বান্দরবানে কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে: সেনাপ্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৫:২২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৫৭ Time View

বান্দরবানের থানচি ও রুমায় কয়েক দফা সন্ত্রাসী হামলার পর সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে কম্বিং অপারেশন শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবান ৬৯ সেনা রিজিয়ন মাঠে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

সেনাপ্রধান এদিন বেলা ১১টায় বান্দরবান সেনা জোনে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠকে বসেন। পরে তিনি চলমান পরিস্থিতিতে পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এ সময় তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বাহিনী সম্মিলিতভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অভিযানের সফলতার জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনে সব বিষয় আমরা প্রকাশ না করলেও জনসাধারণের যেটুকু জানা প্রয়োজন আমরা তা গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করবো।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, সংগঠনটির সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের শান্তি আলোচনা চলছিল। আলোচনা চলাকালে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কোনো অভিযান করিনি। তারা দুইবার শান্তি আলোচনায় বসেছে। তৃতীয় বার বসার কথা বলেছে। তাদের স্টার সানডেতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে রুমার গীর্জায় উপহার পাঠানো হয়েছে। আমরা তাদের বিশ্বাস করেছিলাম। তাদের ষড়যন্ত্র আমরা বুঝতে পারিনি।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে তিনি বলেন, আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীর পরিষ্কার নির্দেশনা রয়েছে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য, জনগণের শান্তির জন্য যা করণীয় তা করতে। যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। গতকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে কিছু সন্ত্রাসীকে আটক করেছে, অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সেনাবাহিনী সক্ষম। ইনশাআল্লাহ জনগণের মাঝে শান্তি ফিরে আসবে। জনগণ দেখবে কোনো সন্ত্রাসীদের জায়গা বাংলাদেশের মাটিতে নেই।

প্রসঙ্গত, পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) জেলার রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে হামলা চালিয়ে টাকা লুট, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র লুটসহ সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ম্যানেজারকে অপহরণ করে। পরে র‍্যাবের মধ্যস্থতায় অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

পরবর্তী সময়ে এই সংগঠনটির সঙ্গে সব শান্তি আলোচনা বন্ধ সহ অপতৎপরতা কার্যক্রম নির্মুলে কঠোর অভিযান পরিচালনার ঘোষণা আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সামরিক বাহিনীর পক্ষ হতে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনাপ্রধানকে অভিযান পরিচালনার বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

বান্দরবানে কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে: সেনাপ্রধান

Update Time : ০৫:২২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

বান্দরবানের থানচি ও রুমায় কয়েক দফা সন্ত্রাসী হামলার পর সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে কম্বিং অপারেশন শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবান ৬৯ সেনা রিজিয়ন মাঠে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

সেনাপ্রধান এদিন বেলা ১১টায় বান্দরবান সেনা জোনে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠকে বসেন। পরে তিনি চলমান পরিস্থিতিতে পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এ সময় তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বাহিনী সম্মিলিতভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অভিযানের সফলতার জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনে সব বিষয় আমরা প্রকাশ না করলেও জনসাধারণের যেটুকু জানা প্রয়োজন আমরা তা গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করবো।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, সংগঠনটির সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের শান্তি আলোচনা চলছিল। আলোচনা চলাকালে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কোনো অভিযান করিনি। তারা দুইবার শান্তি আলোচনায় বসেছে। তৃতীয় বার বসার কথা বলেছে। তাদের স্টার সানডেতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে রুমার গীর্জায় উপহার পাঠানো হয়েছে। আমরা তাদের বিশ্বাস করেছিলাম। তাদের ষড়যন্ত্র আমরা বুঝতে পারিনি।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে তিনি বলেন, আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীর পরিষ্কার নির্দেশনা রয়েছে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য, জনগণের শান্তির জন্য যা করণীয় তা করতে। যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। গতকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে কিছু সন্ত্রাসীকে আটক করেছে, অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সেনাবাহিনী সক্ষম। ইনশাআল্লাহ জনগণের মাঝে শান্তি ফিরে আসবে। জনগণ দেখবে কোনো সন্ত্রাসীদের জায়গা বাংলাদেশের মাটিতে নেই।

প্রসঙ্গত, পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) জেলার রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে হামলা চালিয়ে টাকা লুট, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র লুটসহ সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ম্যানেজারকে অপহরণ করে। পরে র‍্যাবের মধ্যস্থতায় অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

পরবর্তী সময়ে এই সংগঠনটির সঙ্গে সব শান্তি আলোচনা বন্ধ সহ অপতৎপরতা কার্যক্রম নির্মুলে কঠোর অভিযান পরিচালনার ঘোষণা আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সামরিক বাহিনীর পক্ষ হতে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনাপ্রধানকে অভিযান পরিচালনার বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।