চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ও গেটওয়ে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:২১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জানুয়ারী ২০২২
  • / ১৬৮ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রামে বন্দরের সার্ভিস জেটি উদ্বোধন এবং নবসংগৃহীত টাগবোটের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম বন্দরকে দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ও গেটওয়ে বলে মন্তব্য করেছেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য টাগবোট সংগ্রহ, সার্ভিস জেটি নির্মাণ, নিউমুরিং কন্টেইনার ওভারফ্লো ইয়ার্ড নির্মাণ এবং অন্যান্য স্থাপনা সংযোজন বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য নতুন মাইলফলক।

বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, বে-টার্মনাল এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দর ‘রিজিওনাল মেরিটাইম কানেক্টিভিটি হাব’ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

চট্টগ্রাম বন্দরে গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে। করোনা মহামারির মধ‍্যেও উন্নয়ন শুধু দেশের মধ‍্যে নয়, সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে ৫টি অগ্রসরমাণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঠিক ও দক্ষ নেতৃত্বে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে পেরেছি বলে যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, সঠিক, দক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্ব পেলে দেশ এগিয়ে যেতে পারে তার উদাহরণ বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর পর বাংলাদেশ সঠিক নেতৃত্ব পায়নি। এখন শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের রিজার্ভ ৫০ বিলিয়নের ওপরে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাচ্ছে। রেমিট্যান্সের চালিকাশক্তি চট্টগ্রাম বন্দর। অর্থনীতির গেটওয়ে চট্টগ্রাম বন্দর।

অনেকেই দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ইস্পাত কঠিন ঐক‍্য গড়ে তুলতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বের কারণে ষড়যন্ত্রকারীদের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র সফল হতে পারেনি। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশ এগিয়ে যাবে।

বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ‘পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল’ নির্মিত হয়েছে। ‘বে-টার্মিনাল’ এবং ‘মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর’ নির্মিত হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

প্রায় ১৪ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন একটি সার্ভিস জেটি চালু করা হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তীরে নগরীর আগ্রাবাদ বারিক বিল্ডিং এলাকায় ১ নম্বর জেটির উজানে এ জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। সার্ভিস জেটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮৩ কোটি টাকা। জেটিতে ২২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২০ মিটার প্রস্থের ৫ মিটার ড্রাফটের (গভীরতা) ১০০ মিটার লম্বা দুটি জাহাজ একসঙ্গে ভিড়তে পারবে।

চট্টগ্রামে বন্দরের ১ নম্বর গেট সংলগ্ন সার্ভিস জেটির উদ্বোধন করা হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।

নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য খালাসেও এ জেটি ব্যবহার করা যাবে। নতুন সার্ভিস জেটি চালু হওয়ায় বন্দরের মালিকানাধীন বিভিন্ন জাহাজের সুরক্ষা ও বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমে গতি আসবে।

বন্দরের উদ্ধারকারী জাহাজ, টাগবোট, জরিপ জাহাজ, আউটার থেকে বিদেশি জাহাজগুলোকে জেটিতে আনার দায়িত্বে থাকা পাইলটদের বোট, ফায়ার ফাইটিং বোট, পানি সরবরাহকারী জাহাজসহ প্রয়োজনীয় সব জাহাজ সার্ভিজ জেটি ব্যবহার করবে।

পরে প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নবনির্মিত নিউমুরিং কন্টেইনার ওভারফ্লো ইয়ার্ড, নবনির্মিত সুইমিংপুল কমপ্লেক্স, বাস্কেটবল গ্রাউন্ড এবং টেনিস কোর্ট এর উদ্বোধন করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ও গেটওয়ে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

Update Time : ০১:২১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রামে বন্দরের সার্ভিস জেটি উদ্বোধন এবং নবসংগৃহীত টাগবোটের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম বন্দরকে দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ও গেটওয়ে বলে মন্তব্য করেছেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য টাগবোট সংগ্রহ, সার্ভিস জেটি নির্মাণ, নিউমুরিং কন্টেইনার ওভারফ্লো ইয়ার্ড নির্মাণ এবং অন্যান্য স্থাপনা সংযোজন বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য নতুন মাইলফলক।

বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, বে-টার্মনাল এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দর ‘রিজিওনাল মেরিটাইম কানেক্টিভিটি হাব’ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

চট্টগ্রাম বন্দরে গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে। করোনা মহামারির মধ‍্যেও উন্নয়ন শুধু দেশের মধ‍্যে নয়, সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে ৫টি অগ্রসরমাণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঠিক ও দক্ষ নেতৃত্বে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে পেরেছি বলে যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, সঠিক, দক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্ব পেলে দেশ এগিয়ে যেতে পারে তার উদাহরণ বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর পর বাংলাদেশ সঠিক নেতৃত্ব পায়নি। এখন শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের রিজার্ভ ৫০ বিলিয়নের ওপরে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাচ্ছে। রেমিট্যান্সের চালিকাশক্তি চট্টগ্রাম বন্দর। অর্থনীতির গেটওয়ে চট্টগ্রাম বন্দর।

অনেকেই দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ইস্পাত কঠিন ঐক‍্য গড়ে তুলতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বের কারণে ষড়যন্ত্রকারীদের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র সফল হতে পারেনি। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশ এগিয়ে যাবে।

বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ‘পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল’ নির্মিত হয়েছে। ‘বে-টার্মিনাল’ এবং ‘মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর’ নির্মিত হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

প্রায় ১৪ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন একটি সার্ভিস জেটি চালু করা হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তীরে নগরীর আগ্রাবাদ বারিক বিল্ডিং এলাকায় ১ নম্বর জেটির উজানে এ জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। সার্ভিস জেটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮৩ কোটি টাকা। জেটিতে ২২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২০ মিটার প্রস্থের ৫ মিটার ড্রাফটের (গভীরতা) ১০০ মিটার লম্বা দুটি জাহাজ একসঙ্গে ভিড়তে পারবে।

চট্টগ্রামে বন্দরের ১ নম্বর গেট সংলগ্ন সার্ভিস জেটির উদ্বোধন করা হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।

নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য খালাসেও এ জেটি ব্যবহার করা যাবে। নতুন সার্ভিস জেটি চালু হওয়ায় বন্দরের মালিকানাধীন বিভিন্ন জাহাজের সুরক্ষা ও বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমে গতি আসবে।

বন্দরের উদ্ধারকারী জাহাজ, টাগবোট, জরিপ জাহাজ, আউটার থেকে বিদেশি জাহাজগুলোকে জেটিতে আনার দায়িত্বে থাকা পাইলটদের বোট, ফায়ার ফাইটিং বোট, পানি সরবরাহকারী জাহাজসহ প্রয়োজনীয় সব জাহাজ সার্ভিজ জেটি ব্যবহার করবে।

পরে প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নবনির্মিত নিউমুরিং কন্টেইনার ওভারফ্লো ইয়ার্ড, নবনির্মিত সুইমিংপুল কমপ্লেক্স, বাস্কেটবল গ্রাউন্ড এবং টেনিস কোর্ট এর উদ্বোধন করেন।