চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ১৩১৫,মৃত্যু ১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
  • / ১৪৮ Time View

 

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাকালের সর্বোচ্চ এক হাজার ৩১৫ জনের দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ৩৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ সময়ে ১৭ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়,এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও নয় ল্যাবে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের ৩ হাজার ৫১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন ১,৩১৫ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৮৫৮ জন ও চৌদ্দ উপজেলার ৪৫৭ জন।

উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ফটিকছড়িতে সর্বোচ্চ ৭৮ জন, রাউজানে ৬৯ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৪২ জন, আনোয়ারায় ৪১ জন, লোহাগাড়ায় ৩৭ জন, হাটহাজারীতে ৩৫ জন, পটিয়ায় ৩৩ জন, বোয়ালখালীতে ৩২ জন, সাতাকানিয়ায় ২৭ জন, বাঁশখালীতে ২৫ জন, সীতাকু-ে ১৭ জন, সন্দ্বীপে ১৩ জন, মিরসরাইয়ে ৭ জন ও চন্দনাইশে ১ জন রয়েছেন।

জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৭৯ হাজার ৭৫১ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫৯ হাজার ৮২২ জন ও গ্রামের ১৯ হাজার ৯২৯ জন।

গতকাল করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে শহরের ৮ জন ও গ্রামের ৯ জনের মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৯৪৯ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৫৬৯ জন ও গ্রামের ৩৮০ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ২৮৬ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৫৫ হাজার ২০৮ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭ হাজার ৭২৯ জন ও ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৪৭ হাজার ৪৭৯ জন।

হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৪০০ জন এবং ছাড়পত্র নেন ১৬৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২ হাজার ৫৮৭ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে গতকাল ১ হাজার ৬ জনের এন্টিজেন টেস্ট করানো হয়। এতে শহরের ১২১ ও গ্রামের ২৩২ জনকে জীবানুবাহক বলে জানানো হয়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৬৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১১২ ও গ্রামের ৮৭ জনের শরীরে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩৭৩ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১২৯ জন ও গ্রামের ২১ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২৭৩ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৬৫ ও গ্রামের ৩৯ টিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ২৪২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৮৯ ও গ্রামের ৩১ টিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে।

নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ২৩ টি নমুনার মধ্যে শহরের ১০ ও গ্রামের ২ টিতে করোনার জীবাণু চিহ্নিত হয়।

বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ৩৫৩ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৮০ ও গ্রামের ৩৩ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২১৮ টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ৪ টিসহ ১০৪ টি, মেডিকেল সেন্টারে ৭০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩৪ টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ২৩১ টি নমুনায় শহরের ১১৮ ও গ্রামের ৬ টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়।

এদিন চট্টগ্রামের ২৭ টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় গ্রামের দু’টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে এন্টিজেন টেস্টে ৩৫ দশমিক ০৯ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ২৮ দশমিক ৪৭, চমেকে ৪০ দশমিক ২১, সিভাসু’তে ৩৮ দশমিক ০৯, চবি’তে ৪৭ দশমিক ৬২, আরটিআরএলে ৫২ দশমিক ১৭, শেভরনে ৩২ দশমিক ০১, ইম্পেরিয়ালে ৪৭ দশমিক ৭০, মেডিকেল সেন্টারে ৪৮ দশমিক ৫৭, এপিক হেলথ কেয়ারে ৫৩ দশমিক ৬৮ এবং কক্সবাজার মেডিকেল ল্যাবে ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

(বাসস)

Please Share This Post in Your Social Media

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ১৩১৫,মৃত্যু ১৭

Update Time : ১২:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১

 

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাকালের সর্বোচ্চ এক হাজার ৩১৫ জনের দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ৩৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ সময়ে ১৭ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়,এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও নয় ল্যাবে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের ৩ হাজার ৫১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন ১,৩১৫ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৮৫৮ জন ও চৌদ্দ উপজেলার ৪৫৭ জন।

উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ফটিকছড়িতে সর্বোচ্চ ৭৮ জন, রাউজানে ৬৯ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৪২ জন, আনোয়ারায় ৪১ জন, লোহাগাড়ায় ৩৭ জন, হাটহাজারীতে ৩৫ জন, পটিয়ায় ৩৩ জন, বোয়ালখালীতে ৩২ জন, সাতাকানিয়ায় ২৭ জন, বাঁশখালীতে ২৫ জন, সীতাকু-ে ১৭ জন, সন্দ্বীপে ১৩ জন, মিরসরাইয়ে ৭ জন ও চন্দনাইশে ১ জন রয়েছেন।

জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৭৯ হাজার ৭৫১ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫৯ হাজার ৮২২ জন ও গ্রামের ১৯ হাজার ৯২৯ জন।

গতকাল করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে শহরের ৮ জন ও গ্রামের ৯ জনের মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৯৪৯ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৫৬৯ জন ও গ্রামের ৩৮০ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ২৮৬ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৫৫ হাজার ২০৮ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭ হাজার ৭২৯ জন ও ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৪৭ হাজার ৪৭৯ জন।

হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৪০০ জন এবং ছাড়পত্র নেন ১৬৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২ হাজার ৫৮৭ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে গতকাল ১ হাজার ৬ জনের এন্টিজেন টেস্ট করানো হয়। এতে শহরের ১২১ ও গ্রামের ২৩২ জনকে জীবানুবাহক বলে জানানো হয়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৬৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১১২ ও গ্রামের ৮৭ জনের শরীরে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩৭৩ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১২৯ জন ও গ্রামের ২১ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২৭৩ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৬৫ ও গ্রামের ৩৯ টিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ২৪২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৮৯ ও গ্রামের ৩১ টিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে।

নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ২৩ টি নমুনার মধ্যে শহরের ১০ ও গ্রামের ২ টিতে করোনার জীবাণু চিহ্নিত হয়।

বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ৩৫৩ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৮০ ও গ্রামের ৩৩ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২১৮ টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ৪ টিসহ ১০৪ টি, মেডিকেল সেন্টারে ৭০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩৪ টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ২৩১ টি নমুনায় শহরের ১১৮ ও গ্রামের ৬ টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়।

এদিন চট্টগ্রামের ২৭ টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় গ্রামের দু’টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে এন্টিজেন টেস্টে ৩৫ দশমিক ০৯ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ২৮ দশমিক ৪৭, চমেকে ৪০ দশমিক ২১, সিভাসু’তে ৩৮ দশমিক ০৯, চবি’তে ৪৭ দশমিক ৬২, আরটিআরএলে ৫২ দশমিক ১৭, শেভরনে ৩২ দশমিক ০১, ইম্পেরিয়ালে ৪৭ দশমিক ৭০, মেডিকেল সেন্টারে ৪৮ দশমিক ৫৭, এপিক হেলথ কেয়ারে ৫৩ দশমিক ৬৮ এবং কক্সবাজার মেডিকেল ল্যাবে ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

(বাসস)