মারামারির ঘটনায় ৩ সহকারী অ্যার্টনি জেনারেল বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৭:৩৬:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
  • / ৪২ Time View

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে সরকারি দলের পক্ষের আইনজীবীদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনায় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদ, জাকির হোসেন মাসুদ ও শ্যামা আক্তারকে বরখাস্ত করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

সোমবার (১১ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর রুনা নাহিদ আকতারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহমেদ ও অ্যাডভোকেট শ্যামা আক্তারের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে অত্র মন্ত্রণালয়ের বিগত ১২/০৬/২০১৭ খ্রি. তারিখের ০৯/সলিসিটর/২০০৯-৪৬ নং, ১৯/১০/২০১৭ খ্রি. তারিখের ০৯/সলিসিটর /২০০৯-৮৬ নং ও ০৭/০৭/২০১৯ খ্রি. তারিখের ০৯/সলিসিটর/২০০৯-৬৩ নং স্মারকে প্রদত্ত নিয়োগ আদেশ বাতিলক্রমে তাদের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি দেওয়া হলো।’ এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সরকারি দল সমর্থিত প্যানেলের বাইরে গিয়ে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি সম্পাদক পদে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করেন। তিনি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী। বরখাস্তকৃত তিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথির অনুসারী বলে জানান আইনজীবীরা। এদের মধ্যে কাজী বশির ও জাকির হোসেন মাসুদ মারামারির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি।

জানা গেছে, গত ৬-৭ মার্চ ভোটগ্রহণ শেষে ৭ মার্চ রাত থেকে ভোট গণনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সম্পাদক পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীর সমর্থকদের সঙ্গে নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির সদস্যদের মারধর-হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

সরকার দলীয় প্রার্থীদের সমর্থকদের এ মারামারির ঘটনায় অপর সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথিকে আসামি করার পাশাপাশি বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জন আইনজীবীকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর রাতেই বিএনপির ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীসহ মোট পাঁচ আইনজীবী গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

মারামারির ঘটনায় ৩ সহকারী অ্যার্টনি জেনারেল বরখাস্ত

Update Time : ০৭:৩৬:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে সরকারি দলের পক্ষের আইনজীবীদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনায় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদ, জাকির হোসেন মাসুদ ও শ্যামা আক্তারকে বরখাস্ত করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

সোমবার (১১ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর রুনা নাহিদ আকতারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহমেদ ও অ্যাডভোকেট শ্যামা আক্তারের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে অত্র মন্ত্রণালয়ের বিগত ১২/০৬/২০১৭ খ্রি. তারিখের ০৯/সলিসিটর/২০০৯-৪৬ নং, ১৯/১০/২০১৭ খ্রি. তারিখের ০৯/সলিসিটর /২০০৯-৮৬ নং ও ০৭/০৭/২০১৯ খ্রি. তারিখের ০৯/সলিসিটর/২০০৯-৬৩ নং স্মারকে প্রদত্ত নিয়োগ আদেশ বাতিলক্রমে তাদের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি দেওয়া হলো।’ এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সরকারি দল সমর্থিত প্যানেলের বাইরে গিয়ে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি সম্পাদক পদে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করেন। তিনি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী। বরখাস্তকৃত তিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথির অনুসারী বলে জানান আইনজীবীরা। এদের মধ্যে কাজী বশির ও জাকির হোসেন মাসুদ মারামারির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি।

জানা গেছে, গত ৬-৭ মার্চ ভোটগ্রহণ শেষে ৭ মার্চ রাত থেকে ভোট গণনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সম্পাদক পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীর সমর্থকদের সঙ্গে নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির সদস্যদের মারধর-হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

সরকার দলীয় প্রার্থীদের সমর্থকদের এ মারামারির ঘটনায় অপর সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথিকে আসামি করার পাশাপাশি বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জন আইনজীবীকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর রাতেই বিএনপির ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীসহ মোট পাঁচ আইনজীবী গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে।