ঢাবিতে শ্রদ্ধা ভক্তিতে জাতীয় কবিকে স্মরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৮:০১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
  • / ১১৮ Time View

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

১২৪ তম জন্মজয়ন্তীতে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ভক্তি আর ভালোবাসায় সিক্ত হলেন বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের ১২টি অনবদ্য কবিতার বৈপ্লবিক মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন আরও বলেন, নজরুলের যে মর্মবাণী সেটি হলো-সাম্প্রদায়িক ও মানবিক সমাজ, একটি সাম্যের সমাজ। সেটি প্রতিষ্ঠা করার যে অবারিত প্রয়াস সেটি আমাদের রাখতে হবে।

আজ ২৫ মে (বৃহস্পতিবার) সকালে কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, মানবতার কবি, সাম্যের কবি, ভালোবাসার কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই তার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। যুগে যুগে তার অসামান্য অবদানের জন্য তাকে গভীর শ্রদ্ধাবরে স্মরণ করছি।

তিনি বলেন, নজরুল তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ অগ্নিবীণা যাকে উৎসর্গ করেছেন সেটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেই বারীন্দ্র কুমার ঘোষ ছিলেন তৎকালীন সমগ্র ভারত ও বাংলার মহানায়ক। আমাদের ধারণা যদি তিনি (কাজী নজরুল) সুস্থ থাকতেন এবং বঙ্গবন্ধুর বয়স সেই রকম হতো (যা হয়েছিল চল্লিশের দশকে) তিনি সেই সময়ে যে অসামান্য অবদান রেখেছেন কবি নজরুল হয়তো এ কাব্যগ্রন্থটি বঙ্গবন্ধুর নামেই উৎসর্গ করতেন। কেন না একটি জাতির রাষ্ট্র সৃষ্টির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু যে অবদান রেখেছেন, কাজী নজরুল তার এ কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গের জন্য সব বৈশিষ্ট্য বঙ্গবন্ধুর মধ্যে খুঁজে পেতেন।

পরিবার থেকে শ্রদ্বা নিবেদন শেষে কাজী নজরুল ইসলামের মেয়ে খিলখিল কাজী বলেন, তিনি আজীবন মানুষের জায়গান গেয়েছেন, সবাইকে একই গাছের তলায় এনে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। ভীষণভাবে অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ ছিলেন তিনি, এবং অন্যায়ের প্রতিবাদে মুখরিত ছিল তার লেখনী। তিনি অসুস্থ না হলে তাহলে হয়তো আমরা তার আরও লেখা পেতাম। আজ জাতিগত বিবেদ দেখা যাচ্ছে, কাজী নজরুল ইসলাম বেঁচে থাকলে সেগুলো হতো না। বেঁচে থাকলে তিনি সমাজটাকেই বদলে দিতেন। তাকে জাতীয় কবি বলা হলেও আমরা তাকে সব পর্যায়ে পৌঁছাতে পারিনি। পশ্চিমবঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনটি ছুটি ঘোষণা করা হয়। আমি অনেক দিন ধরে কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিনটি ছুটি ঘোষণার কথা বলে আসছি।

এদিন সকালে আরও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাসিম, বিএনপির পক্ষ থেকে যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, বাংলা একাডেমি, ঢাকা নজরুল সেনা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগসহ আরও অনেকে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ঢাবিতে শ্রদ্ধা ভক্তিতে জাতীয় কবিকে স্মরণ

Update Time : ০৮:০১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

১২৪ তম জন্মজয়ন্তীতে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ভক্তি আর ভালোবাসায় সিক্ত হলেন বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের ১২টি অনবদ্য কবিতার বৈপ্লবিক মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন আরও বলেন, নজরুলের যে মর্মবাণী সেটি হলো-সাম্প্রদায়িক ও মানবিক সমাজ, একটি সাম্যের সমাজ। সেটি প্রতিষ্ঠা করার যে অবারিত প্রয়াস সেটি আমাদের রাখতে হবে।

আজ ২৫ মে (বৃহস্পতিবার) সকালে কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, মানবতার কবি, সাম্যের কবি, ভালোবাসার কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই তার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। যুগে যুগে তার অসামান্য অবদানের জন্য তাকে গভীর শ্রদ্ধাবরে স্মরণ করছি।

তিনি বলেন, নজরুল তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ অগ্নিবীণা যাকে উৎসর্গ করেছেন সেটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেই বারীন্দ্র কুমার ঘোষ ছিলেন তৎকালীন সমগ্র ভারত ও বাংলার মহানায়ক। আমাদের ধারণা যদি তিনি (কাজী নজরুল) সুস্থ থাকতেন এবং বঙ্গবন্ধুর বয়স সেই রকম হতো (যা হয়েছিল চল্লিশের দশকে) তিনি সেই সময়ে যে অসামান্য অবদান রেখেছেন কবি নজরুল হয়তো এ কাব্যগ্রন্থটি বঙ্গবন্ধুর নামেই উৎসর্গ করতেন। কেন না একটি জাতির রাষ্ট্র সৃষ্টির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু যে অবদান রেখেছেন, কাজী নজরুল তার এ কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গের জন্য সব বৈশিষ্ট্য বঙ্গবন্ধুর মধ্যে খুঁজে পেতেন।

পরিবার থেকে শ্রদ্বা নিবেদন শেষে কাজী নজরুল ইসলামের মেয়ে খিলখিল কাজী বলেন, তিনি আজীবন মানুষের জায়গান গেয়েছেন, সবাইকে একই গাছের তলায় এনে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। ভীষণভাবে অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ ছিলেন তিনি, এবং অন্যায়ের প্রতিবাদে মুখরিত ছিল তার লেখনী। তিনি অসুস্থ না হলে তাহলে হয়তো আমরা তার আরও লেখা পেতাম। আজ জাতিগত বিবেদ দেখা যাচ্ছে, কাজী নজরুল ইসলাম বেঁচে থাকলে সেগুলো হতো না। বেঁচে থাকলে তিনি সমাজটাকেই বদলে দিতেন। তাকে জাতীয় কবি বলা হলেও আমরা তাকে সব পর্যায়ে পৌঁছাতে পারিনি। পশ্চিমবঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনটি ছুটি ঘোষণা করা হয়। আমি অনেক দিন ধরে কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিনটি ছুটি ঘোষণার কথা বলে আসছি।

এদিন সকালে আরও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাসিম, বিএনপির পক্ষ থেকে যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, বাংলা একাডেমি, ঢাকা নজরুল সেনা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগসহ আরও অনেকে।