শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে ইশা ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৬:২৮:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১
  • / ৪০৯ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনার অজুহাতে দুই শিক্ষাবর্ষে দীর্ঘ ৪৩৬ দিন যাবত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দরুন প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তর পর্যন্ত দেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে। যেখানে রাষ্ট্রের সকল কার্যক্রম চলমান। গণ পরিবহন, অফিস-আদালত, কারখানা-গার্মেন্টসসহ কি খোলা নেই বাংলাদেশে! কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেই শুধু করোনা বাড়বে? এটি মিথ্যা অজুহাত ও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি। সর্বশেষ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৯ তম সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে উপমহাদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘৃণিত নজির স্থাপন করেছে।
.
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিকাল ৩টায় রাজধানীর শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘর চত্ত্বরে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর উদ্যোগে “যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত পূর্বক অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে” আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।
.
No description available.
.
তিনি বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। কিন্তু শিক্ষা যদি হয় অটোপাশ তবে জাতি হবে মেধা শূন্য। শিক্ষার্থীরা আজ বই-খাতা রেখে জীবিকার তাড়নায় কাজে নিয়োজিত হচ্ছে। অনেকেই শিক্ষার আশা ছেড়ে দিচ্ছে। অপর দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। মাদক, ইয়াবা ও শিশু ধ্বংসাত্মক ডিভাইস তাদের নিত্য সঙ্গী হচ্ছে। এভাবে জাতিকে বোকা বানিয়ে একটি মেধাহীন প্রজন্ম তৈরি করে দেশকে অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাই, তিনি শিক্ষা নিয়ে সরকারকে তামাশা বন্ধের জোর দাবী জানান।
.
বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন বলেন, শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে। শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী মহল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সকলেই সরকারকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য বারংবার তাগিদ দিয়ে আসলেও কারো কথায় কর্ণপাত না করে সরকার একগুঁয়ে আচরণ করে যাচ্ছে। অনতিবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে সরকার আবারও এসএসসি ও এইচএসসিতে অটোপাশ দিতে বাধ্য হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট বাড়বে। তাই অটোপাশ নয়, সেশনজট নয়।
.
No description available.
.
শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় মনযোগ ফিরাতে অতিসত্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল থেকে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ নিম্মোক্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করেন-
১. ৩০ মে’২১ দেশব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের সামনে মানববন্ধন।
২. ৩০ মে’২১ থেকে ০৬ জুন’২১ সপ্তাহকাল ব্যাপী গণসাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি।
৩. ৭ জুন’২১ জেলায় জেলায় মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান।
৪. ১০ জুন’২১ থানায় থানায় মানববন্ধন ও ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান।
৫. শিক্ষা ব্যবস্থার সংকট নিরসনকল্পে জাতীয় শিক্ষাবিদ, অভিভাবক ও সুধীজনের সাথে মতবিনিময়।
৬. এরপরেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা না হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি।
ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম শোয়াইব এর সঞ্চালনায় আয়োজিত বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইউসুফ আহমাদ মানসুর, দাওয়াহ ও অফিস সম্পাদক এইচ এম সাখাওয়াত উল্লাহ, প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহীম হুসাইন, প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক নূরুল বশর আজিজী, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক এম এ হাসিব গোলদারসহ কেন্দ্রীয় ও নগর নেতৃবৃন্দ।

Please Share This Post in Your Social Media

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে ইশা ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল

Update Time : ০৬:২৮:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনার অজুহাতে দুই শিক্ষাবর্ষে দীর্ঘ ৪৩৬ দিন যাবত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দরুন প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তর পর্যন্ত দেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে। যেখানে রাষ্ট্রের সকল কার্যক্রম চলমান। গণ পরিবহন, অফিস-আদালত, কারখানা-গার্মেন্টসসহ কি খোলা নেই বাংলাদেশে! কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেই শুধু করোনা বাড়বে? এটি মিথ্যা অজুহাত ও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি। সর্বশেষ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৯ তম সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে উপমহাদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘৃণিত নজির স্থাপন করেছে।
.
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিকাল ৩টায় রাজধানীর শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘর চত্ত্বরে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর উদ্যোগে “যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত পূর্বক অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে” আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।
.
No description available.
.
তিনি বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। কিন্তু শিক্ষা যদি হয় অটোপাশ তবে জাতি হবে মেধা শূন্য। শিক্ষার্থীরা আজ বই-খাতা রেখে জীবিকার তাড়নায় কাজে নিয়োজিত হচ্ছে। অনেকেই শিক্ষার আশা ছেড়ে দিচ্ছে। অপর দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। মাদক, ইয়াবা ও শিশু ধ্বংসাত্মক ডিভাইস তাদের নিত্য সঙ্গী হচ্ছে। এভাবে জাতিকে বোকা বানিয়ে একটি মেধাহীন প্রজন্ম তৈরি করে দেশকে অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাই, তিনি শিক্ষা নিয়ে সরকারকে তামাশা বন্ধের জোর দাবী জানান।
.
বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন বলেন, শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে। শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী মহল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সকলেই সরকারকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য বারংবার তাগিদ দিয়ে আসলেও কারো কথায় কর্ণপাত না করে সরকার একগুঁয়ে আচরণ করে যাচ্ছে। অনতিবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে সরকার আবারও এসএসসি ও এইচএসসিতে অটোপাশ দিতে বাধ্য হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট বাড়বে। তাই অটোপাশ নয়, সেশনজট নয়।
.
No description available.
.
শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় মনযোগ ফিরাতে অতিসত্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল থেকে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ নিম্মোক্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করেন-
১. ৩০ মে’২১ দেশব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের সামনে মানববন্ধন।
২. ৩০ মে’২১ থেকে ০৬ জুন’২১ সপ্তাহকাল ব্যাপী গণসাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি।
৩. ৭ জুন’২১ জেলায় জেলায় মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান।
৪. ১০ জুন’২১ থানায় থানায় মানববন্ধন ও ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান।
৫. শিক্ষা ব্যবস্থার সংকট নিরসনকল্পে জাতীয় শিক্ষাবিদ, অভিভাবক ও সুধীজনের সাথে মতবিনিময়।
৬. এরপরেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা না হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি।
ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম শোয়াইব এর সঞ্চালনায় আয়োজিত বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইউসুফ আহমাদ মানসুর, দাওয়াহ ও অফিস সম্পাদক এইচ এম সাখাওয়াত উল্লাহ, প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহীম হুসাইন, প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক নূরুল বশর আজিজী, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক এম এ হাসিব গোলদারসহ কেন্দ্রীয় ও নগর নেতৃবৃন্দ।