মিরপুর বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড: পুড়ল প্রায় অর্ধশতাধিক বসতঘর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৯:৪৯:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৮ Time View

রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরের বাগানবাড়ির একটি বস্তিতে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে প্রায় অর্ধশতাধিক বসতঘর। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার মধ্যরাতে মিরপুরের ১৪ নম্বর মোড়ের তেলের পাম্পের পেছনের বস্তির একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত। যা মূহুর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের ঘরগুলোতে।

খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আগুনের মাত্রা বাড়তে থাকলে যোগ দেয় আরও তিনটি ইউনিট। প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

প্রত্যক্ষদর্শী ইমরান হোসাইন বলেন, চারভাগের তিনভাগ নিভে যাওয়ার পরে ফায়ার সার্ভিস এসেছে। যদিও তাদের দোষ নেই এখানে। কারণ, তারা যাতায়াতের জন্য কোনো পথ পাচ্ছিলেন না। সকল রাস্তাই সরু।

ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক শাজাহান শিকদার বলেন, প্রায় ৩০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অগ্নিকাণ্ডে। আগুনের ভয়ে সাধারণ মানুষ বের হবার চেষ্টা করেছে আর আমরা তখন ঢুকতে চেষ্টা করেছি। যার ফলে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। তবুও আমরা পরবর্তীতে ভেতরে ঢুকতে পেরেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও কারণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা হবে বলেও জানান তিনি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

মিরপুর বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড: পুড়ল প্রায় অর্ধশতাধিক বসতঘর

Update Time : ০৯:৪৯:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরের বাগানবাড়ির একটি বস্তিতে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে প্রায় অর্ধশতাধিক বসতঘর। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার মধ্যরাতে মিরপুরের ১৪ নম্বর মোড়ের তেলের পাম্পের পেছনের বস্তির একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত। যা মূহুর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের ঘরগুলোতে।

খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আগুনের মাত্রা বাড়তে থাকলে যোগ দেয় আরও তিনটি ইউনিট। প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

প্রত্যক্ষদর্শী ইমরান হোসাইন বলেন, চারভাগের তিনভাগ নিভে যাওয়ার পরে ফায়ার সার্ভিস এসেছে। যদিও তাদের দোষ নেই এখানে। কারণ, তারা যাতায়াতের জন্য কোনো পথ পাচ্ছিলেন না। সকল রাস্তাই সরু।

ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক শাজাহান শিকদার বলেন, প্রায় ৩০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অগ্নিকাণ্ডে। আগুনের ভয়ে সাধারণ মানুষ বের হবার চেষ্টা করেছে আর আমরা তখন ঢুকতে চেষ্টা করেছি। যার ফলে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। তবুও আমরা পরবর্তীতে ভেতরে ঢুকতে পেরেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও কারণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা হবে বলেও জানান তিনি।