পেশায় রিকশাচালক, থাকেন বস্তিতে। কিন্তু এসবই লোক দেখানো। মূল পেশা ছিনতাই। গড়ে তোলা হয়েছে সংঘবদ্ধ ছিনতাই দল। ছিনতাইয়ে তাদের বাহনও রিকশা। পুরান ঢাকা কেন্দ্রীক চক্রটির এমন সদস্যও আছে যারা একটি দুটি নয় একশ’র বেশী ছিনতাই করেছে। পুলিশ বলছে চক্রটি গেলো ৮ থেকে ১০ বছর ধরে রাজধানীতে ছিনতাই চালিয়ে আসছিলো।
চলতি বছরের ৫ আগস্ট। আইনজীবী আল মামুন ভুইয়া রিকশায় উঠেন পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার থেকে। গন্তব্য গুলিস্তান। কিন্তু, পথে হঠাৎ গতিরোধ। পেছনে এসে দাঁড়ায় আরেকটি রিকশা। কিছুক্ষণের মধ্যে আশপাশ থেকে এসে জড়ো হয় আরও কয়েকজন। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সঙ্গে থাকা ২ লাখ ২২ হাজার টাকা ছিনতাই।
পর পর এরকম কয়েকটি ছিনতাই হয় বংশালে। তদন্তে নামে পুলিশ। সন্ধান মেলে বড় একটি ছিনতাইকারী চক্রের যাদের বেশিরভাগরই দৃশ্যমান পেশা রিকশাচালক।
পুলিশ বলছে, তারা পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় রিকশা নিয়ে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকে। টার্গেট করা যাত্রীকে রিকশায় তুলে গন্তব্যে যাওয়ার পথে পেছন থেকে অনুসরণ করে একটি রিক্সা। সামনে আগে থেকেই থাকে আরেকটি রিকশা। সুবিধামত জায়গায় গিয়ে গতিরোধ। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে জড়ো হয় আরো কয়েকজন। ভয়ভীতি দেখিয়ে ছিনিয়ে নেয়া হয় টাকা পয়সা।
পুলিশ বলছে, চক্রটির সদস্য সংখ্যা ২০ জন। যারা দেশের ১০টি জেলা থেকে ঢাকায় আসে জীবিকার সন্ধানে। বস্তিতে থাকা সুবাধে একে অন্যের সাথে পরিচয় হয়। বিশজননের দলটি কয়েক ভাগ হয়ে কাজ করে। তাদের মধ্যে হাসান, মিরাজ, আমির আলী, ২০১৩ সাল থেকে ছিনতাই করে। পরে তাদের সঙ্গে যোগ হয় জাহাঙ্গীর, বিল্লাল, বোরহান এবং সোবহান।
নজরুল, শামসুল আরেফিনসহ দলটির অন্য সদস্যরা ছিনতাই করে গেলো ৫ থেকে ৬ বছর ধরে। তাদের কেউ কেউ একশ’র বেশি ছিনতাইয়ে অংশ নিয়েছে বলে জানান ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার।
চক্রের পলাতক সদস্যদের গেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশ।