চাঁদপুর সদরের অধিকাংশ খামারীরাই রেজিষ্ট্রেশন করেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:৪৮:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ২৩৭ Time View

জাহাঙ্গীর আলম রাজু ॥

চাঁদপুর সদর উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার মধ্যে বেশির ভাগ খামারীরাই (ফার্ম) করেনি সরকারি রেজিষ্ট্রেশন। আলাদা কোন সুযোগ সুবিধা না থাকায় রেজিষ্ট্রেশন করতে আগ্রহী নয় খামারীরা। আর এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আয়।

সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলায় প্রায় ৩শ’ ১টি গরুর খামার, ৯৫টি ছাগলের খামার, ৫টি হাসের খামার, ১শ’ ৫৩ টি ব্রয়লার মুরগীর খামার ও ৯টি লেয়ার মুরগীর খামার রয়েছে। এরমধ্যে রেজিষ্ট্রেশনকৃত গরুর খামার ৪৪টি, ছাগলের ৩ টি, মরগীর ২৮টি ও হাঁসের ২ টি খামার রয়েছে।

রেজিষ্ট্রেশনকৃত ও রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া এ খামারগুলোতে ৫৪ হাজার ৫শ’ ২০টি গরু ও ৩ হাজার ৭শ’ ২৬টি মহিষ, ২৫ হাজার ৩শ’ ৬০টি ছাগল ও ২ হাজার ৩শ’ ৮০টি ভেড়া, ১লাখ ৭৪ হাজার ৭শ’ ৮৫টি হাঁস, ৮ লাখ ২৪ হাজার ৫শ’ ৪১টি মুরগী, ৩২ হাজার ৩শ’ ৮০টি কবুতর রয়েছে। মহিষ, ভেড়া ও কবুতরের নির্দিষ্ট কোন খামারের তালিকা না থাকলেও বিভিন্ন ভাবে এগুলো পালন করছে লোকজন। গত জানুয়ারি মাসে সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে গরু ১ হাজার ৪শ’ ৪৫টি, হাঁস- মুরগী ১৪ হাজার ১শ’ ৩০টি ও কুকুর, বিড়াল সহ ৬টি পৌষ্যপ্রাণীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল সূত্রে আরো জানা যায়, ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ এ তিনটি ক্যাটাগরি বা পদ্ধতিতে খামারের রেজিষ্ট্রেশন করা হয়। ৫১ টি গরুর উর্দ্ধে থাকলে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে হলে ১০ হাজার টাকা নিবন্ধন ফি চালান ফরমের মাধ্যমে জমা দিতে হবে ও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ২১ থেকে ৫০ টি গরু থাকতে হবে। আর এ জন্য ৫ হাজার টাকা এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ১০ থেকে ২০ টি গরু থাকতে হবে। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ২ হাজার টাকা নিবন্ধন ফি জমা দিতে হবে। ক্যাটাগরি অনুযায়ি চালান ফরমের রিসিভ কপিসহ সহ চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরে জমা দিয়ে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে হবে। রেজিষ্ট্রেশনের পর প্রতি বছর নবায়নের জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৫শ’, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৭শ’ ও ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৩শ’ টাকা চালান ফরমের মাধ্যমে জমা দিয়ে নবায়ন করতে হবে।

৬১ টি ছাগলের উর্দ্ধে থাকলে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে হলে ১ হাজার টাকা ও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৪১ থেকে ৬০ টি ছাগলের জন্য ৮শ’ টাকা এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ২০ থেকে ৪০ টি ছাগলের জন্য ৫শ’ টাকা নিবন্ধন ফি জমা দিতে হবে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য। রেজিষ্ট্রেশনের পর প্রতি বছর নবায়নের জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ২শ’, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ১শ’ ৬০ ও ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ১শ’ টাকা চালান ফরমের মাধ্যমে জমা দিয়ে নবায়ন করতে হবে। এছাড়াও ভেড়ার খামারীরাও নিবন্ধনের জন্য ছাগলের সংখ্যার নিয়মের মতোই ফি জমা দিতে হবে এবং একই নিয়মে নবায়নও করতে পারবে।

৫ হাজার ১শ’ টির উর্দ্ধে হাঁস থাকলে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে হলে ৫ হাজার টাকা ও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৩ হাজার ১ থেকে ৫ হাজার হাঁসের জন্য ৩ হাজার টাকা এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ১ থেকে ২ হাজার হাঁসের জন্য ১ হাজার টাকা নিবন্ধন ফি জমা দিতে হবে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য। রেজিষ্ট্রেশনের পর প্রতি বছর নবায়নের জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৬শ’, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৪শ’ ও ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ১শ’ ৫০ টাকা চালান ফরমের মাধ্যমে জমা দিয়ে নবায়ন করতে হবে।

২০ হাজার ১ টির উর্দ্ধে লেয়ার মুরগী থাকলে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে হলে ১৫ হাজার টাকা ও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ১০ হাজার ১ থেকে ২০ হাজার লেয়ার মুরগীর জন্য ১০ হাজার টাকা এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ১ থেকে ১০ হাজার লেয়ার মুরগীর জন্য ৫ হাজার টাকা নিবন্ধন ফি জমা দিতে হবে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য। রেজিষ্ট্রেশনের পর প্রতি বছর নবায়নের জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ২ হাজার ৫শ’, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৫শ’ ও ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৭শ’ টাকা চালান ফরমের মাধ্যমে জমা দিয়ে নবায়ন করতে হবে।

২০ হাজার ১ টির উর্দ্ধে ব্রয়লার মুরগী থাকলে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে হলে ১০ হাজার টাকা ও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ১০ হাজার ১ থেকে ২০ হাজার লেয়ার মুরগীর জন্য ৫ হাজার টাকা এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ১ থেকে ১০ হাজার লেয়ার মুরগীর জন্য ২ হাজার ৫শ’ টাকা নিবন্ধন ফি জমা দিতে হবে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য। রেজিষ্ট্রেশনের পর প্রতি বছর নবায়নের জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৫শ’, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৭শ’ ও ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৪শ’ টাকা চালান ফরমের মাধ্যমে জমা দিয়ে নবায়ন করতে হবে।

প্রতিটি ক্যাটাগরি অনুযায়ি চালান ফরমের রিসিভ কপিসহ সহ চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরে জমা দিয়ে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে হবে।

সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ মুকবুল হোসেন জানান, আমরা সব সময় চেষ্টা করি সেবা দেওয়ার জন্য। লোকজনও গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগী ও পৌষ্য প্রাণী নিয়ে আসে সেবা নেওয়ার জন্য। তবে তুলনা মূলক কম লোকজনই আসে। আমাদের এখানে যে সকল ঔষধ আছে তা আমরা ফ্রি দেই। তবে বাৎসরিক যে ঔষধ আমাদের এখানে সরকারি ভাবে দেয়া হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। চাঁদপুর সদর উপজেলায় এখনো অনেকেই আছে যারা তাদের খামারগুলো রেজিষ্ট্রেশন করেনা। রেজিষ্ট্রেশনকৃত খামারীদের সরকারি ভাবে আলাদা কোন সুযোগ সুবিধা না থাকায় রেজিষ্ট্রেশন করতে তেমন আগ্রহ হচ্ছে না খামারীরা। তবে সরকারি নিয়মানুযায়ী রেজিষ্ট্রেশন করা অবশ্যই দরকার। তারপরেও আমরা চেষ্টা করি খামারীদেরকে সেবা দেওয়ার জন্য। মানুষ বিভিন্ন খামার দিতে আগে তেমন আগ্রহ না হলেও করোনার প্রভাবে চাকুরী কিংবা ব্যবসায় অসুবিধা হওয়ায় বর্তমানে অনেকেই ভার্তি উপার্জনের জন্য গরু, ছাগল ও হাঁস-মুরগী লালন পালনে আগ্রহ হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, অনেকেই প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের সেবার কথা জানে না। ইউনিয়ন পর্যায়ে আমাদের কর্মী আছে, তারা খামারী কিংবা লোকজনদের কাছে গিয়ে সেবার কথা বলে। গবাদি পশুকে কৃত্রিম পর্যায়ে বীজ দেওয়া কিংবা গর্ভপাতের সময় যদি কোন খামারীরা সমস্যায় পরে তাহলে মাঠ পর্যায়ে থাকা আমাদের কর্মীরা সেবা দিয়ে থাকে। তবে মাঠ পর্যায়ে আমাদের আরো কিছু কর্মী নিতে হবে। মাঠ পর্যায়ে লোকবল সংকট রয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

