‘নিম্নমানের খেজুর’ পরিবর্তন করে হলো ‘সাধারণ মানের খেজুর’, ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৫:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৭ Time View

সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের চিঠির ভাষা সংশোধন করলো। ‘নিম্নমানের খেজুর’ এর জায়গায় ‘সাধারণ মানের খেজুর’ করে নতুন চিঠি দেয়া হয়েছে। এটিকে অনাকাঙ্খিত ভুল উল্লেখ করে ক্ষমাও চেয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

এর আগে গত ১১ই মার্চ খেজুরের দাম নির্ধারণ করে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যেখানে প্রতি কেজি ‘অতিসাধারণ বা নিম্নমানের খেজুর’ এর দাম ১৫০-১৬৫ টাকা এবং ‘বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর’ এর দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা।

বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, তাহলে কি সরকারই নিম্নমানের খেজুর আমদানিকে উৎসাহিত করছে? এরই পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত তা সংশোধনের উদ্যোগ নেয় মন্ত্রণালয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কাজ করতে গিয়ে আমাদের ছোটখাটো ভুল হয়। সেগুলোকে হাইলাইট (বড় করে না দেখিয়ে) না করে এফোর্ডগুলোকে (প্রচেষ্টা) দেখালে সমস্যা সমাধান হবে।

আহসানুল ইসলাম টিটু খুচরা বাজারের তুলনায় অনেক পণ্য সুপার শপে কম দাম বলে উল্লেখ করেন। প্রান্তিক চাষিরা এখনও বঞ্চিত এটা বোঝাতে নিজ নির্বাচনী এলাকা টাঙ্গাইলের নাগরপুরের কথাও তোলেন। বলেন, তার এলাকায় বেগুন এখনও বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। সেই বেগুন ঢাকায় আসতে কয়েকগুণ দাম বেড়ে যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

‘নিম্নমানের খেজুর’ পরিবর্তন করে হলো ‘সাধারণ মানের খেজুর’, ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী

Update Time : ০৫:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের চিঠির ভাষা সংশোধন করলো। ‘নিম্নমানের খেজুর’ এর জায়গায় ‘সাধারণ মানের খেজুর’ করে নতুন চিঠি দেয়া হয়েছে। এটিকে অনাকাঙ্খিত ভুল উল্লেখ করে ক্ষমাও চেয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

এর আগে গত ১১ই মার্চ খেজুরের দাম নির্ধারণ করে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যেখানে প্রতি কেজি ‘অতিসাধারণ বা নিম্নমানের খেজুর’ এর দাম ১৫০-১৬৫ টাকা এবং ‘বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর’ এর দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা।

বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, তাহলে কি সরকারই নিম্নমানের খেজুর আমদানিকে উৎসাহিত করছে? এরই পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত তা সংশোধনের উদ্যোগ নেয় মন্ত্রণালয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কাজ করতে গিয়ে আমাদের ছোটখাটো ভুল হয়। সেগুলোকে হাইলাইট (বড় করে না দেখিয়ে) না করে এফোর্ডগুলোকে (প্রচেষ্টা) দেখালে সমস্যা সমাধান হবে।

আহসানুল ইসলাম টিটু খুচরা বাজারের তুলনায় অনেক পণ্য সুপার শপে কম দাম বলে উল্লেখ করেন। প্রান্তিক চাষিরা এখনও বঞ্চিত এটা বোঝাতে নিজ নির্বাচনী এলাকা টাঙ্গাইলের নাগরপুরের কথাও তোলেন। বলেন, তার এলাকায় বেগুন এখনও বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। সেই বেগুন ঢাকায় আসতে কয়েকগুণ দাম বেড়ে যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।