খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৮৬ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর অস্থায়ী এজলাসে বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম আংশিক সাক্ষ্য দিতে হাজির ছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী এক দরখাস্ত দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি আদালতকে বলেন, এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। ওই আবেদনের ওপর শুনানি চলছে। কাজেই সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়া হোক। পরে আদালত পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

গত ২৩ মে এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর দুটি ধার্য তারিখে বাদী জবানবন্দি দেন। তার জবানবন্দি এখনো শেষ হয়নি। গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত।

অন্য আসামিরা হলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

এদের মধ্যে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার হাজিরা দেন। আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ, এ কে এম মোশারফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মৃত্যুবরণ করায় ইতোপূর্বে তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর এই মামলা করে দুদক। এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২৩ সালে মামলাটিতে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ

Update Time : ০৪:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর অস্থায়ী এজলাসে বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম আংশিক সাক্ষ্য দিতে হাজির ছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী এক দরখাস্ত দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি আদালতকে বলেন, এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। ওই আবেদনের ওপর শুনানি চলছে। কাজেই সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়া হোক। পরে আদালত পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

গত ২৩ মে এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর দুটি ধার্য তারিখে বাদী জবানবন্দি দেন। তার জবানবন্দি এখনো শেষ হয়নি। গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত।

অন্য আসামিরা হলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

এদের মধ্যে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার হাজিরা দেন। আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ, এ কে এম মোশারফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মৃত্যুবরণ করায় ইতোপূর্বে তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর এই মামলা করে দুদক। এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২৩ সালে মামলাটিতে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।