চাঁদপুর সদরের অধিকাংশ খামারীরাই রেজিষ্ট্রেশন করেনি

Update Time : ১১:৪৮:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

জাহাঙ্গীর আলম রাজু ॥

চাঁদপুর সদর উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার মধ্যে বেশির ভাগ খামারীরাই (ফার্ম) করেনি সরকারি রেজিষ্ট্রেশন। আলাদা কোন সুযোগ সুবিধা না থাকায় রেজিষ্ট্রেশন করতে আগ্রহী নয় খামারীরা। আর এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আয়।

সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলায় প্রায় ৩শ’ ১টি গরুর খামার, ৯৫টি ছাগলের খামার, ৫টি হাসের খামার, ১শ’ ৫৩ টি ব্রয়লার মুরগীর খামার ও ৯টি লেয়ার মুরগীর খামার রয়েছে। এরমধ্যে রেজিষ্ট্রেশনকৃত গরুর খামার ৪৪টি, ছাগলের ৩ টি, মরগীর ২৮টি ও হাঁসের ২ টি খামার রয়েছে।

রেজিষ্ট্রেশনকৃত ও রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া এ খামারগুলোতে ৫৪ হাজার ৫শ’ ২০টি গরু ও ৩ হাজার ৭শ’ ২৬টি মহিষ, ২৫ হাজার ৩শ’ ৬০টি ছাগল ও ২ হাজার ৩শ’ ৮০টি ভেড়া, ১লাখ ৭৪ হাজার ৭শ’ ৮৫টি হাঁস, ৮ লাখ ২৪ হাজার ৫শ’ ৪১টি মুরগী, ৩২ হাজার ৩শ’ ৮০টি কবুতর রয়েছে। মহিষ, ভেড়া ও কবুতরের নির্দিষ্ট কোন খামারের তালিকা না থাকলেও বিভিন্ন ভাবে এগুলো পালন করছে লোকজন। গত জানুয়ারি মাসে সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে গরু ১ হাজার ৪শ’ ৪৫টি, হাঁস- মুরগী ১৪ হাজার ১শ’ ৩০টি ও কুকুর, বিড়াল সহ ৬টি পৌষ্যপ্রাণীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল সূত্রে আরো জানা যায়, ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ এ তিনটি ক্যাটাগরি বা পদ্ধতিতে খামারের রেজিষ্ট্রেশন করা হয়। ৫১ টি গরুর উর্দ্ধে থাকলে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে হলে ১০ হাজার টাকা নিবন্ধন ফি চালান ফরমের মাধ্যমে জমা দিতে হবে ও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ২১ থেকে ৫০ টি গরু থাকতে হবে। আর এ জন্য ৫ হাজার টাকা এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ১০ থেকে ২০ টি গরু থাকতে হবে। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ২ হাজার টাকা নিবন্ধন ফি জমা দিতে হবে। ক্যাটাগরি অনুযায়ি চালান ফরমের রিসিভ কপিসহ সহ চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরে জমা দিয়ে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে হবে। রেজিষ্ট্রেশনের পর প্রতি বছর নবায়নের জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৫শ’, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৭শ’ ও ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৩শ’ টাকা চালান ফরমের মাধ্যমে জমা দিয়ে নবায়ন করতে হবে।

৬১ টি ছাগলের উর্দ্ধে থাকলে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে হলে ১ হাজার টাকা ও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৪১ থেকে ৬০ টি ছাগলের জন্য ৮শ’ টাকা এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ২০ থেকে ৪০ টি ছাগলের জন্য ৫শ’ টাকা নিবন্ধন ফি জমা দিতে হবে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য। রেজিষ্ট্রেশনের পর প্রতি বছর নবায়নের জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ২শ’, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ১শ’ ৬০ ও ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ১শ’ টাকা চালান ফরমের মাধ্যমে জমা দিয়ে নবায়ন করতে হবে। এছাড়াও ভেড়ার খামারীরাও নিবন্ধনের জন্য ছাগলের সংখ্যার নিয়মের মতোই ফি জমা দিতে হবে এবং একই নিয়মে নবায়নও করতে পারবে।

