কিশোর কুমারের প্রয়াণ দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:১৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০২০
  • / ১২৪ Time View
জাদুকরী কণ্ঠের মোহময় গায়েন কিশোর কুমারের প্রয়াণ দিবস আজ। তার নাম ছিল আভাস কুমার গাঙ্গুলি। সে নামে তাঁকে এখন কেউ চেনে না। তাঁর কণ্ঠ এখনো অনেক বাঙালির মনকে নস্টালজিক করে। ৩৩ বছর আগে এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন কিশোর কুমার।  
.

শিকারি সিনেমায় অভিনয় দিয়ে শুরু শোবিজে তার চলা। ছবিতে তাঁর কণ্ঠ শোনা যায় এর দুই বছর পর। ১৯৪৮ সালে জিদ্দি সিনেমায় প্রথম প্লেবেক করেন কিশোর কুমার। তিনি গাইলেন ‘মারনে কি দুয়ায়ে কিউ মাঙ্গু’। তারপর থেকেই অভিনয় ও গান দুই অঙ্গনেই সমান তালে এগিয়েছেন। প্রথম দিকে নিজের জন্যেই গেয়েছেন।

নায়ক কিশোরের ব্যর্থতা থেকে তাকে গায়কের রুপে নিয়ে আসেন শচীন দেব বর্মণ। তারপর শুরু ইতিহাসকে নিজের করে নেয়া। মোহাম্মদ রাফিকে টপকে কিশোর কুমার হয়ে উঠেন বলিউডের সেরা প্লেবেকার।
অমিতাভ আর কিশোরের কণ্ঠ রসায়ন জমেছিল বেশ। সময় এস ডি বর্মণের সুপুত্র রাহুল দেব বর্মণের সঙ্গীত পরিচালনায় গান গাওয়া শুরু করেন কিশোর কুমার। এখানেও সফল হলেন। একের পর এক দর্শক প্রিয় গান দিয়ে যাচ্ছিল এ জুটি। হামে তুমসে পেয়ার কিতনা, হামে অর জিনে কি, দেখা এক খাওয়াব, সাগার কিনারে, চেহরা হে ইয়া, ইয়ে দোস্তি, রিম ঝিম ঘিরে সাওয়ান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

এই অসামান্য শিল্পী হিন্দি ছবি ছাড়াও গান গেয়েছেন বাংলা, মারাঠি, গুজরাটি ও কানাড় ছবিতে। বাংলা সিনেমায় তার গাওয়া কিছু গান এখনো মুখে মুখে শোনা যায়। আমার স্বপ্ন তুমি ওগো চির দিনের সাথী, আশা ছিল ভালবাসা ছিল, যদি হই চোর কাঁটা, এই তো জীবন, নারীর চরিত্র বেজায় জটিল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
.
১৯২৯ সালে আগস্টের ৪ তারিখে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ছোট শহর খান্ডওয়ার এক ছোট গলির ছোট্ট বাড়িতে এই গুনী শিল্পীর জন্ম। ১৯৮৭ সালের ১৩ অক্টোবর এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান এই মহান শিল্পী।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কিশোর কুমারের প্রয়াণ দিবস আজ

Update Time : ০১:১৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০২০
জাদুকরী কণ্ঠের মোহময় গায়েন কিশোর কুমারের প্রয়াণ দিবস আজ। তার নাম ছিল আভাস কুমার গাঙ্গুলি। সে নামে তাঁকে এখন কেউ চেনে না। তাঁর কণ্ঠ এখনো অনেক বাঙালির মনকে নস্টালজিক করে। ৩৩ বছর আগে এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন কিশোর কুমার।  
.

শিকারি সিনেমায় অভিনয় দিয়ে শুরু শোবিজে তার চলা। ছবিতে তাঁর কণ্ঠ শোনা যায় এর দুই বছর পর। ১৯৪৮ সালে জিদ্দি সিনেমায় প্রথম প্লেবেক করেন কিশোর কুমার। তিনি গাইলেন ‘মারনে কি দুয়ায়ে কিউ মাঙ্গু’। তারপর থেকেই অভিনয় ও গান দুই অঙ্গনেই সমান তালে এগিয়েছেন। প্রথম দিকে নিজের জন্যেই গেয়েছেন।

নায়ক কিশোরের ব্যর্থতা থেকে তাকে গায়কের রুপে নিয়ে আসেন শচীন দেব বর্মণ। তারপর শুরু ইতিহাসকে নিজের করে নেয়া। মোহাম্মদ রাফিকে টপকে কিশোর কুমার হয়ে উঠেন বলিউডের সেরা প্লেবেকার।
অমিতাভ আর কিশোরের কণ্ঠ রসায়ন জমেছিল বেশ। সময় এস ডি বর্মণের সুপুত্র রাহুল দেব বর্মণের সঙ্গীত পরিচালনায় গান গাওয়া শুরু করেন কিশোর কুমার। এখানেও সফল হলেন। একের পর এক দর্শক প্রিয় গান দিয়ে যাচ্ছিল এ জুটি। হামে তুমসে পেয়ার কিতনা, হামে অর জিনে কি, দেখা এক খাওয়াব, সাগার কিনারে, চেহরা হে ইয়া, ইয়ে দোস্তি, রিম ঝিম ঘিরে সাওয়ান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

এই অসামান্য শিল্পী হিন্দি ছবি ছাড়াও গান গেয়েছেন বাংলা, মারাঠি, গুজরাটি ও কানাড় ছবিতে। বাংলা সিনেমায় তার গাওয়া কিছু গান এখনো মুখে মুখে শোনা যায়। আমার স্বপ্ন তুমি ওগো চির দিনের সাথী, আশা ছিল ভালবাসা ছিল, যদি হই চোর কাঁটা, এই তো জীবন, নারীর চরিত্র বেজায় জটিল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
.
১৯২৯ সালে আগস্টের ৪ তারিখে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ছোট শহর খান্ডওয়ার এক ছোট গলির ছোট্ট বাড়িতে এই গুনী শিল্পীর জন্ম। ১৯৮৭ সালের ১৩ অক্টোবর এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান এই মহান শিল্পী।