‘একটি কম্পিউটার’ থেকে ৫০০ কর্মীর প্রতিষ্ঠান বিডিকলিং

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৭:৫৬:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৭ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ড্রয়িংরুমের একটি মাত্র কম্পিউটার থেকে শুরু হয়েছিলো ব্যাক্তিগত ফ্রিল্যান্সিং। সময়ের ব্যবধানে ব্যক্তি থেকে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এসে বর্তমানে পরিণত হয়েছে ৫০০ কর্মীর প্রতিষ্ঠানে। শূন্য থেকে পূর্ণে পরিণত হওয়ার এই গল্পটি বিডিকলিং আইটি লিমিটেড নামক শীর্ষস্থানীয় একটি আইটি প্রতিষ্ঠানের। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটির পাঁচশো কর্মী সংখ্যা পূর্ণ হয়েছে।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিডিকলিং আইটি লিমিটেডের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মনির হোসেনের হাত ধরে ২০১৩ সালে ড্রয়িংরুমের একটি মাত্র কম্পিউটারে ব্যক্তিগত ফ্রিল্যান্সিং শুরু হয়। এরপর ২০১৪ সালেই তিনি প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমের উপলব্ধি করেন এবং বিডিকলিং আইটি লিমিটেড নামক আইটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। বর্তমানে রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় আলাদা চারটি অফিসে ৫০০ জন কর্মী কাজ করছেন। গত ২৫ জানুয়ারি বিডিকলিং আইটি লিমিটেড পরিবারে ৫০০ (পাঁচশো) কর্মী পূর্ণ হয়েছে।

এ সম্পর্কে বিডিকলিং আইটি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, দেশে বেকারত্বের বোঝা ক্রমেই ভারী হয়ে উঠছে। পড়াশোনা শেষ করে নূন্যতম বেতনেও চাকরি না পেয়ে অনেকে হতাশায় মানসিকভাবে চরম বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। আমি মনে করি একমাত্র প্রযুক্তিগত জ্ঞান আমাদেরকে এই অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে। আমরা এই সমস্যাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে শুধুমাত্র আইটি সেক্টরে ৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি। ইতমধ্যেই আমরা পাঁচশতাধিক কর্মীর প্রতিষ্ঠানে পরিণিত হয়েছি। সকলের সহযোগিতা নিয়ে আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমরাও বড় সহযোগি হবো বলে আমরা আশা রাখছি।

মনির হোসেন বলেন, শিগগিরই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আরও কয়েকটি অফিস শুরু করতে যাচ্ছি। এক পর্যায়ে আমাদের পরিকল্পনা সারাদেশেই আমরা বিডিকলিংকে ছড়িয়ে দিতে চাই। একসময় বিভাগীয়-জেলা পর্যায়ে আমাদের অফিস থাকবে। সারাদেশেই আমাদের কর্মীরা কাজ করবে। এতে করে আমরাও দেশের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে শক্ত একটা অবস্থান গড়তে পারবো, সেইসঙ্গে বড় একটা সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান গড়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবো।

প্রসঙ্গত, বিডিকলিং আইটি লিমিটেড বর্তমানে লিড জেনারেশন উইথ ডাটা এন্ট্রি, ডিজিটাল মার্কেটিং, ইউএক্স/ইউআই ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ছাড়াও আইটি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হলেও অনলাইনমার্কেটপ্লেস কেন্দ্রীক বিদেশী ক্লায়েন্টদের কাজই বেশিরভাগ করে থাকে।

বিডিকলিংয়ের নানা অর্জন

২০১৫ সালে বেসিস ফ্রিল্যান্সার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন বিডিকলিংয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা ও উদ্যোক্তা মো. মনির হোসেন। এরপর ২০২১ সালে আবারও বেসিস অ্যাওয়ার্ড আসে বিডিকলিংয়ের ঘরে। তখন এই অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাবিনা আক্তার। এছাড়াও তথ্য প্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনশক্তি গড়তে বিশেষ অবদান স্বরূপ বিজয় দিবস সম্মাননা পুরস্কার-২০২৩ পেয়েছেন বিডিকলিং আইটি লিমিটেডের সিইও মুহাম্মদ মনির হোসেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