৫ হাজার ১শ’ টির উর্দ্ধে হাঁস থাকলে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে হলে ৫ হাজার টাকা ও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৩ হাজার ১ থেকে ৫ হাজার হাঁসের জন্য ৩ হাজার টাকা এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ১ থেকে ২ হাজার হাঁসের জন্য ১ হাজার টাকা নিবন্ধন ফি জমা দিতে হবে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য। রেজিষ্ট্রেশনের পর প্রতি বছর নবায়নের জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৬শ’, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৪শ’ ও ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ১শ’ ৫০ টাকা চালান ফরমের মাধ্যমে জমা দিয়ে নবায়ন করতে হবে।

২০ হাজার ১ টির উর্দ্ধে লেয়ার মুরগী থাকলে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে হলে ১৫ হাজার টাকা ও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ১০ হাজার ১ থেকে ২০ হাজার লেয়ার মুরগীর জন্য ১০ হাজার টাকা এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ১ থেকে ১০ হাজার লেয়ার মুরগীর জন্য ৫ হাজার টাকা নিবন্ধন ফি জমা দিতে হবে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য। রেজিষ্ট্রেশনের পর প্রতি বছর নবায়নের জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ২ হাজার ৫শ’, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৫শ’ ও ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৭শ’ টাকা চালান ফরমের মাধ্যমে জমা দিয়ে নবায়ন করতে হবে।

২০ হাজার ১ টির উর্দ্ধে ব্রয়লার মুরগী থাকলে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে হলে ১০ হাজার টাকা ও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ১০ হাজার ১ থেকে ২০ হাজার লেয়ার মুরগীর জন্য ৫ হাজার টাকা এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ১ থেকে ১০ হাজার লেয়ার মুরগীর জন্য ২ হাজার ৫শ’ টাকা নিবন্ধন ফি জমা দিতে হবে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য। রেজিষ্ট্রেশনের পর প্রতি বছর নবায়নের জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৫শ’, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৭শ’ ও ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৪শ’ টাকা চালান ফরমের মাধ্যমে জমা দিয়ে নবায়ন করতে হবে।

প্রতিটি ক্যাটাগরি অনুযায়ি চালান ফরমের রিসিভ কপিসহ সহ চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরে জমা দিয়ে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে হবে।

সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ মুকবুল হোসেন জানান, আমরা সব সময় চেষ্টা করি সেবা দেওয়ার জন্য। লোকজনও গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগী ও পৌষ্য প্রাণী নিয়ে আসে সেবা নেওয়ার জন্য। তবে তুলনা মূলক কম লোকজনই আসে। আমাদের এখানে যে সকল ঔষধ আছে তা আমরা ফ্রি দেই। তবে বাৎসরিক যে ঔষধ আমাদের এখানে সরকারি ভাবে দেয়া হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। চাঁদপুর সদর উপজেলায় এখনো অনেকেই আছে যারা তাদের খামারগুলো রেজিষ্ট্রেশন করেনা। রেজিষ্ট্রেশনকৃত খামারীদের সরকারি ভাবে আলাদা কোন সুযোগ সুবিধা না থাকায় রেজিষ্ট্রেশন করতে তেমন আগ্রহ হচ্ছে না খামারীরা। তবে সরকারি নিয়মানুযায়ী রেজিষ্ট্রেশন করা অবশ্যই দরকার। তারপরেও আমরা চেষ্টা করি খামারীদেরকে সেবা দেওয়ার জন্য। মানুষ বিভিন্ন খামার দিতে আগে তেমন আগ্রহ না হলেও করোনার প্রভাবে চাকুরী কিংবা ব্যবসায় অসুবিধা হওয়ায় বর্তমানে অনেকেই ভার্তি উপার্জনের জন্য গরু, ছাগল ও হাঁস-মুরগী লালন পালনে আগ্রহ হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, অনেকেই প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের সেবার কথা জানে না। ইউনিয়ন পর্যায়ে আমাদের কর্মী আছে, তারা খামারী কিংবা লোকজনদের কাছে গিয়ে সেবার কথা বলে। গবাদি পশুকে কৃত্রিম পর্যায়ে বীজ দেওয়া কিংবা গর্ভপাতের সময় যদি কোন খামারীরা সমস্যায় পরে তাহলে মাঠ পর্যায়ে থাকা আমাদের কর্মীরা সেবা দিয়ে থাকে। তবে মাঠ পর্যায়ে আমাদের আরো কিছু কর্মী নিতে হবে। মাঠ পর্যায়ে লোকবল সংকট রয়েছে।