শাওমি ও সোনু সুদের উদ্যোগে স্মার্টফোন পাচ্ছে ১ হাজার শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:৫১:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১০৭ Time View

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে জীবনযাপনে পরিবর্তন এসেছে। আর এই পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো ওয়ার্ক ফ্রম হোম এবং অনলাইন ক্লাস। ডিজিটাল মিডিয়ার সুবাদে মুঠোফোনের মাধ্যমেই বাড়িতে বসে অনালাইনে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে প্রত্যন্ত গ্রাম বা সমাজে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষ সেই সুবিধা ভোগ করতে পারছে না। তাই যাদের স্মার্টফোন কেনার মতো আর্থিক অবস্থা নেই তাদের জন্য এমআই ইন্ডিয়া সংস্থা বলিউড অভিনেতা সোনু সুদের সহযোগিতায় #ShikshaHarHaath উদ্যোগ চালু করতে যাচ্ছে।

তাদের উদ্দেশ্য, দেশের কোনো শিক্ষার্থী যেন অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত না হয়। ডিজিটাল বিভাজন ঘটাতে এবং সমাজের দুর্বল অংশের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে শেখার ক্ষেত্রে অ্যাক্সেস পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উদ্যোগটি শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি করার পথকে আরও সুপ্রসারিত করবে।

সংস্থাটির দাবি, প্রচারটি একটি ধারাবাহিক প্রচেষ্টা হবে, যেখানে শেষ লক্ষ্যটি হবে ‘সকলের জন্য শিক্ষা’। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস জানিয়েছে, স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী এই সংস্থাটি সারা দেশে প্রায় হাজার খানেক রেডমি স্মার্টফোন শিক্ষার্থীদের অনুদান করার পরিকল্পনা নিয়েছে।

এমআই ইন্ডিয়া শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে। যেসব শিক্ষার্থীর সত্যিই স্মার্টফোনের দরকার রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করার জন্য থার্ড পার্টি এজেন্সিগুলোর সঙ্গে কথা বলবে।

এমআই ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনু জৈন বলেছেন, দেশে প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ লোকের কাছে স্মার্টফোন বা কোনো উন্নত ডিভাইস নেই। করোনাকালীন আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, স্মার্টফোনের অভাবের কারণে কোনো শিশুর পড়াশোনার ক্ষতি হওয়া উচিৎ নয়। #ShikshaHarHaath উদ্যোগটি সকল শিক্ষার্থীর পড়াশোনার বিষয়টিকে নিশ্চিত করে।

তিনি আরও বলেন, আগে সোনু সুদ অনেক সামাজিক কাজ করেছেন। তাই এই উদ্যোগটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভাবতে পারি না। সংস্থার ভাবমূর্তি আরও জোরদার করার জন্য আমরা সোনু সুদকে বেছে নিয়েছি।

মনু জৈন বলেন, সোনু সুদকে আমরা পাশে পেয়ে অত্যন্ত গর্বিত। করোনাকালে তার অসাধারণ অবদানের সঙ্গে তিনি কেবল অসহায়দেরই সাহায্য করেননি, তার জন্য একটা আন্দোলন ছিল, যা সবাইকে আনন্দ দিয়েছে। আমরা আশা করছি এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা সবচেয়ে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারব।

সোনু সংবাদ জানান, শিক্ষার ক্ষেত্রে সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে, এমন প্রতিটি ব্যক্তির সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করব। অনলাইন শিক্ষার সময় শিশুদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করাই আমাদের উদ্দেশ্য।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

শাওমি ও সোনু সুদের উদ্যোগে স্মার্টফোন পাচ্ছে ১ হাজার শিক্ষার্থী

Update Time : ১১:৫১:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে জীবনযাপনে পরিবর্তন এসেছে। আর এই পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো ওয়ার্ক ফ্রম হোম এবং অনলাইন ক্লাস। ডিজিটাল মিডিয়ার সুবাদে মুঠোফোনের মাধ্যমেই বাড়িতে বসে অনালাইনে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে প্রত্যন্ত গ্রাম বা সমাজে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষ সেই সুবিধা ভোগ করতে পারছে না। তাই যাদের স্মার্টফোন কেনার মতো আর্থিক অবস্থা নেই তাদের জন্য এমআই ইন্ডিয়া সংস্থা বলিউড অভিনেতা সোনু সুদের সহযোগিতায় #ShikshaHarHaath উদ্যোগ চালু করতে যাচ্ছে।

তাদের উদ্দেশ্য, দেশের কোনো শিক্ষার্থী যেন অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত না হয়। ডিজিটাল বিভাজন ঘটাতে এবং সমাজের দুর্বল অংশের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে শেখার ক্ষেত্রে অ্যাক্সেস পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উদ্যোগটি শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি করার পথকে আরও সুপ্রসারিত করবে।

সংস্থাটির দাবি, প্রচারটি একটি ধারাবাহিক প্রচেষ্টা হবে, যেখানে শেষ লক্ষ্যটি হবে ‘সকলের জন্য শিক্ষা’। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস জানিয়েছে, স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী এই সংস্থাটি সারা দেশে প্রায় হাজার খানেক রেডমি স্মার্টফোন শিক্ষার্থীদের অনুদান করার পরিকল্পনা নিয়েছে।

এমআই ইন্ডিয়া শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে। যেসব শিক্ষার্থীর সত্যিই স্মার্টফোনের দরকার রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করার জন্য থার্ড পার্টি এজেন্সিগুলোর সঙ্গে কথা বলবে।

এমআই ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনু জৈন বলেছেন, দেশে প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ লোকের কাছে স্মার্টফোন বা কোনো উন্নত ডিভাইস নেই। করোনাকালীন আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, স্মার্টফোনের অভাবের কারণে কোনো শিশুর পড়াশোনার ক্ষতি হওয়া উচিৎ নয়। #ShikshaHarHaath উদ্যোগটি সকল শিক্ষার্থীর পড়াশোনার বিষয়টিকে নিশ্চিত করে।

তিনি আরও বলেন, আগে সোনু সুদ অনেক সামাজিক কাজ করেছেন। তাই এই উদ্যোগটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভাবতে পারি না। সংস্থার ভাবমূর্তি আরও জোরদার করার জন্য আমরা সোনু সুদকে বেছে নিয়েছি।

মনু জৈন বলেন, সোনু সুদকে আমরা পাশে পেয়ে অত্যন্ত গর্বিত। করোনাকালে তার অসাধারণ অবদানের সঙ্গে তিনি কেবল অসহায়দেরই সাহায্য করেননি, তার জন্য একটা আন্দোলন ছিল, যা সবাইকে আনন্দ দিয়েছে। আমরা আশা করছি এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা সবচেয়ে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারব।

সোনু সংবাদ জানান, শিক্ষার ক্ষেত্রে সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে, এমন প্রতিটি ব্যক্তির সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করব। অনলাইন শিক্ষার সময় শিশুদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করাই আমাদের উদ্দেশ্য।