নেত্রকোনার মদনে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১২৮ Time View

 

ইকবাল হাসান, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি:

নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে মদন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এই মামলা দায়ের করা হয়।

মোঃ হাবিবুর রহমানের ছেলে মামুন (২২), মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে হাবিবুর রহমান (৫০), সবুর মিয়াসহ (৩৫) ৩জনকে আসামী করে ভিকটিমের বাবা আব্দুল মন্নাফ একটি ধর্ষণ মামলা করেন।

মামলার বিবরনে জানা যায়, উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের রুহুলী গ্রামের ধর্ষণকারী মামুন দীর্ঘদিন ধরে প্রেম-ভালবাসার অভিনয় করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে বাদীর কিশোরী কন্যার সাথে। গত ২১শে ডিসেম্বর মোবাইল ফোনে রাত ৩টায় বিবাদী মামুন ভিকটিমের সাথে যোগাযোগ করে ভিকটিমের রান্না ঘরে কৌশলে নিয়ে আসে।

এ সময় পরিবারের লোকজন টের পেয়ে রান্না ঘরে গিয়ে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে মামুনকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকতে দেখতে পায়। পরে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে ভিকটিমের পক্ষ থেকে মামুনকে আটক করে।

খবর পেয়ে মামুনের বাবা হাবিবুর রহমান এবং তার ভগ্নিপতি সবুর মিয়া ঘটনাস্থলে এসে বিবাহবন্ধনের আশ্বাস দিয়ে মামুনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মামুন ও তার পরিবার বিয়ের কথা অস্বীকৃতি জানালে ভিকটিমের পরিবার আইনের আশ্রয় নেয়।

এ ব্যাপারে মদন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমের বাবা মদন থানায় ৩জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

নেত্রকোনার মদনে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা

Update Time : ১১:০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০

 

ইকবাল হাসান, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি:

নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে মদন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এই মামলা দায়ের করা হয়।

মোঃ হাবিবুর রহমানের ছেলে মামুন (২২), মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে হাবিবুর রহমান (৫০), সবুর মিয়াসহ (৩৫) ৩জনকে আসামী করে ভিকটিমের বাবা আব্দুল মন্নাফ একটি ধর্ষণ মামলা করেন।

মামলার বিবরনে জানা যায়, উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের রুহুলী গ্রামের ধর্ষণকারী মামুন দীর্ঘদিন ধরে প্রেম-ভালবাসার অভিনয় করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে বাদীর কিশোরী কন্যার সাথে। গত ২১শে ডিসেম্বর মোবাইল ফোনে রাত ৩টায় বিবাদী মামুন ভিকটিমের সাথে যোগাযোগ করে ভিকটিমের রান্না ঘরে কৌশলে নিয়ে আসে।

এ সময় পরিবারের লোকজন টের পেয়ে রান্না ঘরে গিয়ে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে মামুনকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকতে দেখতে পায়। পরে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে ভিকটিমের পক্ষ থেকে মামুনকে আটক করে।

খবর পেয়ে মামুনের বাবা হাবিবুর রহমান এবং তার ভগ্নিপতি সবুর মিয়া ঘটনাস্থলে এসে বিবাহবন্ধনের আশ্বাস দিয়ে মামুনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মামুন ও তার পরিবার বিয়ের কথা অস্বীকৃতি জানালে ভিকটিমের পরিবার আইনের আশ্রয় নেয়।

এ ব্যাপারে মদন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমের বাবা মদন থানায় ৩জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।