ঐতিহ্য ও সংগ্রামের তীর্থভূমি চট্টগ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৬:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ১৪৩ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, ঐতিহ্য ও সংগ্রামের তীর্থভূমি চট্টগ্রাম। লড়াই-সংগ্রামের ঐতিহাসিক এ জনপদে মহান ভাষা আন্দোলনের প্রথম কবিতা “কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি” রচিত হয়েছিল। স্বাধীনতার প্রথম কাব্যনাটক “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” মঞ্চস্থ হয়েছিল এবং প্রথম পথনাটক ‘যাই দিন ফাগুনে দিন’ রচিত ও মঞ্চস্থ হয়েছিল চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম জন্ম দিয়েছে বীরকন্যা প্রীতিলতা, মাস্টারদা সূর্যেসেনসহ স্বাধীনতা সংগ্রামী বীর বিপ্লবীদেরকে। চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছয় দফার ডাক দিয়েছিলেন। এ জনপদের রয়েছে লোক সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ভাণ্ডার। বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন “চর্যাপদ” রচিত হয়েছিল চট্টগ্রামের পণ্ডিত বিহারে।

প্রতিমন্ত্রী আজ দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত মঞ্চে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ আয়োজিত ৫ম নাট্যোৎসবের ১ম পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, শুধুমাত্র পাঠদান করাই বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষাঙ্গনের মূল উদ্দেশ্য নয়। একজন সার্বিক মানুষ সৃষ্টির জায়গা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। পড়াশুনার পাশাপাশি সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী যখন কাজ করবে তখন তার মধ্যে বিকশিত হবে মানবিক মূল্যবোধ।সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময়ে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির কবলে জিম্মি হয়েছিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপার সৌন্দর্যের সবুজ ক্যাম্পাস।তিনি বলেন, ব্যাপক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডই পারে সকল ধরণের অপশক্তিকে প্রতিহত করতে। প্রতিমন্ত্রী এসময় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করার জন্য নাট্যকলা, সংগীত, চলচ্চিত্র, নৃত্যকলাসহ বিভিন্ন পারফরমিং বিভাগগুলোকে নিয়ে একটি পৃথক অনুষদ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

No description available.

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। সম্মানিত অতিথির বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নিতাই ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কবি ও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার। স্বাগত বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি শাকিলা তাসমিন।

পরে প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদ আয়োজিত দেশব্যাপী সম্প্রীতির কবিতা আবৃত্তি আয়োজনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ঐতিহ্য ও সংগ্রামের তীর্থভূমি চট্টগ্রাম

Update Time : ০৬:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, ঐতিহ্য ও সংগ্রামের তীর্থভূমি চট্টগ্রাম। লড়াই-সংগ্রামের ঐতিহাসিক এ জনপদে মহান ভাষা আন্দোলনের প্রথম কবিতা “কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি” রচিত হয়েছিল। স্বাধীনতার প্রথম কাব্যনাটক “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” মঞ্চস্থ হয়েছিল এবং প্রথম পথনাটক ‘যাই দিন ফাগুনে দিন’ রচিত ও মঞ্চস্থ হয়েছিল চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম জন্ম দিয়েছে বীরকন্যা প্রীতিলতা, মাস্টারদা সূর্যেসেনসহ স্বাধীনতা সংগ্রামী বীর বিপ্লবীদেরকে। চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছয় দফার ডাক দিয়েছিলেন। এ জনপদের রয়েছে লোক সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ভাণ্ডার। বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন “চর্যাপদ” রচিত হয়েছিল চট্টগ্রামের পণ্ডিত বিহারে।

প্রতিমন্ত্রী আজ দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত মঞ্চে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ আয়োজিত ৫ম নাট্যোৎসবের ১ম পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, শুধুমাত্র পাঠদান করাই বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষাঙ্গনের মূল উদ্দেশ্য নয়। একজন সার্বিক মানুষ সৃষ্টির জায়গা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। পড়াশুনার পাশাপাশি সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী যখন কাজ করবে তখন তার মধ্যে বিকশিত হবে মানবিক মূল্যবোধ।সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময়ে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির কবলে জিম্মি হয়েছিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপার সৌন্দর্যের সবুজ ক্যাম্পাস।তিনি বলেন, ব্যাপক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডই পারে সকল ধরণের অপশক্তিকে প্রতিহত করতে। প্রতিমন্ত্রী এসময় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করার জন্য নাট্যকলা, সংগীত, চলচ্চিত্র, নৃত্যকলাসহ বিভিন্ন পারফরমিং বিভাগগুলোকে নিয়ে একটি পৃথক অনুষদ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

No description available.

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। সম্মানিত অতিথির বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নিতাই ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কবি ও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার। স্বাগত বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি শাকিলা তাসমিন।

পরে প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদ আয়োজিত দেশব্যাপী সম্প্রীতির কবিতা আবৃত্তি আয়োজনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।