শীতে শিশুদের রোগ-বালাই ও প্রতিকারের উপায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:২৬:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১
  • / ১৬৭ Time View

ডা: সাঈদুল হক:

প্রথমে নিজেদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। শিশুর রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ও ঠান্ডা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। শীতে বাচ্চার হাত পায়ে মোজা ও কান টুপি পরিয়ে রাখতে হবে, বিশেষ করে যখন ঘরের বাইরে যাবে। দু-বছর বয়সের বেশি সব শিশুকেই নিয়মিত মাস্ক পড়াতে হবে, যাতে ধুলাবালি থেকে বাঁচানো যায়।

শিশুদেরকে অসুস্থ রোগীর সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখা জরুরি। বড়দের মতো নিয়মিত শিশুদেরও ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস করাতে হবে। বারবার যেন তারা নাকে ও মুখে হাত না দেয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভিটামিন-সি (লেবু, মাল্টা, কমলার রস) জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে।

শিশুদের নিয়মিত টিকাদান নিশ্চিত করতে হবে। ভিটামিন-এ ক্যাম্পেইনের সময় ভিটামিন-এ খাওয়াতে হবে। এগুলো শ্বাসতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শিশুদের শরীরে সরিষার তেল ব্যবহার না করাই ভালো।

এতে শিশুর ত্বকের ক্ষতি হয় ও ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বেড়ে যায়। শীতে একদিন পরপর গোসল করানো যায় তবে নিয়মিত গা মুছে দেওয়াটা জরুরি। ধুলাবালি থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে হবে। শিশুর সামনে ধূমপান না করা ও মাটির চুলার ধোঁয়া যাতে শ্বাসের সঙ্গে না ঢুকে যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

নবজাতকের যত্ন

শীতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে নবজাতকরা। কারণ তাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা অপরিপক্ক। নবজাতকের চামড়া খুব পাতলা থাকায় শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারেনা।

এসময় নবজাতকদের ঠিকমতো ঠান্ডা থেকে দূরে না রাখতে পারলে নিউমোনিয়া, জ্বর ও অন্যান্য জটিল সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নবজাতকের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মায়ের বুকের দুধের বিকল্প নেই।

জন্মের পর থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। তাছাড়া নবজাতকের সংস্পর্শে আসলে হাত স্যানিটাইজ করতে হবে। মায়ের ঠান্ডার সমস্যা থাকলে মাস্ক পরিধান করে নবজাতকের সংস্পর্শে আসতে হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

শীতে শিশুদের রোগ-বালাই ও প্রতিকারের উপায়

Update Time : ১০:২৬:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১

ডা: সাঈদুল হক:

প্রথমে নিজেদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। শিশুর রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ও ঠান্ডা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। শীতে বাচ্চার হাত পায়ে মোজা ও কান টুপি পরিয়ে রাখতে হবে, বিশেষ করে যখন ঘরের বাইরে যাবে। দু-বছর বয়সের বেশি সব শিশুকেই নিয়মিত মাস্ক পড়াতে হবে, যাতে ধুলাবালি থেকে বাঁচানো যায়।

শিশুদেরকে অসুস্থ রোগীর সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখা জরুরি। বড়দের মতো নিয়মিত শিশুদেরও ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস করাতে হবে। বারবার যেন তারা নাকে ও মুখে হাত না দেয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভিটামিন-সি (লেবু, মাল্টা, কমলার রস) জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে।

শিশুদের নিয়মিত টিকাদান নিশ্চিত করতে হবে। ভিটামিন-এ ক্যাম্পেইনের সময় ভিটামিন-এ খাওয়াতে হবে। এগুলো শ্বাসতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শিশুদের শরীরে সরিষার তেল ব্যবহার না করাই ভালো।

এতে শিশুর ত্বকের ক্ষতি হয় ও ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বেড়ে যায়। শীতে একদিন পরপর গোসল করানো যায় তবে নিয়মিত গা মুছে দেওয়াটা জরুরি। ধুলাবালি থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে হবে। শিশুর সামনে ধূমপান না করা ও মাটির চুলার ধোঁয়া যাতে শ্বাসের সঙ্গে না ঢুকে যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

নবজাতকের যত্ন

শীতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে নবজাতকরা। কারণ তাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা অপরিপক্ক। নবজাতকের চামড়া খুব পাতলা থাকায় শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারেনা।

এসময় নবজাতকদের ঠিকমতো ঠান্ডা থেকে দূরে না রাখতে পারলে নিউমোনিয়া, জ্বর ও অন্যান্য জটিল সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নবজাতকের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মায়ের বুকের দুধের বিকল্প নেই।

জন্মের পর থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। তাছাড়া নবজাতকের সংস্পর্শে আসলে হাত স্যানিটাইজ করতে হবে। মায়ের ঠান্ডার সমস্যা থাকলে মাস্ক পরিধান করে নবজাতকের সংস্পর্শে আসতে হবে।