ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ঝুঁকি নেই বাংলাদেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:৫২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১
  • / ১৮৪ Time View

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এখনো ততটা শক্তিশালী হতে পারেনি বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, নতুন করে দিক পরিবর্তন না করলে বর্তমান গতিপথ অনুযায়ী বাংলাদেশে উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাব পড়বে না।

সোমবার দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আল্লাহ আমাদেরকে এখন পর্যন্ত অনেকটা টেনশন মুক্ত রেখেছেন। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এখনো ততটা শক্তিশালী হতে পারেনি। বর্তমান বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি। এটা ওড়িশা উপকূল থেকে ৫০০ কি.মি এবং বাংলাদেশ উপকূল থেকে ৬০৫ কি.মি দূরে অবস্থান করছে। দিকটা উত্তর-পশ্চিমাংশে সরাসরি ওড়িশার দিকে। যদি এর গতিপথ একই রকম থাকে তাহলে বাংলাদেশের উপকূলে আপাতত ক্ষতির কোন প্রভাব হবে না বলে আশা করছি।

তিনি আরো বলেন, এটা ওড়িশাতে আঘাত করার পরে প্যারামিটারটা সাড়ে ৩০০ কি.মি এবং কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব প্রায় সাড়ে ৪০০ কি.মি হবে। এর ডায়ামিটার ১৭৫ কি.মি যার ফলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপটা সেইভাবে বাংলাদেশের উপরে আঘাত হানবে না। বাংলাদেশ দিয়ে হয়তো মেঘ এবং ঝড় হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এখন পর্যন্ত মানুষ সরানো বা সিগন্যাল বাড়ানোর প্রয়োজন নেই বলেও জানান ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ঘুর্ণিঝড়ের প্রকোপ সেইভাবে বাংলাদেশের ওপর আঘাত হানবে না। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে হয়ত মেঘ ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদও জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস থেকে বাংলাদেশ অনেকটা ঝুঁকিমুক্ত। আম্পানের মতো ইয়াস যে শক্তিশালী হচ্ছে না, তা প্রায় ৯০ শতাংশ নিশ্চিত।

Please Share This Post in Your Social Media

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ঝুঁকি নেই বাংলাদেশে

Update Time : ০২:৫২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এখনো ততটা শক্তিশালী হতে পারেনি বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, নতুন করে দিক পরিবর্তন না করলে বর্তমান গতিপথ অনুযায়ী বাংলাদেশে উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাব পড়বে না।

সোমবার দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আল্লাহ আমাদেরকে এখন পর্যন্ত অনেকটা টেনশন মুক্ত রেখেছেন। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এখনো ততটা শক্তিশালী হতে পারেনি। বর্তমান বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি। এটা ওড়িশা উপকূল থেকে ৫০০ কি.মি এবং বাংলাদেশ উপকূল থেকে ৬০৫ কি.মি দূরে অবস্থান করছে। দিকটা উত্তর-পশ্চিমাংশে সরাসরি ওড়িশার দিকে। যদি এর গতিপথ একই রকম থাকে তাহলে বাংলাদেশের উপকূলে আপাতত ক্ষতির কোন প্রভাব হবে না বলে আশা করছি।

তিনি আরো বলেন, এটা ওড়িশাতে আঘাত করার পরে প্যারামিটারটা সাড়ে ৩০০ কি.মি এবং কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব প্রায় সাড়ে ৪০০ কি.মি হবে। এর ডায়ামিটার ১৭৫ কি.মি যার ফলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপটা সেইভাবে বাংলাদেশের উপরে আঘাত হানবে না। বাংলাদেশ দিয়ে হয়তো মেঘ এবং ঝড় হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এখন পর্যন্ত মানুষ সরানো বা সিগন্যাল বাড়ানোর প্রয়োজন নেই বলেও জানান ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ঘুর্ণিঝড়ের প্রকোপ সেইভাবে বাংলাদেশের ওপর আঘাত হানবে না। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে হয়ত মেঘ ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদও জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস থেকে বাংলাদেশ অনেকটা ঝুঁকিমুক্ত। আম্পানের মতো ইয়াস যে শক্তিশালী হচ্ছে না, তা প্রায় ৯০ শতাংশ নিশ্চিত।