কিংবদন্তি সুরকার আলম খান আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:৩৯:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুলাই ২০২২
  • / ১৯৫ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাংলা গানের কিংবদন্তি সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলম খান আর নেই।

শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল ১১টা ৩২ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার ছেলে সংগীত পরিচালক আরমান খান গণমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে আরমান লিখেছেন, ‘আব্বা চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’

অন্যদিকে সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন জানান, কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক শ্রদ্ধেয় আলম খান আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। তার বিদেহী আত্মাকে বেহেশত নসিব করুন- আমিন।’

আলম খান প্রথম জানাজা শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে এবং দ্বিতীয় জানাজা বাদ আসর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) সম্পন্ন হবে।

এরপর আলম খানের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত মসজিদুল আউলিয়া হজরত খাজা শাহ মোজাম্মেল হক (র.)-এর প্রাঙ্গণে। সেখানে জান্নাতুল ফেরদৌস কমপ্লেক্সে স্ত্রীর কবরের পাশেই দাফন করা হবে তাঁকে।

সংগীতজ্ঞ আলম খানের পুরো নাম খুরশিদ আলম খান। পিতার নাম আফতাব উদ্দিন খান। পপসম্রাট আজম খানের বড় ভাই তিনি। ১৯৬৩ সালে রবিন ঘোষের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। চলচ্চিত্রের গানে অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার বিভাগে সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন।

আলম খানের সুর ও সংগীতে শ্রোতাপ্রিয় গানের মধ্যে আরও রয়েছে, ‘জীবনের গল্প বাকি আছে অল্প’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘ভালোবেসে গেলাম শুধু’, ‘চাঁদের সাথে আমি দেবো না’, ‘আমি একদিন তোমায় না দেখিলে’, ‘সাথীরে যেও না কখনো দূরে’, ‘কাল তো ছিলাম ভালো’, ‘চুমকি চলেছে একা পথে’, ‘তেল গেলে ফুরাইয়া’ ইত্যাদি।

বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে আলম খানকে বলা হয় সুরের জাদুকর। তাঁর সুরে গান গেয়ে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন অনেক শিল্পী।

আলম খান ব্যক্তি জীবনে তিন সন্তানের জনক। দুই ছেলে আরমান খান ও আদনান খান। তাঁরা দুজনেই সংগীত পরিচালক। একমাত্র মেয়ে আনিকা খান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কিংবদন্তি সুরকার আলম খান আর নেই

Update Time : ০৩:৩৯:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাংলা গানের কিংবদন্তি সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলম খান আর নেই।

শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল ১১টা ৩২ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার ছেলে সংগীত পরিচালক আরমান খান গণমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে আরমান লিখেছেন, ‘আব্বা চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’

অন্যদিকে সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন জানান, কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক শ্রদ্ধেয় আলম খান আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। তার বিদেহী আত্মাকে বেহেশত নসিব করুন- আমিন।’

আলম খান প্রথম জানাজা শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে এবং দ্বিতীয় জানাজা বাদ আসর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) সম্পন্ন হবে।

এরপর আলম খানের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত মসজিদুল আউলিয়া হজরত খাজা শাহ মোজাম্মেল হক (র.)-এর প্রাঙ্গণে। সেখানে জান্নাতুল ফেরদৌস কমপ্লেক্সে স্ত্রীর কবরের পাশেই দাফন করা হবে তাঁকে।

সংগীতজ্ঞ আলম খানের পুরো নাম খুরশিদ আলম খান। পিতার নাম আফতাব উদ্দিন খান। পপসম্রাট আজম খানের বড় ভাই তিনি। ১৯৬৩ সালে রবিন ঘোষের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। চলচ্চিত্রের গানে অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার বিভাগে সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন।

আলম খানের সুর ও সংগীতে শ্রোতাপ্রিয় গানের মধ্যে আরও রয়েছে, ‘জীবনের গল্প বাকি আছে অল্প’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘ভালোবেসে গেলাম শুধু’, ‘চাঁদের সাথে আমি দেবো না’, ‘আমি একদিন তোমায় না দেখিলে’, ‘সাথীরে যেও না কখনো দূরে’, ‘কাল তো ছিলাম ভালো’, ‘চুমকি চলেছে একা পথে’, ‘তেল গেলে ফুরাইয়া’ ইত্যাদি।

বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে আলম খানকে বলা হয় সুরের জাদুকর। তাঁর সুরে গান গেয়ে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন অনেক শিল্পী।

আলম খান ব্যক্তি জীবনে তিন সন্তানের জনক। দুই ছেলে আরমান খান ও আদনান খান। তাঁরা দুজনেই সংগীত পরিচালক। একমাত্র মেয়ে আনিকা খান।