পূর্ব-পরিকল্পিত হামলায় কানাডায় মুসলিম পরিবারকে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:১৮:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১
  • / ১৭৭ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পূর্ব-পরিকল্পিত হামলায় এক মুসলিম পরিবারের চার সদস্য নিহত হয়েছেন কানাডায়। দেশটির অন্টারিও প্রদেশের লন্ডন শহরে ঘটনা ঘটেছে। ইসলাম বিদ্বেষ থেকেই এই হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করছে স্থানীয় পুলিশ। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

জানা যায়, নিহতদের মধ্যে দুজন নারী। একজনের বয়স ৭৪ বছর, অপরজনের ৪৪। এছাড়া ৪৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ও ১৫ বছরের এক কিশোরীও নিহত হয়েছে।

পুলিশ জানায়, পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে পিকআপ ট্রাক চাপা দিয়ে ওই পরিবারটির সবাইকে হত্যা করতে চেয়েছিল অভিযুক্ত খুনি। কিন্তু ভাগ্যক্রমে একমাত্র সদস্য হিসেবে নয় বছরের একটি শিশু বেঁচে গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে কানাডা পুলিশ।

অভিযুক্ত ২০ বছর বয়সী কানাডিয়ান তরুণ। তার বিরুদ্ধে ৪ জনকে হত্যা ও এক জনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। বলা হচ্ছে, ২০১৭ সালে কুইবেক শহরের মসজিদে ৬ জনকে হত্যার পর কানাডার মুসলিমদের ওপর এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।

গতকাল সোমবার (৭ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট পল ওয়েট বলেছেন, ‘মুসলিম হওয়ার কারণে এসব মানুষের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে ধারণা। পুলিশ এতে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগও খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্ত হামলাকারীর নাম নাথানিয়াল ভেল্টম্যান। লন্ডন শহরের বাসিন্দা তিনি। হামলার পর সেখান থেকে ৬ কিলোমিটার দূরের একটি বিপণিবিতান থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।’

এই ঘটনায় মর্মাহত হয়ে এক টুইট বার্তায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো লিখেছেন, ‘অন্টারিও’র ঘটনায় আমি মর্মাহত। গতকালের ঘৃণ্য ঘটনায় যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমরা পাশে আছি হাসপাতালে থাকা শিশুটিরও।

Please Share This Post in Your Social Media

পূর্ব-পরিকল্পিত হামলায় কানাডায় মুসলিম পরিবারকে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা

Update Time : ১১:১৮:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পূর্ব-পরিকল্পিত হামলায় এক মুসলিম পরিবারের চার সদস্য নিহত হয়েছেন কানাডায়। দেশটির অন্টারিও প্রদেশের লন্ডন শহরে ঘটনা ঘটেছে। ইসলাম বিদ্বেষ থেকেই এই হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করছে স্থানীয় পুলিশ। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

জানা যায়, নিহতদের মধ্যে দুজন নারী। একজনের বয়স ৭৪ বছর, অপরজনের ৪৪। এছাড়া ৪৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ও ১৫ বছরের এক কিশোরীও নিহত হয়েছে।

পুলিশ জানায়, পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে পিকআপ ট্রাক চাপা দিয়ে ওই পরিবারটির সবাইকে হত্যা করতে চেয়েছিল অভিযুক্ত খুনি। কিন্তু ভাগ্যক্রমে একমাত্র সদস্য হিসেবে নয় বছরের একটি শিশু বেঁচে গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে কানাডা পুলিশ।

অভিযুক্ত ২০ বছর বয়সী কানাডিয়ান তরুণ। তার বিরুদ্ধে ৪ জনকে হত্যা ও এক জনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। বলা হচ্ছে, ২০১৭ সালে কুইবেক শহরের মসজিদে ৬ জনকে হত্যার পর কানাডার মুসলিমদের ওপর এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।

গতকাল সোমবার (৭ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট পল ওয়েট বলেছেন, ‘মুসলিম হওয়ার কারণে এসব মানুষের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে ধারণা। পুলিশ এতে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগও খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্ত হামলাকারীর নাম নাথানিয়াল ভেল্টম্যান। লন্ডন শহরের বাসিন্দা তিনি। হামলার পর সেখান থেকে ৬ কিলোমিটার দূরের একটি বিপণিবিতান থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।’

এই ঘটনায় মর্মাহত হয়ে এক টুইট বার্তায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো লিখেছেন, ‘অন্টারিও’র ঘটনায় আমি মর্মাহত। গতকালের ঘৃণ্য ঘটনায় যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমরা পাশে আছি হাসপাতালে থাকা শিশুটিরও।