দুদিনের ব্যবধানে ১১ ডলার কমেছে স্পট এলএনজির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:০৯:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৫৫ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে বৈশ্বিক জ্বালানির বাজার নিম্নমুখিতার মধ্যে আকস্মিকভাবে বড় দরপতন হয়েছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি)। গত দুদিনের ব্যবধানে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম কমেছে ১১ ডলার। জ্বালানি পণ্যটির দাম বর্তমানে ৪২-৪৩ ডলারের মধ্যে ওঠানামা করছে। ১৫ সেপ্টেম্বর স্পট মার্কেটে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ছিল ৫৩ ডলারের কিছু বেশি।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্যপণ্য, জ্বালানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পণ্যের দাম ব্যাপক হারে ওঠানামা করছে। সেই ধারাবাহিকতায় এলএনজির দামও বাড়ছে-কমছে। তবে তাতে আশান্বিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। গত ছয় মাসে স্পট এলএনজির বাজার দেখলে এটি মূল্যের উত্থান-পতন ছাড়া আর কিছুই নয়।

খাতসংশ্লিষ্ট ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের এমন বক্তব্যের প্রতিফলনও দেখা গিয়েছে এলএনজির বাজারদরে। গত ছয় মাসে খোলাবাজারে এলএনজির বাজার ব্যাপক হারে অস্থিতিশীল ছিল। এলএনজির জাপানভিত্তিক বাজার আদর্শ জেকেএমের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিলে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ছিল ২৫ ডলার। এরপর পণ্যটির দাম গত আগস্টে ৭০ ডলারে উঠে যায়। যদিও পরে তা কমে যায়।

তবে গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে এলএনজির দাম বিশ্লেষণে দেখা যায়, স্পট মার্কেটে গত ছয় মাসে মূল্য দুই দফা কমলেও চার দফা বেড়েছে। স্পটে বাজার এমন অস্থিরতার মধ্যে গত জুন থেকে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা বন্ধ করে দেয় জ্বালানি বিভাগ।

প্ল্যাটসের তথ্য অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, গত ১৬ এপ্রিল প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির স্পট মূল্য ছিল ২৫ ডলার, এরপর মে মাসের একই সময়ে পণ্যটির দাম ৫ ডলার কমে ২০ ডলারে নেমে যায়। এরপর পুনরায় জুনে পণ্যটির দাম ১৪ ডলার বেড়ে ৩৪ ডলার উঠে যায়। জুলাইয়ে ৩৯ ও আগস্টে তা রেকর্ড সর্বোচ্চ ৭০ ডলারে উঠে যায়। ১৫ সেপ্টেম্বর পণ্যটির দাম ৫৩ ডলারের কিছু বেশি থাকলেও আকস্মিকভাবে তা কমে ৪২ ডলারে নেমে যায়।

মূল্যের আকস্মিক এমন দরপতন হলেও সহসা খোলাবাজার থেকে পণ্যটি কেনার কোনো পরিকল্পনা নেই জ্বালানি বিভাগের। সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বলেন, সরকার এত দাম দিয়ে খোলাবাজার থেকে গ্যাস আমদানি করতে চায় না। বরং আসন্ন শীত মৌসুম এবং স্থানীয় উৎপাদন দিয়ে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার পরিকল্পনা করছে জ্বালানি বিভাগ।

Please Share This Post in Your Social Media

দুদিনের ব্যবধানে ১১ ডলার কমেছে স্পট এলএনজির দাম

Update Time : ১১:০৯:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে বৈশ্বিক জ্বালানির বাজার নিম্নমুখিতার মধ্যে আকস্মিকভাবে বড় দরপতন হয়েছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি)। গত দুদিনের ব্যবধানে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম কমেছে ১১ ডলার। জ্বালানি পণ্যটির দাম বর্তমানে ৪২-৪৩ ডলারের মধ্যে ওঠানামা করছে। ১৫ সেপ্টেম্বর স্পট মার্কেটে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ছিল ৫৩ ডলারের কিছু বেশি।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্যপণ্য, জ্বালানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পণ্যের দাম ব্যাপক হারে ওঠানামা করছে। সেই ধারাবাহিকতায় এলএনজির দামও বাড়ছে-কমছে। তবে তাতে আশান্বিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। গত ছয় মাসে স্পট এলএনজির বাজার দেখলে এটি মূল্যের উত্থান-পতন ছাড়া আর কিছুই নয়।

খাতসংশ্লিষ্ট ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের এমন বক্তব্যের প্রতিফলনও দেখা গিয়েছে এলএনজির বাজারদরে। গত ছয় মাসে খোলাবাজারে এলএনজির বাজার ব্যাপক হারে অস্থিতিশীল ছিল। এলএনজির জাপানভিত্তিক বাজার আদর্শ জেকেএমের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিলে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ছিল ২৫ ডলার। এরপর পণ্যটির দাম গত আগস্টে ৭০ ডলারে উঠে যায়। যদিও পরে তা কমে যায়।

তবে গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে এলএনজির দাম বিশ্লেষণে দেখা যায়, স্পট মার্কেটে গত ছয় মাসে মূল্য দুই দফা কমলেও চার দফা বেড়েছে। স্পটে বাজার এমন অস্থিরতার মধ্যে গত জুন থেকে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা বন্ধ করে দেয় জ্বালানি বিভাগ।

প্ল্যাটসের তথ্য অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, গত ১৬ এপ্রিল প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির স্পট মূল্য ছিল ২৫ ডলার, এরপর মে মাসের একই সময়ে পণ্যটির দাম ৫ ডলার কমে ২০ ডলারে নেমে যায়। এরপর পুনরায় জুনে পণ্যটির দাম ১৪ ডলার বেড়ে ৩৪ ডলার উঠে যায়। জুলাইয়ে ৩৯ ও আগস্টে তা রেকর্ড সর্বোচ্চ ৭০ ডলারে উঠে যায়। ১৫ সেপ্টেম্বর পণ্যটির দাম ৫৩ ডলারের কিছু বেশি থাকলেও আকস্মিকভাবে তা কমে ৪২ ডলারে নেমে যায়।

মূল্যের আকস্মিক এমন দরপতন হলেও সহসা খোলাবাজার থেকে পণ্যটি কেনার কোনো পরিকল্পনা নেই জ্বালানি বিভাগের। সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বলেন, সরকার এত দাম দিয়ে খোলাবাজার থেকে গ্যাস আমদানি করতে চায় না। বরং আসন্ন শীত মৌসুম এবং স্থানীয় উৎপাদন দিয়ে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার পরিকল্পনা করছে জ্বালানি বিভাগ।