চলমান কঠোর লকডাউন ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:১৩:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুলাই ২০২১
  • / ১৮৪ Time View

লকডাউনে ফাঁকা ঢাকার রাজপথ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামী ৫ আগস্টের পর কঠোর বিধিনিষেধ আরও বাড়ানোর পক্ষে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশীদ আলম।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বিষয়টি জানান।

ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম  বলেন, আমরা আরও ১০ দিন আগেই কেবিনেট মিটিংয়ে বিধি-নিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি। যদিও এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, আমরা কীভাবে এই সংক্রমণ সামাল দেবো? রোগীদের কোথায় জায়গা দেবো?  তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি বিধিনিষেধ কন্টিনিউ করতে। কারণ আমাদের যেকোনো ভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, সব খুলে দেয়া যাবে না। সব খুলে দিলে সংক্রমণ আরও বাড়বে। আমরা শুনেছি ব্যবসায়ীরা কারখানা খুলে দেয়ার জন্য জনপ্রশাসনে আবেদন করেছেন। কিন্তু সব খুলে দিয়ে সংক্রমণ বেড়ে গেলে তো হাসপাতালে জায়গা হবে না।’

সরকারের গণটিকাদান কর্মসূচির পরিকল্পনা বিষয়ে তিনি বলেন,‘পরিকল্পনা তো নিয়ে রাখতে হয়। কোনো কিছুই ফিক্সড (নির্ধারিত) নয়। ইপিআই যেভাবে অন্যান্য টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে, এটিও সেভাবে করবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয় এ বিষয়ে ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানাবেন।’

ঈদুল আজহার পর ২৩ জুলাই থেকে এ দফার কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী,এই বিধিনিষেধ বহাল থাকবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত।এবারের বিধিনিষেধে শিল্পকারখানাও বন্ধ রয়েছে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত আসার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে ব্যবসায়ীরা কারখানা খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছেন।

সাধারণত বিধিনিষেধ দেয়ার পর করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসলেও এবার তেমনটি দেখা যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

চলমান কঠোর লকডাউন ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ

Update Time : ০৪:১৩:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামী ৫ আগস্টের পর কঠোর বিধিনিষেধ আরও বাড়ানোর পক্ষে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশীদ আলম।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বিষয়টি জানান।

ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম  বলেন, আমরা আরও ১০ দিন আগেই কেবিনেট মিটিংয়ে বিধি-নিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি। যদিও এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, আমরা কীভাবে এই সংক্রমণ সামাল দেবো? রোগীদের কোথায় জায়গা দেবো?  তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি বিধিনিষেধ কন্টিনিউ করতে। কারণ আমাদের যেকোনো ভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, সব খুলে দেয়া যাবে না। সব খুলে দিলে সংক্রমণ আরও বাড়বে। আমরা শুনেছি ব্যবসায়ীরা কারখানা খুলে দেয়ার জন্য জনপ্রশাসনে আবেদন করেছেন। কিন্তু সব খুলে দিয়ে সংক্রমণ বেড়ে গেলে তো হাসপাতালে জায়গা হবে না।’

সরকারের গণটিকাদান কর্মসূচির পরিকল্পনা বিষয়ে তিনি বলেন,‘পরিকল্পনা তো নিয়ে রাখতে হয়। কোনো কিছুই ফিক্সড (নির্ধারিত) নয়। ইপিআই যেভাবে অন্যান্য টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে, এটিও সেভাবে করবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয় এ বিষয়ে ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানাবেন।’

ঈদুল আজহার পর ২৩ জুলাই থেকে এ দফার কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী,এই বিধিনিষেধ বহাল থাকবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত।এবারের বিধিনিষেধে শিল্পকারখানাও বন্ধ রয়েছে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত আসার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে ব্যবসায়ীরা কারখানা খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছেন।

সাধারণত বিধিনিষেধ দেয়ার পর করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসলেও এবার তেমনটি দেখা যায়নি।