দেশে পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার নির্মাণ হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৬:৩০:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ১৩৪ Time View

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, “আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশে পেঁয়াজের সংরক্ষণাগার নির্মাণ করবে সরকার। দেশ পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও সঠিক সংরক্ষণের অভাবে প্রতি বছর উৎপাদনের শতকরা ২৫ ভাগ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ওই পরিমাণ পেঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এ কারণে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। এ সমস্যা নিরসনে বহুমুখী সংরক্ষণাগার নির্মাণের কথা ভাবছে সরকার।”

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর আরডিআরএস বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ, সুজন ও ইউএনডিএফএফের উদ্যোগে ‘জাতীয় উন্নয়নে অঙ্গীকার শিক্ষা, শোভন কর্মসংস্থান ও জেন্ডার সমতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পেঁয়াজের পাশাপাশি অন্যান্য খাদ্যশস্যের জন্য সংরক্ষণাগার নির্মাণেরও চিন্তা সরকারের রয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “উত্তরাঞ্চল চা উৎপাদনে একটি অন্যতম অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। ভারতীয় এলাকায় চা চাষ হলেও পঞ্চগড়ে চা উৎপাদন হতে পারে এ কথা প্রথমে ভেবেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দিকনির্দেশনায় পঞ্চগড়ে এখন ব্যাপকহারে চা উৎপাদন হচ্ছে। দেশের প্রথম চা অকশন সেন্টার করা হয়েছিল চট্টগ্রামে। দ্বিতীয়টি শ্রীমঙ্গলে। এবার তৃতীয়টি পঞ্চগড়ে চালুর চেষ্টা করা হবে। যারা বিদেশ থেকে চা কিনতে আসবে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য ঠাকুরগাঁওয়ে যেন বিমানবন্দর চালু করা যায় সে চেষ্টা করা হচ্ছে।”

টিপু মুনশি বলেন, “রংপুরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস আসছে। ফলে এ অঞ্চলে শিল্প, কলকারখানা গড়ে উঠবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যেন কৃষিভিত্তিক শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা হয়। তিস্তা মহাপরিকল্পা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কিছু আন্তর্জাতিক সমস্যার কারণে সেটি ধীরগতিতে আগাচ্ছে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে উত্তরের অর্থনৈতিক অবস্থা পাল্টে যাবে। তিস্তার তীর ধরে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে ও উত্তরে বেকার সমস্যা দূর হবে। এছাড়া কুড়িগ্রামের চিলমারী নদীবন্দর চালু হয়েছে। ফলে ভারত এই পোর্ট ব্যবহার করে চট্টগ্রাম থেকে আমদানি-রপ্তানি করতে পারবে। নদীর নাব্যতা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী অর্থ বরাদ্দ করেছেন। আশা করছি নদী দিয়ে সারা বছরই নৌযান চলাচল করতে পারবে। এছাড়া কুড়িগ্রামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,লালমনিরহাটে আরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। উত্তরের বন্ধ চিনিকলগুলো চালু কিংবা বিকল্প ব্যবহারের দিকে বিশেষ নজর আছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের। উত্তরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নানা প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে সরকার।”

সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সুজনের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সনাকের সংগঠক মোশফেকা রাজ্জাক, মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম দুলু, সুজনের জেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন প্রমুখ। আলোচনা সভায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলা থেকে আগত ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

দেশে পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার নির্মাণ হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

Update Time : ০৬:৩০:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, “আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশে পেঁয়াজের সংরক্ষণাগার নির্মাণ করবে সরকার। দেশ পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও সঠিক সংরক্ষণের অভাবে প্রতি বছর উৎপাদনের শতকরা ২৫ ভাগ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ওই পরিমাণ পেঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এ কারণে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। এ সমস্যা নিরসনে বহুমুখী সংরক্ষণাগার নির্মাণের কথা ভাবছে সরকার।”

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর আরডিআরএস বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ, সুজন ও ইউএনডিএফএফের উদ্যোগে ‘জাতীয় উন্নয়নে অঙ্গীকার শিক্ষা, শোভন কর্মসংস্থান ও জেন্ডার সমতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পেঁয়াজের পাশাপাশি অন্যান্য খাদ্যশস্যের জন্য সংরক্ষণাগার নির্মাণেরও চিন্তা সরকারের রয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “উত্তরাঞ্চল চা উৎপাদনে একটি অন্যতম অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। ভারতীয় এলাকায় চা চাষ হলেও পঞ্চগড়ে চা উৎপাদন হতে পারে এ কথা প্রথমে ভেবেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দিকনির্দেশনায় পঞ্চগড়ে এখন ব্যাপকহারে চা উৎপাদন হচ্ছে। দেশের প্রথম চা অকশন সেন্টার করা হয়েছিল চট্টগ্রামে। দ্বিতীয়টি শ্রীমঙ্গলে। এবার তৃতীয়টি পঞ্চগড়ে চালুর চেষ্টা করা হবে। যারা বিদেশ থেকে চা কিনতে আসবে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য ঠাকুরগাঁওয়ে যেন বিমানবন্দর চালু করা যায় সে চেষ্টা করা হচ্ছে।”

টিপু মুনশি বলেন, “রংপুরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস আসছে। ফলে এ অঞ্চলে শিল্প, কলকারখানা গড়ে উঠবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যেন কৃষিভিত্তিক শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা হয়। তিস্তা মহাপরিকল্পা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কিছু আন্তর্জাতিক সমস্যার কারণে সেটি ধীরগতিতে আগাচ্ছে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে উত্তরের অর্থনৈতিক অবস্থা পাল্টে যাবে। তিস্তার তীর ধরে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে ও উত্তরে বেকার সমস্যা দূর হবে। এছাড়া কুড়িগ্রামের চিলমারী নদীবন্দর চালু হয়েছে। ফলে ভারত এই পোর্ট ব্যবহার করে চট্টগ্রাম থেকে আমদানি-রপ্তানি করতে পারবে। নদীর নাব্যতা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী অর্থ বরাদ্দ করেছেন। আশা করছি নদী দিয়ে সারা বছরই নৌযান চলাচল করতে পারবে। এছাড়া কুড়িগ্রামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,লালমনিরহাটে আরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। উত্তরের বন্ধ চিনিকলগুলো চালু কিংবা বিকল্প ব্যবহারের দিকে বিশেষ নজর আছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের। উত্তরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নানা প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে সরকার।”

সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সুজনের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সনাকের সংগঠক মোশফেকা রাজ্জাক, মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম দুলু, সুজনের জেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন প্রমুখ। আলোচনা সভায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলা থেকে আগত ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।