‘চা-শ্রমিক উন্নয়ন কমিশন’ গঠনের দাবি আইপিডির

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৫:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২
  • / ১৬৭ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চা শিল্প ও এর সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে ‘চা-শ্রমিক উন্নয় কমিশন’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)। তাছাড়া চা-শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনকে যৌক্তিক ও ন্যায্য মেনে নিয়ে দৈনিক ন্যূনতম মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবি জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

রোববার (২১ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আইপিডির নির্বাহী পরিচালক পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান এসব আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, চা-শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিকে পুরোপুরি আমলে না নিয়ে দৈনিক মজুরি ১৪৫ টাকা করার যে প্রস্তাব সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার পক্ষ থেকে রাখা হয়েছে, তা শ্রমিকদের বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকার নিশ্চিতে পর্যাপ্ত নয়।

‘আইপিডি মনে করে, চা-শ্রমিকদের উন্নয়নের মূলধারায় নিয়ে আসতে অতি জরুরিভিত্তিতে চা শ্রমিক উন্নয়ন কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। এ কমিশন চা-শ্রমিকদের মজুরিসহ মৌলিক নাগরিক সুবিধা ও মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে সরকারকে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেবে।’

আইপিডির পক্ষে অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পরে চা শিল্প সংশ্লিষ্ট দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে সুবিধাবঞ্চিত রেখে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যগুলো অর্জন করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে চা-শিল্প মালিক ও সংশ্লিষ্ট সবার করণীয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত দশকগুলোতে চা-শিল্পের ক্রমবর্ধমান উন্নতি ও বিকাশ হলেও চা-শ্রমিকদের ভাগ্যের তেমন পরিবর্তন হয়নি। বিষয়টি অত্যন্ত বিস্ময়কর ও হতাশাজনক। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মাতরে চা-শ্রমিকরা দারিদ্র্য-বঞ্চনা-শোষণের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। বিপরীতে চাশিল্প মালিকদের বিত্ত-বৈভব ক্রমাগত বাড়ছে।

আরও বলা হয়, যেকোনো শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে শ্রমিকদের সম্মানজনকভাবে বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এটি নিশ্চিত করা না হলে শিল্প রাষ্ট্রের জন্য সামগ্রিক কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। এমন হলে শ্রমিকদের জীবনে অসহনীয় দুর্যোগ নেমে আসে।

‘দেশের শ্রমআইন, সংবিধান ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এ দাবি মেনে নিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য শ্রম অধিদপ্তরকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছে আইপিডি।’

Please Share This Post in Your Social Media

‘চা-শ্রমিক উন্নয়ন কমিশন’ গঠনের দাবি আইপিডির

Update Time : ০৫:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চা শিল্প ও এর সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে ‘চা-শ্রমিক উন্নয় কমিশন’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)। তাছাড়া চা-শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনকে যৌক্তিক ও ন্যায্য মেনে নিয়ে দৈনিক ন্যূনতম মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবি জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

রোববার (২১ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আইপিডির নির্বাহী পরিচালক পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান এসব আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, চা-শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিকে পুরোপুরি আমলে না নিয়ে দৈনিক মজুরি ১৪৫ টাকা করার যে প্রস্তাব সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার পক্ষ থেকে রাখা হয়েছে, তা শ্রমিকদের বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকার নিশ্চিতে পর্যাপ্ত নয়।

‘আইপিডি মনে করে, চা-শ্রমিকদের উন্নয়নের মূলধারায় নিয়ে আসতে অতি জরুরিভিত্তিতে চা শ্রমিক উন্নয়ন কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। এ কমিশন চা-শ্রমিকদের মজুরিসহ মৌলিক নাগরিক সুবিধা ও মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে সরকারকে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেবে।’

আইপিডির পক্ষে অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পরে চা শিল্প সংশ্লিষ্ট দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে সুবিধাবঞ্চিত রেখে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যগুলো অর্জন করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে চা-শিল্প মালিক ও সংশ্লিষ্ট সবার করণীয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত দশকগুলোতে চা-শিল্পের ক্রমবর্ধমান উন্নতি ও বিকাশ হলেও চা-শ্রমিকদের ভাগ্যের তেমন পরিবর্তন হয়নি। বিষয়টি অত্যন্ত বিস্ময়কর ও হতাশাজনক। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মাতরে চা-শ্রমিকরা দারিদ্র্য-বঞ্চনা-শোষণের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। বিপরীতে চাশিল্প মালিকদের বিত্ত-বৈভব ক্রমাগত বাড়ছে।

আরও বলা হয়, যেকোনো শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে শ্রমিকদের সম্মানজনকভাবে বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এটি নিশ্চিত করা না হলে শিল্প রাষ্ট্রের জন্য সামগ্রিক কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। এমন হলে শ্রমিকদের জীবনে অসহনীয় দুর্যোগ নেমে আসে।

‘দেশের শ্রমআইন, সংবিধান ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এ দাবি মেনে নিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য শ্রম অধিদপ্তরকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছে আইপিডি।’