সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই অভূতপূর্ব উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ’

Update Time : ০৮:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়নের পথে। বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা প্রমাণ করেছি রাজনৈতিক সদ্বিচ্ছা এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সীমিত সম্পদ দিয়েও একটি দেশকে এগিয়ে নেয়া যায়।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, শহিদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হতে দেব না। আওয়ামী লীগের কোনো প্রভু নেই, বন্ধু আছে। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরীতা নয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর অস্ত্রের মুখে সামরিক শাসকেরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করে কায়েম করে একনায়কতন্ত্র। স্থবির হয়ে পড়ে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতার নেয়া সকল কার্যক্রম। জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের পরিবর্তে ক্ষমতাসীনরা তাদের নিজেদের ভাগ্য বদলাতে বিভোর হয়ে থাকে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ একুশ বছরের ইতিহাস এদেশের মানুষের নিপীড়ন আর বঞ্চনার ইতিহাস। এ সময় লুটপাট, দুর্নীতি, ইতিহাস বিকৃতি, মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনাকে ধূলিস্যাৎ করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর এবং পশ্চাদপদ দেশের তকমা পরিয়ে দেয়া হয়। নিদারুণ দারিদ্র্য, ক্ষুধা, অকাল মৃত্যু এবং শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসার অভাব ছিল এদেশের মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। সাধারণ মানুষ এসব বঞ্চনাকে ভাগ্যের লিখন হিসেবে মেনে নিতো। তখন মানুষকে বুঝতেই দেয়া হয়নি যে, তাদের প্রতি সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে কিছু আছে।