মোবাইল আর্থিক সেবায় পিছিয়ে নারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:৫১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১৪ Time View

মোবাইল আর্থিক সেবায় (এমএফএস) গ্রাহক বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে হিসাবধারীদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছেন নারীরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এমএফএস হিসাবধারী পুরুষের সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি। অপরদিকে নারীদের হিসাব সংখ্যা ৯ কোটির কিছু বেশি।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মোবাইল আর্থিক সেবায় নারীরা পিছিয়ে রয়েছে। প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও মোবাইল ব্যবহারের সুযোগ কম থাকায় গ্রামের নারীরা এমএফএস সেবা গ্রহণে পিছিয়ে রয়েছেন। এছাড়া দেশে এমএফএস লেনদেনে পরিষেবা খরচ অনেক বেশি। লেনদেনের খরচ কমিয়ে এই সেবাকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করা গেলে গ্রাহক বাড়বে বলেও মনে করছেন তারা।

অন্যদিকে এমএফএস গ্রাহকের মধ্যে সাড়ে ১২ কোটির অবস্থান গ্রামে। শহর এলাকায় এই সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৯ কোটি। অর্থাৎ শহরের তুলনায় গ্রামে এমএফএস গ্রাহক বেশি।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে ঠিক কত নাগরিক এমএফএসের আওতায় এসেছেন, তা বলা যাচ্ছে না। তবে প্রতিটি পরিবারেই সেবাটি পৌঁছে গেছে বলা যায়।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৭ কোটি ১০ লাখ। আর দেশে এমএফএস গ্রাহকের সংখ্যা এখন ২২ কোটির বেশি। একজন গ্রাহক একাধিক এমএফএস সেবায় হিসাব খুলতে পারেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মোবাইল আর্থিক সেবায় লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। গত পাঁচ বছরে এমএফএসে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৩০৪ শতাংশ।

আলোচ্য এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে ব্যক্তিপর্যায়ের লেনদেন। এরপরে এগিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মার্চেন্ট পেমেন্ট, বেতন পরিশোধ, পরিষেবা বিল, সরকারি ভাতা, টকটাইম ও প্রবাসীয় আয়সংক্রান্ত লেনদেন।

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার তথ্য বলছে, গত পাঁচ বছরে দেশে এমএফএস গ্রাহকের সংখ্যা তিনগুণ বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে এমএফএস গ্রাহক ছিল প্রায় পৌনে ৭ কোটি, যা গত বছর ২২ কোটি ছাড়িয়েছে। ফেব্রুয়ারি শেষে দেশে এমএফএস গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ২২ কোটি ১৪ লাখ ৭৮ হাজার ৬২৫ জন। শুধু গত এক বছরেই প্রায় আড়াই কোটি এমএফএস গ্রাহক বেড়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

মোবাইল আর্থিক সেবায় পিছিয়ে নারীরা

Update Time : ০৩:৫১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

মোবাইল আর্থিক সেবায় (এমএফএস) গ্রাহক বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে হিসাবধারীদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছেন নারীরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এমএফএস হিসাবধারী পুরুষের সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি। অপরদিকে নারীদের হিসাব সংখ্যা ৯ কোটির কিছু বেশি।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মোবাইল আর্থিক সেবায় নারীরা পিছিয়ে রয়েছে। প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও মোবাইল ব্যবহারের সুযোগ কম থাকায় গ্রামের নারীরা এমএফএস সেবা গ্রহণে পিছিয়ে রয়েছেন। এছাড়া দেশে এমএফএস লেনদেনে পরিষেবা খরচ অনেক বেশি। লেনদেনের খরচ কমিয়ে এই সেবাকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করা গেলে গ্রাহক বাড়বে বলেও মনে করছেন তারা।

অন্যদিকে এমএফএস গ্রাহকের মধ্যে সাড়ে ১২ কোটির অবস্থান গ্রামে। শহর এলাকায় এই সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৯ কোটি। অর্থাৎ শহরের তুলনায় গ্রামে এমএফএস গ্রাহক বেশি।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে ঠিক কত নাগরিক এমএফএসের আওতায় এসেছেন, তা বলা যাচ্ছে না। তবে প্রতিটি পরিবারেই সেবাটি পৌঁছে গেছে বলা যায়।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৭ কোটি ১০ লাখ। আর দেশে এমএফএস গ্রাহকের সংখ্যা এখন ২২ কোটির বেশি। একজন গ্রাহক একাধিক এমএফএস সেবায় হিসাব খুলতে পারেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মোবাইল আর্থিক সেবায় লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। গত পাঁচ বছরে এমএফএসে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৩০৪ শতাংশ।

আলোচ্য এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে ব্যক্তিপর্যায়ের লেনদেন। এরপরে এগিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মার্চেন্ট পেমেন্ট, বেতন পরিশোধ, পরিষেবা বিল, সরকারি ভাতা, টকটাইম ও প্রবাসীয় আয়সংক্রান্ত লেনদেন।

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার তথ্য বলছে, গত পাঁচ বছরে দেশে এমএফএস গ্রাহকের সংখ্যা তিনগুণ বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে এমএফএস গ্রাহক ছিল প্রায় পৌনে ৭ কোটি, যা গত বছর ২২ কোটি ছাড়িয়েছে। ফেব্রুয়ারি শেষে দেশে এমএফএস গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ২২ কোটি ১৪ লাখ ৭৮ হাজার ৬২৫ জন। শুধু গত এক বছরেই প্রায় আড়াই কোটি এমএফএস গ্রাহক বেড়েছে।