ঢাবির আইন বিভাগ : ‘করপোরেট নাইট কোর্স’ বন্ধ করতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:৪৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩
  • / ১৫০ Time View

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে চালু হতে যাওয়া ‘প্রফেশনাল মাস্টার অব লজ’ নামের অনিয়মিত কোর্স বন্ধের দাবি তুলেছেন বিভাগটির প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। এ কোর্সকে ‘করপোরেট নাইট কোর্স’ বলেও আখ্যায়িত করেছেন তারা।

রোববার(২১ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সোনালুতলায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, এত দিন আইন বিভাগে এ ধরনের কোনো কোর্স ছিল না। নতুন কোর্স চালুর ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে।

‘আইন পরিবার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী মনে করছেন, বড় অংকের অর্থের বিনিময়ে এ কোর্সের কার্যক্রম চালু হলে বিভাগের শিক্ষার মান বিনষ্ট হবে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রফেশনাল মাস্টার অব লজ কোর্সে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আইন বিভাগ। স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ন্যূনতম সিজিপিএ ২ দশমিক ৫০ অথবা দ্বিতীয় বিভাগে স্নাতকে উত্তীর্ণ (দুই বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন) শিক্ষার্থীরা এতে আবেদন করতে পারবেন। আগামী ১০ জুন বহুনির্বাচনী ও লিখিত পরীক্ষা এবং ১৭ জুন মৌখিক পরীক্ষা শেষে ১৫ জুলাই থেকে শুরু হবে ক্লাস। ক্লাসগুলো হবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে।

আর আইন বিভাগে অনিয়মিত এ কোর্সের বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

প্রাক্তন-বর্তমান শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ বলেছেন, এই কোর্স চালু করা হচ্ছে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে। কেউ কেউ আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে সিজিপিএ ২ দশমিক ৫০ নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করে বলেছেন, বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী পেতেই এত কম শর্ত দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে আইন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক আহসান বিডি সমাচারকে বলেন, আইন বিভাগের নিয়মিত ছাত্রদের ব্যাচে প্রতি বছর ২৫-৩০ জন ছাত্র ফেল করে৷ অনেক ছাত্রের শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে যায় শিক্ষকদের অবহেলার কারণে। ছাত্রদের রেজাল্ট বের হতে হতে পরের ইয়ারের পরীক্ষা চলে আসে। এগুলো কোনটা নিয়ে টিচারদের বিন্দুমাত্র কখনো চিন্তা দেখা যায় নি।

তিনি বলেন,যেই উনারা ঠিক সময়ে রেজাল্ট দিতে পারেন না তারাই প্রফেশনাল এলএলএম কোর্সের কথা বলে সার্টিফিকেট বিক্রির ধান্দাবাজি শুরু করতে চাচ্ছেন। তারা এখন বলছেন ডিপার্টমেন্টের উন্নতি হবে কিন্তু তাদের মতেই বিভাগের উন্নয়ন এবং রিসার্চের জন্যে মোট আয়ের মাত্র দশ পার্সেন্ট ব্যয় হবে।

মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক আহসান আরও বলেন, এখন আমরা অন্যান্য বিভাগের অভিজ্ঞতা থেকে জানি এসব বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত কোর্স চালুর ফলে শিক্ষার্থীদের কোন ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। আর আইন বিভাগের প্রত্যেকটা শিক্ষার্থী এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে।

আইন বিভাগের ৪৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান বিডি সমাচারকে বলেন, চ্যান্সেলর এবং ইউজিসি বারবার এই সান্ধ্য কোর্সগুলো বন্ধ করতে বলেছে। এই কোর্সগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রেও মেধার বদলে আর্থিক সামর্থ্য মূল যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শুরুতে ছোট পরিসরে, ব্যবসায়িক স্বার্থহীন একটি উদ্যোগ হিসেবে দেখালেও আমরা আশঙ্কা করছি, এটি অল্প দিনের মধ্যে একটি সার্টিফিকেট ফ্যাক্টরিতে পরিণত হবে।

এ ধরনের কোর্স চালু করা অনৈতিক হবে উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিও শুরুতে লাইসেন্স নেওয়ার সময়ে কেবল মশলার ব্যবসার কথা বলেছিল। পরে দেখা গেল পুরো দেশটাই তাদের দখলে। অন্যদিকে যেসব ডিপার্টমেন্টে সান্ধ্য কোর্স আছে, সেখানে অনেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ শোনা যায়। এধরনের অনিয়মিত কোর্স কিছু শিক্ষককে বিপথগামী করতে পারে। আবার, এখানে দুই সেমিস্টারের মাস্টার্স কোর্স শেষ করার জন্য সময়সীমা ধরা হয়েছে পাঁচ বছর। এর মানে কী? একবার টাকা দিয়ে ভর্তি হও, তারপরে যা ইচ্ছে করো। কিছুদিন পরে আবার পড়তে ইচ্ছে করলে জরিমানা দিয়ে আবার শুরু করো। এখানে বাণিজ্যও মুখ্য বিষয়। আমরা এটা মেনে নিতে পারি না।

আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আইন অনুষদের সোনালুতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিলে স্লোগান ছিল, ‘শিক্ষা-ব্যবসা, একসাথে চলবে না’, ‘আইন বিভাগে নাইট কোর্স, বন্ধ কর করতে হবে’ ইত্যাদি। পরে সোনালুতলায় সমাবেশ করেন বিক্ষোভকারীরা।

আইন বিভাগের ছাত্র সালেহউদ্দিন সিফাত এ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন। আইন অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুল হাসান সমাবেশে সংহতি জানিয়ে অংশ নেন।

এ প্রসঙ্গে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্নজনের কাছ থেকে আমরা বিভিন্ন রকমের আশ্বাস পাই। সেসব আশ্বাসের খুব কমই পূর্ণ হয়।’

অনিয়মিত এ কোর্স চালু করা বিভাগের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের ক্লিনিক্যাল লিগ্যাল এইড প্রোগ্রাম, মুট কোর্ট প্রোগ্রাম—এগুলো তহবিলের অভাবে দিনের পর দিন বন্ধ হয়ে আছে। এ বিষয়ে কী করা যায়, তা নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় এই প্রস্তাবটা (প্রফেশনাল কোর্স খোলা) আসে। পরে সব শিক্ষক মিলে সিদ্ধান্ত নেন। এটা বিভাগের কালেকটিভ (সম্মিলিত) সিদ্ধান্ত। এখানে আমার ব্যক্তিগত কোনো রোল (ভূমিকা) নেই।

তিনি আরও জানান, বলা হচ্ছে যে প্রফেশনাল কোর্সের আয়ের ৪৫ শতাংশ শিক্ষকেরা পাবেন। এটা ঠিক নয়। এই ৪৫ শতাংশের একটি অংশ শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পারিশ্রমিক হিসেবে পাবেন। একটি অংশ প্রশাসনিক খাতে, আরেকটি অংশ ব্যয় করা হবে লজিস্টিকসে (খাতা প্রভৃতি)।

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচির বিষয়ে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান কোনো মন্তব্য করেন নি। তবে তাদের বক্তব্যগুলো লিখিতভাবে জানালে একাডেমিক কমিটির সভায় বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে বলে উল্লেখ করেছেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ঢাবির আইন বিভাগ : ‘করপোরেট নাইট কোর্স’ বন্ধ করতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

Update Time : ১০:৪৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে চালু হতে যাওয়া ‘প্রফেশনাল মাস্টার অব লজ’ নামের অনিয়মিত কোর্স বন্ধের দাবি তুলেছেন বিভাগটির প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। এ কোর্সকে ‘করপোরেট নাইট কোর্স’ বলেও আখ্যায়িত করেছেন তারা।

রোববার(২১ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সোনালুতলায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, এত দিন আইন বিভাগে এ ধরনের কোনো কোর্স ছিল না। নতুন কোর্স চালুর ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে।

‘আইন পরিবার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী মনে করছেন, বড় অংকের অর্থের বিনিময়ে এ কোর্সের কার্যক্রম চালু হলে বিভাগের শিক্ষার মান বিনষ্ট হবে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রফেশনাল মাস্টার অব লজ কোর্সে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আইন বিভাগ। স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ন্যূনতম সিজিপিএ ২ দশমিক ৫০ অথবা দ্বিতীয় বিভাগে স্নাতকে উত্তীর্ণ (দুই বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন) শিক্ষার্থীরা এতে আবেদন করতে পারবেন। আগামী ১০ জুন বহুনির্বাচনী ও লিখিত পরীক্ষা এবং ১৭ জুন মৌখিক পরীক্ষা শেষে ১৫ জুলাই থেকে শুরু হবে ক্লাস। ক্লাসগুলো হবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে।

আর আইন বিভাগে অনিয়মিত এ কোর্সের বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

প্রাক্তন-বর্তমান শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ বলেছেন, এই কোর্স চালু করা হচ্ছে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে। কেউ কেউ আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে সিজিপিএ ২ দশমিক ৫০ নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করে বলেছেন, বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী পেতেই এত কম শর্ত দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে আইন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক আহসান বিডি সমাচারকে বলেন, আইন বিভাগের নিয়মিত ছাত্রদের ব্যাচে প্রতি বছর ২৫-৩০ জন ছাত্র ফেল করে৷ অনেক ছাত্রের শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে যায় শিক্ষকদের অবহেলার কারণে। ছাত্রদের রেজাল্ট বের হতে হতে পরের ইয়ারের পরীক্ষা চলে আসে। এগুলো কোনটা নিয়ে টিচারদের বিন্দুমাত্র কখনো চিন্তা দেখা যায় নি।

