বিজয়ের মাসে জাতীয় পতাকা বেচাকেনার ধুম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:১০:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ১৩৯ Time View

কমল পাটোয়ারি,মীরসরাই:

বিজয়ের চেতনায় ঘুরে আসে বাংলার মুক্তির বিজয় ডিসেম্বর। পালিত হবে বাঙালি জাতির মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। সারা বছরের কোনো সময় জাতীয় পতাকার কথা স্মরণ না হলেও মনে পড়ে এ মাসেই। তাই তো বিজয়ের মাসের শুরু থেকেই জাতীয় পতাকার ব্যবহারও বেড়ে যায়।নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর জন্ম হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের। আর জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটিকে কেন্দ্র করে মীরসরাইয়ের বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার, মার্কেট ও বিপণিবিতান এমনকি সড়কগুলোতেও জাতীয় পতাকা কেনাবেচার দৃশ্য চোখে পড়েছে। তাই সুযোগ বুঝে মৌসুমি বিক্রেতারা লাঠির মাথায় বেঁধে কাঁধে করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা।

কয়েক ফুট লম্বা বাঁশে পর্যায়ক্রমে বড় থেকে ছোট আকারের জাতীয় পতাকা সাজিয়ে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। আকারভেদে দামে মিললেই কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা। নির্ধারিত মাপে লাল-সবুজ কাপড়ের পতাকার পাশাপাশি কাগজের তৈরি পতাকাও বেশ বিক্রি হচ্ছে।
আকারভেদে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত এসব জাতীয় পতাকা বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া কাগজের পতাকা ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে পতাকা বিক্রি করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন ।বারইয়ারহাটে পতাকা বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, আমি রাজশাহী থেকে পতাকা বিক্রি করতে এসেছি। জাতীয় পতাকা বিক্রি করে আমি গর্বিত। জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্যই শুধু পতাকা বিক্রি করা নয়, এই পেশার মধ্যে রয়েছে দেশাত্মবোধ ও দেশপ্রেম। প্রতি বছর বিজয় দিবস উপলক্ষে তারা ফেরি করে পতাকা বিক্রি করেন। পাশাপাশি বার্ষিক ক্যালেন্ডার ও পঞ্জিকাও বিক্রি করেন। বিজয় দিবস যতই ঘনিয়ে আসে, ততই পতাকার চাহিদা বেড়ে যায়। তবে এবার করোনার কারণে বিক্রি কিছুটা কম।

আবুল হাসেম জানান, ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে শিশুদের জন্য কাগজের তৈরি কয়েকটি জাতীয় পতাকা কিনেছেন। পতাকার মাধ্যমে শহীদদের সম্মানকে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন বলে তারা মনে করেন। ছোট বাচ্চারা যেন তাদের অন্তরে জাতীয় পতাকাকে ধারণ করে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

বিজয়ের মাসে জাতীয় পতাকা বেচাকেনার ধুম

Update Time : ০১:১০:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১

কমল পাটোয়ারি,মীরসরাই:

বিজয়ের চেতনায় ঘুরে আসে বাংলার মুক্তির বিজয় ডিসেম্বর। পালিত হবে বাঙালি জাতির মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। সারা বছরের কোনো সময় জাতীয় পতাকার কথা স্মরণ না হলেও মনে পড়ে এ মাসেই। তাই তো বিজয়ের মাসের শুরু থেকেই জাতীয় পতাকার ব্যবহারও বেড়ে যায়।নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর জন্ম হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের। আর জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটিকে কেন্দ্র করে মীরসরাইয়ের বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার, মার্কেট ও বিপণিবিতান এমনকি সড়কগুলোতেও জাতীয় পতাকা কেনাবেচার দৃশ্য চোখে পড়েছে। তাই সুযোগ বুঝে মৌসুমি বিক্রেতারা লাঠির মাথায় বেঁধে কাঁধে করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা।

কয়েক ফুট লম্বা বাঁশে পর্যায়ক্রমে বড় থেকে ছোট আকারের জাতীয় পতাকা সাজিয়ে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। আকারভেদে দামে মিললেই কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা। নির্ধারিত মাপে লাল-সবুজ কাপড়ের পতাকার পাশাপাশি কাগজের তৈরি পতাকাও বেশ বিক্রি হচ্ছে।
আকারভেদে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত এসব জাতীয় পতাকা বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া কাগজের পতাকা ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে পতাকা বিক্রি করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন ।বারইয়ারহাটে পতাকা বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, আমি রাজশাহী থেকে পতাকা বিক্রি করতে এসেছি। জাতীয় পতাকা বিক্রি করে আমি গর্বিত। জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্যই শুধু পতাকা বিক্রি করা নয়, এই পেশার মধ্যে রয়েছে দেশাত্মবোধ ও দেশপ্রেম। প্রতি বছর বিজয় দিবস উপলক্ষে তারা ফেরি করে পতাকা বিক্রি করেন। পাশাপাশি বার্ষিক ক্যালেন্ডার ও পঞ্জিকাও বিক্রি করেন। বিজয় দিবস যতই ঘনিয়ে আসে, ততই পতাকার চাহিদা বেড়ে যায়। তবে এবার করোনার কারণে বিক্রি কিছুটা কম।

আবুল হাসেম জানান, ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে শিশুদের জন্য কাগজের তৈরি কয়েকটি জাতীয় পতাকা কিনেছেন। পতাকার মাধ্যমে শহীদদের সম্মানকে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন বলে তারা মনে করেন। ছোট বাচ্চারা যেন তাদের অন্তরে জাতীয় পতাকাকে ধারণ করে।