কক্সবাজার পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:১৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১০৯ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং চারটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকালে রাজধানী ঢাকা থেকে আকাশপথে কক্সবাজার যান প্রধানমন্ত্রী।

কক্সবাজার বিমাবন্দর থেকে সড়ক পথে যাবেন আইকনিক রেলস্টেশনে। সেখানে চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেল লাইন রেল চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করবেন এবং কক্সবাজারে আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধন করবেন।

পরে রেলযোগে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাবেন রামু স্টেশন। সেখান থেকে সড়ক পথে রামু সেনানিবাস হয়ে যাবেন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেলে। চ্যানেল উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

রামু থেকে প্রধানমন্ত্রী মহেশখালী যাবেন। সেখানে তিনি জনসভায় ভাষণ দেবেন। এ জনসভায় রামু, কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, চকরিয়াসহ জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে অন্তত ৩ লাখ মানুষ সমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।

উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা ১৫টি প্রকল্প হলো– ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ের দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন, ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাতারবাড়ী ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট আলট্রা সুপারক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, ৬৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে কুতুবদিয়া দ্বীপকে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে সংযুক্তকরণ, ৪৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁকখালী নদীর ওপর কস্তুরাঘাট-খুরুশকুল সংযোগ সেতু, ২৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরের ভূমি ভরাট, প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ, অ্যাপ্রোচ রোড ও সৌন্দর্যবর্ধন কাজ, উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ডিজাইন ও স্থাপনকরণ, মহেশখালী গোরকঘাটা-শাপলাপুর জনতা বাজার সড়ক মজবুত ও প্রশস্তকরণ, কুতুবদিয়ায় কৈয়ারবিল আরসিসি গার্ডার ব্রিজ, চকরিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনাল সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন, ঈদগাঁও জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, মহেশখালী ইউনুচখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ, উখিয়া রত্নাপালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় একাডেমিক ভবন নির্মাণ ও মরিচ্যা পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ। ২৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে রামু কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রকল্পটি উদ্বোধনের তালিকায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা বাদ পড়েছে।

যে তিন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে, সেগুলো হলো– ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে টেকনাফ মাল্টিপারপাস ডিজাস্টার রিসিলেন্ট শেল্টার কাম আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণ ও ২৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে রামু উপজেলা জোয়ারিয়ানালা-নন্দাখালী সড়কে ১৮৪ মিটার দীর্ঘ গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ। ১৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার সদরে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ (চতুর্থ পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় ভবন নির্মাণ। একই সময় ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ের মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের টার্মিনাল-১ নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না। তবে অন্য প্রকল্পগুলোর তুলনায় সাধারণ মানুষের বেশি আগ্রহ কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মিত রেলপথ নিয়ে। কারণ, ঢাকা থেকে পর্যটনের শহরে ট্রেনে যেতে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন অনেকেই।

Please Share This Post in Your Social Media

কক্সবাজার পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ১২:১৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং চারটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকালে রাজধানী ঢাকা থেকে আকাশপথে কক্সবাজার যান প্রধানমন্ত্রী।

কক্সবাজার বিমাবন্দর থেকে সড়ক পথে যাবেন আইকনিক রেলস্টেশনে। সেখানে চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেল লাইন রেল চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করবেন এবং কক্সবাজারে আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধন করবেন।

পরে রেলযোগে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাবেন রামু স্টেশন। সেখান থেকে সড়ক পথে রামু সেনানিবাস হয়ে যাবেন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেলে। চ্যানেল উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

রামু থেকে প্রধানমন্ত্রী মহেশখালী যাবেন। সেখানে তিনি জনসভায় ভাষণ দেবেন। এ জনসভায় রামু, কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, চকরিয়াসহ জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে অন্তত ৩ লাখ মানুষ সমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।

উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা ১৫টি প্রকল্প হলো– ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ের দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন, ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাতারবাড়ী ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট আলট্রা সুপারক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, ৬৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে কুতুবদিয়া দ্বীপকে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে সংযুক্তকরণ, ৪৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁকখালী নদীর ওপর কস্তুরাঘাট-খুরুশকুল সংযোগ সেতু, ২৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরের ভূমি ভরাট, প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ, অ্যাপ্রোচ রোড ও সৌন্দর্যবর্ধন কাজ, উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ডিজাইন ও স্থাপনকরণ, মহেশখালী গোরকঘাটা-শাপলাপুর জনতা বাজার সড়ক মজবুত ও প্রশস্তকরণ, কুতুবদিয়ায় কৈয়ারবিল আরসিসি গার্ডার ব্রিজ, চকরিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনাল সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন, ঈদগাঁও জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, মহেশখালী ইউনুচখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ, উখিয়া রত্নাপালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় একাডেমিক ভবন নির্মাণ ও মরিচ্যা পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ। ২৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে রামু কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রকল্পটি উদ্বোধনের তালিকায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা বাদ পড়েছে।

যে তিন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে, সেগুলো হলো– ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে টেকনাফ মাল্টিপারপাস ডিজাস্টার রিসিলেন্ট শেল্টার কাম আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণ ও ২৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে রামু উপজেলা জোয়ারিয়ানালা-নন্দাখালী সড়কে ১৮৪ মিটার দীর্ঘ গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ। ১৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার সদরে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ (চতুর্থ পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় ভবন নির্মাণ। একই সময় ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ের মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের টার্মিনাল-১ নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না। তবে অন্য প্রকল্পগুলোর তুলনায় সাধারণ মানুষের বেশি আগ্রহ কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মিত রেলপথ নিয়ে। কারণ, ঢাকা থেকে পর্যটনের শহরে ট্রেনে যেতে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন অনেকেই।