বিল গেটস-মেলিন্ডা বিচ্ছেদের গোপন তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:৩৬:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মে ২০২১
  • / ১৪৬ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বিশ্বের অন্যতম ধনী ও মাইক্রসফট কর্ণধার বিল গেটস ও তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটসের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছে। ২৭ বছর পর এই দম্পতির হঠাৎ বিচ্ছেদের ঘোষণায় অবাক বিশ্ববাসী। অনেকেরই প্রশ্ন এত দিনের সংসার কেন ভাঙল?

সোমবার (০৪ মে) পাওয়া এই খবর জানা এত সহজে সম্ভব নয়। সহজে এই প্রশ্নের উত্তর আশা করাও কঠিন। কারণ তারা দুজনই ব্যক্তিগত বিষয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করে চলেন।

তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে আস্তে আস্তে প্রকাশ পাচ্ছে। বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য। রোববার (৯ মে) এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকান ধনকুবের ও কিশোরী পাচার থেকে শুরু করে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে বিল গেটসের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন মেলিন্ডা। এমনকি ২০১৩ সালে গেটস দম্পতি জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর মেলিন্ডা গেটসকে এ নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথাও জানিয়েছিলেন। তবুও তার স্বামী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন, যা তাদের সম্পের্কে চিড় ধরায়।

কিশোরীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার পাশাপাশি অন্য ধনকুবেরদের কাছে সরবরাহ করার অভিযোগও আছে জেফরি এপস্টেইনের বিরুদ্ধে। একাধিক ভিডিওতে তাকে ট্রাম্পের সঙ্গে পার্টিতে মেয়েদের নিয়ে নাচতে দেখা গেছে। যৌন নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারও করে। কিন্তু অবশেষে জেলেই আত্মহত্যা করেন আমেরিকার একসময়ের নামজাদা এই বিনিয়োগকারী।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, ২০১৯ সালের অক্টোবর অর্থাৎ ১৮ মাস আগে থেকেই বিয়েবিচ্ছেদ নিয়ে মেলিন্ডা গেটস বিভিন্ন আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছিলেন। প্রকাশ্য ঘোষণার আগ পর্যন্ত তারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে আসছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা আর সমঝোতায় আটকে থাকেনি।

এমনকি ফ্লাইট রেকর্ডের একটি সূত্র ধরে বলা হয়, মেলিন্ডা উদ্বেগ জানানোর পরও ২০১৩ সালে বিল গেটস জেফরি এপস্টেইনের প্রাইভেট জেটে করে ভ্রমণ করেছেন।

এদিকে, বিল গেটস বিয়ের পরও বান্ধবীর সঙ্গে সময় কাটাতেন বলে ৪ মে সংবাদ প্রকাশ করেছিল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট ও ডেইলি মেইল। তাদের দাবি, বিল গেটস পুরনো প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। সমুদ্রসৈকতে সময় কাটাতেন।

সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বিল গেটস বান্ধবীর সঙ্গে সময় কাটাবেন বলে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিও সদ্য বিচ্ছেদ হওয়া স্ত্রী মেলিন্ডার সঙ্গে করেছিলেন। সেই চুক্তির মেয়াদ ছিল ১০ বছর।

তবে ২০১৯ সালে ২৫তম বিয়েবার্ষিকীতে সানডে টাইমসকে মেলিন্ডা বলেছিলেন, তাদের বিয়েটা বেশ কঠিন পর্যায়ে ঠেকেছে। বিল নিয়মিত দিনের ১৬ ঘণ্টা কাজ করেন। পরিবারের জন্য তার সময় বের করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।

কাজের ক্ষেত্রেই বিল ও মেলিন্ডা গেটসের পরিচয়, প্রেম ও বিয়ে। বিয়ের আগে সাত বছর প্রেম করেছিলেন তারা। বিয়ের ২৭ বছরে পেয়েছেন তিন সন্তান। এত কিছুতে জড়িয়ে পড়ার পরও একসঙ্গে আর থাকলেন না তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

বিল গেটস-মেলিন্ডা বিচ্ছেদের গোপন তথ্য

Update Time : ০৩:৩৬:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মে ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বিশ্বের অন্যতম ধনী ও মাইক্রসফট কর্ণধার বিল গেটস ও তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটসের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছে। ২৭ বছর পর এই দম্পতির হঠাৎ বিচ্ছেদের ঘোষণায় অবাক বিশ্ববাসী। অনেকেরই প্রশ্ন এত দিনের সংসার কেন ভাঙল?

সোমবার (০৪ মে) পাওয়া এই খবর জানা এত সহজে সম্ভব নয়। সহজে এই প্রশ্নের উত্তর আশা করাও কঠিন। কারণ তারা দুজনই ব্যক্তিগত বিষয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করে চলেন।

তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে আস্তে আস্তে প্রকাশ পাচ্ছে। বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য। রোববার (৯ মে) এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকান ধনকুবের ও কিশোরী পাচার থেকে শুরু করে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে বিল গেটসের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন মেলিন্ডা। এমনকি ২০১৩ সালে গেটস দম্পতি জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর মেলিন্ডা গেটসকে এ নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথাও জানিয়েছিলেন। তবুও তার স্বামী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন, যা তাদের সম্পের্কে চিড় ধরায়।

কিশোরীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার পাশাপাশি অন্য ধনকুবেরদের কাছে সরবরাহ করার অভিযোগও আছে জেফরি এপস্টেইনের বিরুদ্ধে। একাধিক ভিডিওতে তাকে ট্রাম্পের সঙ্গে পার্টিতে মেয়েদের নিয়ে নাচতে দেখা গেছে। যৌন নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারও করে। কিন্তু অবশেষে জেলেই আত্মহত্যা করেন আমেরিকার একসময়ের নামজাদা এই বিনিয়োগকারী।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, ২০১৯ সালের অক্টোবর অর্থাৎ ১৮ মাস আগে থেকেই বিয়েবিচ্ছেদ নিয়ে মেলিন্ডা গেটস বিভিন্ন আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছিলেন। প্রকাশ্য ঘোষণার আগ পর্যন্ত তারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে আসছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা আর সমঝোতায় আটকে থাকেনি।

এমনকি ফ্লাইট রেকর্ডের একটি সূত্র ধরে বলা হয়, মেলিন্ডা উদ্বেগ জানানোর পরও ২০১৩ সালে বিল গেটস জেফরি এপস্টেইনের প্রাইভেট জেটে করে ভ্রমণ করেছেন।

এদিকে, বিল গেটস বিয়ের পরও বান্ধবীর সঙ্গে সময় কাটাতেন বলে ৪ মে সংবাদ প্রকাশ করেছিল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট ও ডেইলি মেইল। তাদের দাবি, বিল গেটস পুরনো প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। সমুদ্রসৈকতে সময় কাটাতেন।

সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বিল গেটস বান্ধবীর সঙ্গে সময় কাটাবেন বলে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিও সদ্য বিচ্ছেদ হওয়া স্ত্রী মেলিন্ডার সঙ্গে করেছিলেন। সেই চুক্তির মেয়াদ ছিল ১০ বছর।

তবে ২০১৯ সালে ২৫তম বিয়েবার্ষিকীতে সানডে টাইমসকে মেলিন্ডা বলেছিলেন, তাদের বিয়েটা বেশ কঠিন পর্যায়ে ঠেকেছে। বিল নিয়মিত দিনের ১৬ ঘণ্টা কাজ করেন। পরিবারের জন্য তার সময় বের করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।

কাজের ক্ষেত্রেই বিল ও মেলিন্ডা গেটসের পরিচয়, প্রেম ও বিয়ে। বিয়ের আগে সাত বছর প্রেম করেছিলেন তারা। বিয়ের ২৭ বছরে পেয়েছেন তিন সন্তান। এত কিছুতে জড়িয়ে পড়ার পরও একসঙ্গে আর থাকলেন না তারা।