তিনি বলেন,যেই উনারা ঠিক সময়ে রেজাল্ট দিতে পারেন না তারাই প্রফেশনাল এলএলএম কোর্সের কথা বলে সার্টিফিকেট বিক্রির ধান্দাবাজি শুরু করতে চাচ্ছেন। তারা এখন বলছেন ডিপার্টমেন্টের উন্নতি হবে কিন্তু তাদের মতেই বিভাগের উন্নয়ন এবং রিসার্চের জন্যে মোট আয়ের মাত্র দশ পার্সেন্ট ব্যয় হবে।

মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক আহসান আরও বলেন, এখন আমরা অন্যান্য বিভাগের অভিজ্ঞতা থেকে জানি এসব বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত কোর্স চালুর ফলে শিক্ষার্থীদের কোন ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। আর আইন বিভাগের প্রত্যেকটা শিক্ষার্থী এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে।

আইন বিভাগের ৪৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান বিডি সমাচারকে বলেন, চ্যান্সেলর এবং ইউজিসি বারবার এই সান্ধ্য কোর্সগুলো বন্ধ করতে বলেছে। এই কোর্সগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রেও মেধার বদলে আর্থিক সামর্থ্য মূল যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শুরুতে ছোট পরিসরে, ব্যবসায়িক স্বার্থহীন একটি উদ্যোগ হিসেবে দেখালেও আমরা আশঙ্কা করছি, এটি অল্প দিনের মধ্যে একটি সার্টিফিকেট ফ্যাক্টরিতে পরিণত হবে।

এ ধরনের কোর্স চালু করা অনৈতিক হবে উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিও শুরুতে লাইসেন্স নেওয়ার সময়ে কেবল মশলার ব্যবসার কথা বলেছিল। পরে দেখা গেল পুরো দেশটাই তাদের দখলে। অন্যদিকে যেসব ডিপার্টমেন্টে সান্ধ্য কোর্স আছে, সেখানে অনেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ শোনা যায়। এধরনের অনিয়মিত কোর্স কিছু শিক্ষককে বিপথগামী করতে পারে। আবার, এখানে দুই সেমিস্টারের মাস্টার্স কোর্স শেষ করার জন্য সময়সীমা ধরা হয়েছে পাঁচ বছর। এর মানে কী? একবার টাকা দিয়ে ভর্তি হও, তারপরে যা ইচ্ছে করো। কিছুদিন পরে আবার পড়তে ইচ্ছে করলে জরিমানা দিয়ে আবার শুরু করো। এখানে বাণিজ্যও মুখ্য বিষয়। আমরা এটা মেনে নিতে পারি না।

আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আইন অনুষদের সোনালুতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিলে স্লোগান ছিল, ‘শিক্ষা-ব্যবসা, একসাথে চলবে না’, ‘আইন বিভাগে নাইট কোর্স, বন্ধ কর করতে হবে’ ইত্যাদি। পরে সোনালুতলায় সমাবেশ করেন বিক্ষোভকারীরা।

আইন বিভাগের ছাত্র সালেহউদ্দিন সিফাত এ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন। আইন অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুল হাসান সমাবেশে সংহতি জানিয়ে অংশ নেন।

এ প্রসঙ্গে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্নজনের কাছ থেকে আমরা বিভিন্ন রকমের আশ্বাস পাই। সেসব আশ্বাসের খুব কমই পূর্ণ হয়।’

অনিয়মিত এ কোর্স চালু করা বিভাগের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের ক্লিনিক্যাল লিগ্যাল এইড প্রোগ্রাম, মুট কোর্ট প্রোগ্রাম—এগুলো তহবিলের অভাবে দিনের পর দিন বন্ধ হয়ে আছে। এ বিষয়ে কী করা যায়, তা নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় এই প্রস্তাবটা (প্রফেশনাল কোর্স খোলা) আসে। পরে সব শিক্ষক মিলে সিদ্ধান্ত নেন। এটা বিভাগের কালেকটিভ (সম্মিলিত) সিদ্ধান্ত। এখানে আমার ব্যক্তিগত কোনো রোল (ভূমিকা) নেই।

তিনি আরও জানান, বলা হচ্ছে যে প্রফেশনাল কোর্সের আয়ের ৪৫ শতাংশ শিক্ষকেরা পাবেন। এটা ঠিক নয়। এই ৪৫ শতাংশের একটি অংশ শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পারিশ্রমিক হিসেবে পাবেন। একটি অংশ প্রশাসনিক খাতে, আরেকটি অংশ ব্যয় করা হবে লজিস্টিকসে (খাতা প্রভৃতি)।

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচির বিষয়ে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান কোনো মন্তব্য করেন নি। তবে তাদের বক্তব্যগুলো লিখিতভাবে জানালে একাডেমিক কমিটির সভায় বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে বলে উল্লেখ করেছেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল।