রাজশাহীতে ৩৩৩-এ কল করলেই পৌঁছে যাবে খাবার বা নগদ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৯:১১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১
  • / ১৫০ Time View

ইউসুফ আলী চৌধুরী,রাজশাহী প্রতিনিধি:

রাজশাহীতে চলছে লকডাউন। এমন পরিস্থিতে চরমভাবে সংকটে রয়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তবে এই পরিস্থিতিতে যারা খাদ্যসংকটে রয়েছেন তারা ৩৩৩ নম্বরে কল করলে খাবার বা নগদ টাকা পৌছে দিবে স্থানীয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার(২৪ জুন)নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে লকডাউনের সার্বিক পরিস্থিতি সরোজমিনে দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।

তিনি বলেন, আমাদের ৩৩৩ নম্বর আছে। সেখানে ফোন করলে আমরা খাবার বা নগদ টাকা পৌছে দিব। বর্তমানে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অবহ্যত রয়েছে। এর বাইরেও নগর আওয়ামী লীগ, ও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করছে। পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী আমাদের মজুদ আছে। কোন মানুষ খাদ্যর অভাবে সংকটে থাকবে না বলে জানান রাজশাহী জেলা প্রশাসক।

এ সময় তিনি সকলকে স্বাস্থাবিধি মেনে বিনা প্রয়োজনে বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও জানান। এদিকে, করোনা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে নগরীর সকল গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর নজরদারি রাখছে। জরুরি প্রয়োজন বাদে কেউ রাস্তায় বের হতে পারছে না। আর একদফায় ৬দিন বাড়ানো হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন। চলবে আগামী ৩০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত।

বুধবার রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল সংবাদ সম্মেলন করে লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা দেন। এসময় তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা না কমায় প্রশাসনের পক্ষে মহানগরীতে লকডাউন বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় সমন্বয়সভা শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হবে। ফলে চলমান সর্বাত্মক লকডাউন আগামী ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল আরও বলেন, ২৪ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত দ্বিতীয় দফা লকডাউন চলছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত লকডাউনেও আগের মতোই দোকানপাট,গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। শুধু চালু থাকবে জরুরি পরিবহণ ও ওষুধের দোকান।

এদিকে রাজশাহীতে ঈদুল ফিতরের পর থেকেই আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু। বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের রাজশাহীর ১৩ জন, চাঁপাইনবাগঞ্জের একজন, নওগাঁর চারজন। এ পর্যন্ত এটাই এই হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও আটজন নারী। যাদের আটজনের করোনা পজেটিভ ছিল। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।

উল্লেখ্য, এর আগে ১১ জুন থেকে ১৭ জুন প্রথম দফা এবং ১৮ জুন থেকে ২৪ জুন দ্বিতীয়বারের মতো রাজশাহী মহানগরী এলাকায় সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা ও কার্যকর করা হয়। এবার আরেক দফা সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়া হচ্ছে, যা ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আগের লকডাউনের সব শর্ত ও বিধিনিষেধ এবারও বহাল থাকবে।

Please Share This Post in Your Social Media

রাজশাহীতে ৩৩৩-এ কল করলেই পৌঁছে যাবে খাবার বা নগদ টাকা

Update Time : ০৯:১১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১

ইউসুফ আলী চৌধুরী,রাজশাহী প্রতিনিধি:

রাজশাহীতে চলছে লকডাউন। এমন পরিস্থিতে চরমভাবে সংকটে রয়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তবে এই পরিস্থিতিতে যারা খাদ্যসংকটে রয়েছেন তারা ৩৩৩ নম্বরে কল করলে খাবার বা নগদ টাকা পৌছে দিবে স্থানীয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার(২৪ জুন)নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে লকডাউনের সার্বিক পরিস্থিতি সরোজমিনে দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।

তিনি বলেন, আমাদের ৩৩৩ নম্বর আছে। সেখানে ফোন করলে আমরা খাবার বা নগদ টাকা পৌছে দিব। বর্তমানে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অবহ্যত রয়েছে। এর বাইরেও নগর আওয়ামী লীগ, ও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করছে। পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী আমাদের মজুদ আছে। কোন মানুষ খাদ্যর অভাবে সংকটে থাকবে না বলে জানান রাজশাহী জেলা প্রশাসক।

এ সময় তিনি সকলকে স্বাস্থাবিধি মেনে বিনা প্রয়োজনে বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও জানান। এদিকে, করোনা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে নগরীর সকল গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর নজরদারি রাখছে। জরুরি প্রয়োজন বাদে কেউ রাস্তায় বের হতে পারছে না। আর একদফায় ৬দিন বাড়ানো হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন। চলবে আগামী ৩০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত।

বুধবার রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল সংবাদ সম্মেলন করে লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা দেন। এসময় তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা না কমায় প্রশাসনের পক্ষে মহানগরীতে লকডাউন বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় সমন্বয়সভা শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হবে। ফলে চলমান সর্বাত্মক লকডাউন আগামী ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল আরও বলেন, ২৪ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত দ্বিতীয় দফা লকডাউন চলছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত লকডাউনেও আগের মতোই দোকানপাট,গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। শুধু চালু থাকবে জরুরি পরিবহণ ও ওষুধের দোকান।

এদিকে রাজশাহীতে ঈদুল ফিতরের পর থেকেই আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু। বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের রাজশাহীর ১৩ জন, চাঁপাইনবাগঞ্জের একজন, নওগাঁর চারজন। এ পর্যন্ত এটাই এই হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও আটজন নারী। যাদের আটজনের করোনা পজেটিভ ছিল। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।

উল্লেখ্য, এর আগে ১১ জুন থেকে ১৭ জুন প্রথম দফা এবং ১৮ জুন থেকে ২৪ জুন দ্বিতীয়বারের মতো রাজশাহী মহানগরী এলাকায় সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা ও কার্যকর করা হয়। এবার আরেক দফা সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়া হচ্ছে, যা ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আগের লকডাউনের সব শর্ত ও বিধিনিষেধ এবারও বহাল থাকবে।