কুমিল্লায় আগুনে দেড় ঘণ্টায় পুড়ল ২২৮ ঘর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:৫৩:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ২১২ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় রাজধানীর মানিকনগর কুমিল্লা পট্টি বস্তিতে ছোট বড়সহ ২২৮টি বসতঘর ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৯ ইউনিটের চেষ্টায় এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া কর্মকর্তা মো. রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রোববার দুপুর ৩টা ২০ মিনিটে হঠাৎ আগুন লাগে রাজধানীর মানিকনগরের কুমিল্লা পট্টিতে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বস্তিজুড়ে। প্রায় সব স্থাপনা টিনের তৈরি হওয়ায়, আগুনের তীব্রতা বাড়ে কয়েক গুণ। চোখের সামনে সর্বস্ব ছাই হতে দেখেন ২২৮ ঘরের বাসিন্দা।’

তিনি আরও বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই বস্তিতে ২২৮টি ঘর ছিল, যা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’

ডিউটি অফিসার জানান, ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়। না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ত।

জানা যায়, কুমিল্লা পট্টির কবরস্থানের পাশে কয়েকজন মালিক মিলে বস্তির আদলে ঘরগুলো তৈরি করেন। নিম্ন আয়ের মানুষেরা সেখানে ভাড়ায় থাকতেন। আগুনে অধিকাংশ ঘর পুড়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসার আগেই আগুন পুরো বস্তিতে ছড়িয়ে পড়ে। কাঁচা ঘরগুলো মুহূর্তের মধ্যে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কাঠের চুলা থেকেই লেগেছে আগুন। ফায়ার সার্ভিস বলছে, তদন্ত কমিটিই বের করবে প্রকৃত কারণ।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, ঘরগুলো তৈরি করা হয়েছিল টিন দিয়ে। এ জন্য আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এর জন্য ভেতরে ঢুকতেও সমস্যা হয়েছিল। রাস্তায় ছোট হওয়ায় বড় গাড়ি ভেতরে আসতে পারেনি। আমরা ছোট গাড়ি নিয়ে ভেতরে আসি।

আগুনে শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে অনেককে আহাজারি করতে দেখা গেছে। শতাধিক পরিবারের ঠাঁই হয়েছে খোলা আকাশের নিচে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কুমিল্লায় আগুনে দেড় ঘণ্টায় পুড়ল ২২৮ ঘর

Update Time : ১১:৫৩:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় রাজধানীর মানিকনগর কুমিল্লা পট্টি বস্তিতে ছোট বড়সহ ২২৮টি বসতঘর ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৯ ইউনিটের চেষ্টায় এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া কর্মকর্তা মো. রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রোববার দুপুর ৩টা ২০ মিনিটে হঠাৎ আগুন লাগে রাজধানীর মানিকনগরের কুমিল্লা পট্টিতে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বস্তিজুড়ে। প্রায় সব স্থাপনা টিনের তৈরি হওয়ায়, আগুনের তীব্রতা বাড়ে কয়েক গুণ। চোখের সামনে সর্বস্ব ছাই হতে দেখেন ২২৮ ঘরের বাসিন্দা।’

তিনি আরও বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই বস্তিতে ২২৮টি ঘর ছিল, যা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’

ডিউটি অফিসার জানান, ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়। না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ত।

জানা যায়, কুমিল্লা পট্টির কবরস্থানের পাশে কয়েকজন মালিক মিলে বস্তির আদলে ঘরগুলো তৈরি করেন। নিম্ন আয়ের মানুষেরা সেখানে ভাড়ায় থাকতেন। আগুনে অধিকাংশ ঘর পুড়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসার আগেই আগুন পুরো বস্তিতে ছড়িয়ে পড়ে। কাঁচা ঘরগুলো মুহূর্তের মধ্যে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কাঠের চুলা থেকেই লেগেছে আগুন। ফায়ার সার্ভিস বলছে, তদন্ত কমিটিই বের করবে প্রকৃত কারণ।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, ঘরগুলো তৈরি করা হয়েছিল টিন দিয়ে। এ জন্য আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এর জন্য ভেতরে ঢুকতেও সমস্যা হয়েছিল। রাস্তায় ছোট হওয়ায় বড় গাড়ি ভেতরে আসতে পারেনি। আমরা ছোট গাড়ি নিয়ে ভেতরে আসি।

আগুনে শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে অনেককে আহাজারি করতে দেখা গেছে। শতাধিক পরিবারের ঠাঁই হয়েছে খোলা আকাশের নিচে।