রমজানের আগেই বেড়েছে মশলার দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৯:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৪৩ Time View

 

রাজশাহী প্রতিনিধি

রাজশাহীতে রমজানের আগে বেড়ে গেল বিভিন্ন ধরনের মশলার দাম। অন্যান্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও খুচরা ও পাইকারি বাজারে বাড়তি দাম মশলার। বাড়তি এই দাম নিয়ে হতাশ ক্রেতারা।

শুক্রবার(৯ এপ্রিল)নগরীর সাহেববাজার ঘুরে দেখা যায়, মোটামুটি সব পণ্যের দাম স্থিতিশীল। গত সোমবার থেকে লকডাউন ঘোষণার পর হঠাৎ বাড়তে শুরু করেছিল সব পণ্যের দাম। চারদিন বাড়তি দাম থাকলেও শুক্রবার সব পণ্যের দামই স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসে। তবে দাম কমেনি শুধু মশলার।

মশলা ব্যবসায়ীরা বলছেন, লকডাউনের কারণে আমদানি তুলনামূলক কমে যাবার কারণেই দাম বাড়তি। যদি রমজানের আগে আমদানি স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসে তাহলে কমতে পারে মশলার দাম। খুচরা ও পাইকারি মশলার বাজার ঘুরে দেখা যায়, দারুচিনির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২৯০ টাকা। খুচরা বাজারে ৫ টাকা বেড়ে দাম হয়েছে ৪০ টাকা সোয়া। লং এর দাম কেজিতে ২০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৮০০ টাকা। তেমনি খুচরা বাজারে ২০ টাকা বেড়ে দাম হয়েছে ১৬০ টাকা সোয়া। দাম বড়েছে এলাচেরও।

এলাচের দাম কেজিপ্রতি ২০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫০০ টাকা। খুচরা বাজারেও দাম ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৬০ টাকা সোয়া। জিরার দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ২৮৫ টাকা কেজি খুচরা বাজারেও ৩ টাকা বেড়ে দাম হয়েছে ৯০ টাকা সোয়া। তবে মশলার দাম বাড়লেও স্থিতীশিল আছে সবজির দাম। বাজারে পটল ৩০-৪০ টাকা, গাজর ২০-৩০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, আলু ১৫- ২০ টাকা, পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে কিনতে পারছেন ক্রেতারা। সবজির পাশাপাশি স্থিতিশীল আছে মাছেরও দাম। ইলিশ ৮০০-১০০০ টাকা, মিরকা ১৫০- ১৬০ টাকা, কাতল ২০০- ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

নগরীর সাহেব বাজারে এসেছিলেন মামুন হোসেন। তিনি বলেন, লকডাউন শুরুর পর দাম বেশ বেড়ে গিয়েছিল। তবে এখন আবার কমেছে। শুধু মশলার দামই একটু বেশি। মশলার দাম কমলে বাকিগুলোই মোটামুটি কমই আছে। নগরীর মেসার্স টনি ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারী টনি আহমেদ বলেন, লকডাউনের কারণে আমদানি কমে যাবার কারণে মশলার দাম একটু কমেছে। তবে রোজার আগে যদি আমদানি স্বাভাবিক হয় তাহলে সব মশলার দামই কমে যাবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

রমজানের আগেই বেড়েছে মশলার দাম

Update Time : ০৯:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১

 

রাজশাহী প্রতিনিধি

রাজশাহীতে রমজানের আগে বেড়ে গেল বিভিন্ন ধরনের মশলার দাম। অন্যান্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও খুচরা ও পাইকারি বাজারে বাড়তি দাম মশলার। বাড়তি এই দাম নিয়ে হতাশ ক্রেতারা।

শুক্রবার(৯ এপ্রিল)নগরীর সাহেববাজার ঘুরে দেখা যায়, মোটামুটি সব পণ্যের দাম স্থিতিশীল। গত সোমবার থেকে লকডাউন ঘোষণার পর হঠাৎ বাড়তে শুরু করেছিল সব পণ্যের দাম। চারদিন বাড়তি দাম থাকলেও শুক্রবার সব পণ্যের দামই স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসে। তবে দাম কমেনি শুধু মশলার।

মশলা ব্যবসায়ীরা বলছেন, লকডাউনের কারণে আমদানি তুলনামূলক কমে যাবার কারণেই দাম বাড়তি। যদি রমজানের আগে আমদানি স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসে তাহলে কমতে পারে মশলার দাম। খুচরা ও পাইকারি মশলার বাজার ঘুরে দেখা যায়, দারুচিনির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২৯০ টাকা। খুচরা বাজারে ৫ টাকা বেড়ে দাম হয়েছে ৪০ টাকা সোয়া। লং এর দাম কেজিতে ২০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৮০০ টাকা। তেমনি খুচরা বাজারে ২০ টাকা বেড়ে দাম হয়েছে ১৬০ টাকা সোয়া। দাম বড়েছে এলাচেরও।

এলাচের দাম কেজিপ্রতি ২০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫০০ টাকা। খুচরা বাজারেও দাম ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৬০ টাকা সোয়া। জিরার দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ২৮৫ টাকা কেজি খুচরা বাজারেও ৩ টাকা বেড়ে দাম হয়েছে ৯০ টাকা সোয়া। তবে মশলার দাম বাড়লেও স্থিতীশিল আছে সবজির দাম। বাজারে পটল ৩০-৪০ টাকা, গাজর ২০-৩০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, আলু ১৫- ২০ টাকা, পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে কিনতে পারছেন ক্রেতারা। সবজির পাশাপাশি স্থিতিশীল আছে মাছেরও দাম। ইলিশ ৮০০-১০০০ টাকা, মিরকা ১৫০- ১৬০ টাকা, কাতল ২০০- ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

নগরীর সাহেব বাজারে এসেছিলেন মামুন হোসেন। তিনি বলেন, লকডাউন শুরুর পর দাম বেশ বেড়ে গিয়েছিল। তবে এখন আবার কমেছে। শুধু মশলার দামই একটু বেশি। মশলার দাম কমলে বাকিগুলোই মোটামুটি কমই আছে। নগরীর মেসার্স টনি ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারী টনি আহমেদ বলেন, লকডাউনের কারণে আমদানি কমে যাবার কারণে মশলার দাম একটু কমেছে। তবে রোজার আগে যদি আমদানি স্বাভাবিক হয় তাহলে সব মশলার দামই কমে যাবে।