‘একটি কম্পিউটার’ থেকে ৫০০ কর্মীর প্রতিষ্ঠান বিডিকলিং

Update Time : ০৭:৫৬:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ড্রয়িংরুমের একটি মাত্র কম্পিউটার থেকে শুরু হয়েছিলো ব্যাক্তিগত ফ্রিল্যান্সিং। সময়ের ব্যবধানে ব্যক্তি থেকে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এসে বর্তমানে পরিণত হয়েছে ৫০০ কর্মীর প্রতিষ্ঠানে। শূন্য থেকে পূর্ণে পরিণত হওয়ার এই গল্পটি বিডিকলিং আইটি লিমিটেড নামক শীর্ষস্থানীয় একটি আইটি প্রতিষ্ঠানের। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটির পাঁচশো কর্মী সংখ্যা পূর্ণ হয়েছে।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিডিকলিং আইটি লিমিটেডের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মনির হোসেনের হাত ধরে ২০১৩ সালে ড্রয়িংরুমের একটি মাত্র কম্পিউটারে ব্যক্তিগত ফ্রিল্যান্সিং শুরু হয়। এরপর ২০১৪ সালেই তিনি প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমের উপলব্ধি করেন এবং বিডিকলিং আইটি লিমিটেড নামক আইটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। বর্তমানে রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় আলাদা চারটি অফিসে ৫০০ জন কর্মী কাজ করছেন। গত ২৫ জানুয়ারি বিডিকলিং আইটি লিমিটেড পরিবারে ৫০০ (পাঁচশো) কর্মী পূর্ণ হয়েছে।

এ সম্পর্কে বিডিকলিং আইটি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, দেশে বেকারত্বের বোঝা ক্রমেই ভারী হয়ে উঠছে। পড়াশোনা শেষ করে নূন্যতম বেতনেও চাকরি না পেয়ে অনেকে হতাশায় মানসিকভাবে চরম বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। আমি মনে করি একমাত্র প্রযুক্তিগত জ্ঞান আমাদেরকে এই অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে। আমরা এই সমস্যাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে শুধুমাত্র আইটি সেক্টরে ৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি। ইতমধ্যেই আমরা পাঁচশতাধিক কর্মীর প্রতিষ্ঠানে পরিণিত হয়েছি। সকলের সহযোগিতা নিয়ে আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমরাও বড় সহযোগি হবো বলে আমরা আশা রাখছি।

মনির হোসেন বলেন, শিগগিরই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আরও কয়েকটি অফিস শুরু করতে যাচ্ছি। এক পর্যায়ে আমাদের পরিকল্পনা সারাদেশেই আমরা বিডিকলিংকে ছড়িয়ে দিতে চাই। একসময় বিভাগীয়-জেলা পর্যায়ে আমাদের অফিস থাকবে। সারাদেশেই আমাদের কর্মীরা কাজ করবে। এতে করে আমরাও দেশের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে শক্ত একটা অবস্থান গড়তে পারবো, সেইসঙ্গে বড় একটা সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান গড়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবো।

প্রসঙ্গত, বিডিকলিং আইটি লিমিটেড বর্তমানে লিড জেনারেশন উইথ ডাটা এন্ট্রি, ডিজিটাল মার্কেটিং, ইউএক্স/ইউআই ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ছাড়াও আইটি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হলেও অনলাইনমার্কেটপ্লেস কেন্দ্রীক বিদেশী ক্লায়েন্টদের কাজই বেশিরভাগ করে থাকে।

বিডিকলিংয়ের নানা অর্জন

২০১৫ সালে বেসিস ফ্রিল্যান্সার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন বিডিকলিংয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা ও উদ্যোক্তা মো. মনির হোসেন। এরপর ২০২১ সালে আবারও বেসিস অ্যাওয়ার্ড আসে বিডিকলিংয়ের ঘরে। তখন এই অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাবিনা আক্তার। এছাড়াও তথ্য প্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনশক্তি গড়তে বিশেষ অবদান স্বরূপ বিজয় দিবস সম্মাননা পুরস্কার-২০২৩ পেয়েছেন বিডিকলিং আইটি লিমিটেডের সিইও মুহাম্মদ মনির হোসেন।