কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশেই বিএনপি কর্মীদের তাণ্ডব : ডিবি হারুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৬:১২:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১০৯ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে বিএনপির কর্মীরা তাণ্ডব চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। রবিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, রাজধানীর পল্টনে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা সমাবেশে হামলা ভাঙচুর ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজন ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজন বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বিএনপিকর্মী ইসমাঈল পাটোয়ারী (৬৫), শ্যামপুর থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল সাঈদ রনি, শ্যামপুর থানার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্যসচিব এসএম মুরাদ হোসেন মামু এবং যুবদলকর্মী মাকসুদুর রহমান মাসুদ, মোস্তফা কামাল সুমন। বাসে আগুন দেওয়ার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আল আমিন (২৯)।

ডিবি প্রধান বলেন, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্রিক হরতাল ও অবরোধে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা দেয় নেতাকর্মীরা। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ফলে জনমনে ভীতির সৃষ্টি হয়।

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, শাহজাহানপুর থানার কমলাপুর রেলওয়ে অফিসার্স কোয়ার্টারের সামনে বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশকে মারধর করে। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায় ইসমাঈল পাটোয়ারী দুটি সবুজ রংয়ের প্লাস্টিকের লাঠি নিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ওপর হামলা করে। এছাড়া বিএনপি নেতা আবদুস সামাদের কর্মী সাঈদ রনি, মুরাদ ও মাসুদ। তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজেও তাদের দেখা গেছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার মোস্তফা কামাল সুমন ২৮ অক্টোবর সমাবেশের দিন পুলিশের ওপর হামলা করে এক পুলিশ সদস্যের দাঁত ভেঙে ফেলে। এমনকি এই ঘটনার ছবি প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছেন ‘দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছি’। এছাড়া নিহত পুলিশ সদস্যের শিশু মেয়ে ‘বাবা, বাবা বলে কাঁদছে’ এমন এক ফেসবুক পোস্টে গিয়ে কমেন্ট করেছে ‘উই আর নট আনহ্যাপি’। গ্রেফতারের পর সবকিছু স্বীকার করেছে। এমনকি তার সঙ্গে যারা ছিল তাদের পরিচয় স্বীকার করেছে।

পৃথক আরেক ঘটনায় গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর বংশাল এলাকায় আকাশ পরিবহনে যাত্রীবেশে উঠে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আল-আমিন নামে এক বিএনপিকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ডিবি প্রধান বলেন, সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ থেকে গাজীপুর রুটে চলাচল করা আকাশ পরিবহনের একটি গাড়ি বংশাল থানার নবাব ইউসুফ রোডের ট্রাফিক সিগন্যালে থামলে যাত্রীবেশে কয়েকজন উঠে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নেমে যায়। এ ঘটনায় জড়িত আল-আমিনকে কেরানীগঞ্জ থানার চুনকটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশেই বিএনপি কর্মীদের তাণ্ডব : ডিবি হারুন

Update Time : ০৬:১২:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে বিএনপির কর্মীরা তাণ্ডব চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। রবিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, রাজধানীর পল্টনে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা সমাবেশে হামলা ভাঙচুর ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজন ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজন বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বিএনপিকর্মী ইসমাঈল পাটোয়ারী (৬৫), শ্যামপুর থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল সাঈদ রনি, শ্যামপুর থানার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্যসচিব এসএম মুরাদ হোসেন মামু এবং যুবদলকর্মী মাকসুদুর রহমান মাসুদ, মোস্তফা কামাল সুমন। বাসে আগুন দেওয়ার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আল আমিন (২৯)।

ডিবি প্রধান বলেন, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্রিক হরতাল ও অবরোধে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা দেয় নেতাকর্মীরা। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ফলে জনমনে ভীতির সৃষ্টি হয়।

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, শাহজাহানপুর থানার কমলাপুর রেলওয়ে অফিসার্স কোয়ার্টারের সামনে বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশকে মারধর করে। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায় ইসমাঈল পাটোয়ারী দুটি সবুজ রংয়ের প্লাস্টিকের লাঠি নিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ওপর হামলা করে। এছাড়া বিএনপি নেতা আবদুস সামাদের কর্মী সাঈদ রনি, মুরাদ ও মাসুদ। তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজেও তাদের দেখা গেছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার মোস্তফা কামাল সুমন ২৮ অক্টোবর সমাবেশের দিন পুলিশের ওপর হামলা করে এক পুলিশ সদস্যের দাঁত ভেঙে ফেলে। এমনকি এই ঘটনার ছবি প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছেন ‘দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছি’। এছাড়া নিহত পুলিশ সদস্যের শিশু মেয়ে ‘বাবা, বাবা বলে কাঁদছে’ এমন এক ফেসবুক পোস্টে গিয়ে কমেন্ট করেছে ‘উই আর নট আনহ্যাপি’। গ্রেফতারের পর সবকিছু স্বীকার করেছে। এমনকি তার সঙ্গে যারা ছিল তাদের পরিচয় স্বীকার করেছে।

পৃথক আরেক ঘটনায় গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর বংশাল এলাকায় আকাশ পরিবহনে যাত্রীবেশে উঠে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আল-আমিন নামে এক বিএনপিকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ডিবি প্রধান বলেন, সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ থেকে গাজীপুর রুটে চলাচল করা আকাশ পরিবহনের একটি গাড়ি বংশাল থানার নবাব ইউসুফ রোডের ট্রাফিক সিগন্যালে থামলে যাত্রীবেশে কয়েকজন উঠে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নেমে যায়। এ ঘটনায় জড়িত আল-আমিনকে কেরানীগঞ্জ থানার চুনকটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।